Breaking News

স্বামী | পর্ব -০২

তিথি ঘোমটা টেনে খাটে বসে।
রিদয় গিয়ে তিথির পাশে বসলো, বসে উকি ঝুকি দিচ্ছে। আর তিথি সেটা আড়া চোখে দেখছে।
,রিদয় খুব বিরক্ত হচ্ছে কারন মুখটা দেখতে পারছেনা।
তিথি বুঝতে পেরে নিজের ঘোমটা নিজেই সরায়, আর রিদয় এর দিকে তাকায়, এই প্রথম তিতিল তার স্বামীকে দেখছে।
.
মাথার চুল এলোমেলো মুখটা ফর্সা, খুচা খুচা দারি পান্জাবির সব বোতাম খুলা তাই বুকের লোম গুলো স্পস্ট দেখা যাচ্ছে, আর তিথির চেয়ে বেশ লম্বাও তা বসা থেকেই বুঝা যাচ্ছে।
এই যে শুনুন, আপনি কে গো, বলেই আবার নিজেই উওর দিলো ওহ মনে পরেছে আপনি বৌ, আপনি কার বৌ(রিদয়)
রিদয় এর এমন প্রশ্নে তিতিল অনেকটা আঘাত পেয়েছে বৌ কার তা জানেনা বিয়ে কি মনে হয় তাও জানেনা, এই ছিলো কপালে,
এটায় আমার ভাগ্য তাই মেনে নিতে হবে।
ভেবেই রিদয় কে জবাব দিলো আমি আপনার বৌ,
রিদয় হেসে বললো সত্যি বলছেন!
হুম সত্যি( তিথি হেসে)
আচ্ছা আপনি নাকি আজ থেকে এই ঘরে ঘুমাবেন! মা বললো।(রিদয়)
হ্যা এখানেই তো ঘুমাবো কারন স্বামী যেখানে বৌ সেখানেই ঘুমায়।( তিথি)
রিদয় হুম বলে এমন ভাবে মাথা ঝাকালো জেনো দুনিয়ার সব বুঝে ফেলেছে,
তিথি হেসে দিলো রিদয় এর কান্ডে,
আপনি তো খুব সুন্দর করে হাসেন( রিদয়)
আপনি আমায় তুমি করে বলবেন নিজের বৌ কে আপনি বলে না, ( তিথি)
হুমমম okkk ( রিদয়)
.
তিথি মনে মনে বললো। (নিজেকে শক্ত কর তিতিল এই তোর অস্তিত্ব, হয়তো তোর সেবায় ভালোও হয়ে জেতে পারে)
তারপর তিথির শাশুরি এলো, এসে তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে রিদয় কে বললো শুন বৌ যা বলবে তাই করবি কিন্তু ওকে কাদাঁবিনা একদম, বুঝেছিস, (রিদয়ের মা)
রিদয় ও লক্ষি ছেলের মত বলে okk my dear mom… হেসে,(রিদয়)
রিদয় এর মা এবার দরজার কাছে গিয়ে তিথি কে ডাক দেয়, তিথিও বিছানা ছেরে উঠে তার শাশুরির কাছে যায়,
মা আমার ছেলেটা এমন না তোর সেবা পেলেই সুস্থ হয়ে যাবে, পাগল ভেবে অবহেলা করিস না, ও পাগল নয় কিছু কিছু জিনিস গুলিয়ে ফেলে আর ভুলে যায়।
তুই যা বলবি আদর করে সে তাই শুনবে, বলেই তিথির শাশুরি চলে গেলো,
তিথি খাটে চেয়ে দেখে রিদয় ফুল নিয়ে খেলা করছে,
তাই আর ওদিক না গিয়ে দরজা টা বন্ধ করে।
দরজা বন্ধ দেখে রিদয় বলে,
ভালো বৌ দরজা লাগিও না আমার ভয় করে গো।
আর ভয় করবে না আমি আছি তো, (তিথি একটু মুছকি হাসি নিয়ে বলে)
রিদয়ও পাল্টা হাসি দেয়।
ওয়াস রুম এ একটা পাতলা শাড়ি নিয়ে ঢুকে যায়, তিথি
কারন পরনের শাড়ি আর এত ভারি গহনা পরে ঘুমানো অসম্ভব।
তিথি ওয়াস রুম থেকে এসে রিদয় কে বললো
আপনি পান্জাবিটা খুলে ফেলুন আর অন্য কিছু পরুন, এটা পরে ঘুমাতে পারবেন না, (তিথি)
তিথি বলার সাথে সাথেই রিদয় বললো ওকে মা বলেছে তোমার সব কতা শুনতে তাই শুনছি, নয়তো আমি কারো কথাই শুনিনা হুম।।(রিদয়)
.
তিথি দেখছে রিদয় পান্জাবিটা খুলতে পারছে না উপরের দিক তুলার বদলে নিচের দিকে টানছে।
রিদয় এর এমন পাগলামু দেখে তিথি হেসে বললো দিন আমি খুলে দিচ্ছি, বলেই রিদয় এর পান্জাবি খুলে দিলো, এবার চোখ পরলো রিদয় এর শরিরে, চোখ আটকে আছে তার পশমের দিকে,
রিদয় তিথি কে বলে উঠলো তোমার লজ্জা নেই গো বৌ এভাবে তাকিয়ে আছো।
এবার তিথি সত্যি লজ্জা পায়,কিছু না বলেই আলমারি থেকে একটা গেন্জি আর টাওজার এনে পরতে বলে,
ও ভালো বৌ শোনোনা, আমি তো পরতে পারিনা।
ওমা এত বড় ছেলে হয়ে জামা পরতে জানেন না তাহলে কে পরিয়ে দেয় শুনি।( চোখ বাকিয়ে)
রহিম চাচা ( হেসে রিদয়)
রহিম চাচা আবার কে মনে মনে ভেবে তিথি বললে আচ্ছা আর রহিম চাচার কাছে পরতে হবে না আমি রোজ কাপর পরিয়ে দেবো কেমন( তিথি গেন্জি পরাতে পরাতে)
তাহলে আবার কে খুলে দিবে খুলার জন্য তো রহিম চাচার কাছে জেতেই হবে মুখ চাপা হাসি দিয়ে?( রিদয়)
আমার সাথে ইয়ার্কি হচ্ছে,আপনায় যতটা বোকা ভাবছি ততো বোকা আপনি নোন,(চোখ বাকিয়ে তিথি)
রিদয় এবার মুখটা কালো করে নিচে তাকিয়ে আছে,
তিথি রিদয় কে দেখিয়ে দিলো টাওজার পরানো, দেখে পরে নিলো রিদয়,
রিদয় এর মাথার ব্র্যান খুব ভালো, একবার দেখালে সব পারে।
তিথি এবার রিদয় এর মুখ উপরে তুলে বললো আপনার যা কাজ সব আমি করবো অন্য কেউ নয়, কাপড় পরানো, খাওয়া দাওয়া সব।
.
এখন লক্ষি ছেরের মত ঘুমান,
রিদয় গিয়ে বিছানায় হাত পা ছরিয়ে শুয়ে পরলো,
তিথি একটা বালিস নিয়ে সোফায় শুতে গেলো, কিন্তু কি ভেবে আবার বিছানায় এসে রিদয় এর পা টা সরিয়ে একটু জায়গা করে চুপ করে শুয়ে পরলো, রিদয় নাক ডাকিয়ে ঘুম দিচ্ছে,দিবেই না কেন আজ কম ধকল জায়নি,
তিথিও বিছানায় পরতেই ঘুমের দেশে তলিয়ে গেলো,
সকালে তিথি ঘুম থেকে উঠে দেখে রিদয়ের এর এক পা তার উপরে,
তাই পা টা সরিয়ে দিয়ে ফ্রেস হয়ে রিদয় কে ডাক দিলো,
রিদয় হায় তুলতে তুলতে বললো আরেকটু ঘুমাইনা ভালো বৌ, (রিদয়)
না আর ঘুম নয় চলুন গোসল করবেন।(তিথি)
এত সকালে কেউ গোসল করে নাকি ভালো বৌ( রিদয়)
মা কি বললো মনে নেই আমার সব কথা শুনতে বলেছে তো,( তিথি)
ওহ ব্লেকমিল করা হচ্ছে( রিদয়)
তিথি অবাক হয়ে বললো, ওমা আবার এটাও বোঝেন দেখি।(তিথি)
হুম সব বুঝি আমি, কারন আমি গুড বয় (রিদয়),
হুম ঘোড়ার ডিম বুঝেন আপনি তাহলে বাসর ঘর এ কি হয় তা বোঝেন না কেন??
( তিথি বলেই নিজের জিভ কামোর দেয়)
.
রিদয় বলে সব বুঝি বাসর ঘরে বৌ থাকে তাই তো( রিদয়)
তিথি হেসে বললো হুম ঠিক/
রিদয় কে গোসল করিয়ে দিচ্ছে সুন্দর করেই, পানি ঢালতে গিয়ে তিথির শাড়ির আচল টা একটু সরে যায়, তিথি তা খেয়াল করে নি,
কিন্তু রিয়দয়ের চোখ তিথির বুক এর দিকে,
অনেকক্ষন পর তিথি খেয়াল করে দেখল রিদয় এর চোখ তার বুকে আর আচলটা নেই, রিদয় কেমন নেশা চোখে তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,
তিথি চট করে আচলটা দিয়ে গোসল করিয়ে শরিরটা মুছে দেয়,
কিন্তু রিদয় এর হাপ ভাব ভালো না, কেমন জেনো করছে, বার বার তিতিল কে কেমন চোখে দেখছে,
একটুর জন্য তো মনে হল রিদয় পাগল নয়।
ওয়াস রুম থেকে বের হয়ে জায়নামাজ বিছিয়ে রিদয় কে পাশে বসিয়ে নামাজ পড়তে থাকে তিথি
রিদয় আবার জায়নামাজ এ ঘুমিয়ে পরলো,
.
নামাজ শেষ করে তিথি রিদয় এর ঘুমন্ত মুখটাই দেখছে,
উনি যদি সুস্থ হতেন উনার মত ছেলে আমায় কখনো মেনে নিতো না। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস ভেবেই একটা নিশ্বাস ছেরে তিথি ও আবার ওর পাশেই শুয়ে পরে।
সকাল ৮ টা তনু এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে ভাবি ও ভাবি ভাইয়াকে নিয়ে নাস্তা করতে এসো,বলেই তনু চলে গেলো তিথি উঠে রিদয় কে উঠিয়ে মাথা সুন্দর করে আচরে দেয়, একটা শার্ট ও প্যান্ট টা ইন করে পরিয়ে হাতে ঘরি পরিয়ে দেয়, তিথির বর টাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে।
তিথি নিজেই ক্রাশ খেলো রিদয় এর উপর।
নিজের অজান্তেই রিদয় এর কপালে চুমু দিয়ে দিলো,তিথি প্রথম দেখাতেই রিদয় কে ভালোবেসে ফেলেছে।
রিদয়ও তিথির কপালে চুমু দিয়ে দিল, তিথি হেসে বললো এটা কি হল??
রিদয় মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললে আদর করলাম মা কে তো রোজ আদর করি। মা ও আমায় এভাবেই আদর করেন।(রিদয়)
হুম বুঝলাম কিন্তু বৌ কে এভাবে আদর করে না( তিথি)
তাহলে কিভাবে করে আমিতো পারি না ভালো বৌ( রিদয় ঠোট বাকিয়ে)
আমি শিখিয়ে দিবো, এখন চলুন নাস্তা করতে ডাকছে।
বলেই তিথি রিদয়ের এর হাত ধরে বাহিরে এলো।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com