Breaking News

ভালোবেসে ভুল করিনি । পর্ব -০৫ এবং শেষ



এই বিয়ে বন্ধ করুন?
কন্ঠটা শুনে আমার হৃদয়টা যেন মুহূর্তেই লাড়া দিয়ে
উঠলো,আমার দু নয়ন যেন বিশ্বাস বলে কিছুই করতে
পারছে না, যে এটা আর কেউ না স্বয়ং রাই? রাইকে
দেখে রোহিকা ভাবী সঙ্গে সঙ্গে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে
পরলেন।বেশ খানিকটা অবাক হয়ে যান তিনি।সবার
চোখের চাহনি এক মাত্র রাইয়ের দিকে।রাই কে দেখে
কিছুটা আস্থা ফিরে পেলাম আমি।কিন্তু রাই এখানে
কেনো এসেছে?তার মানে রাইয়ের বিয়েটা হয়নি?রাই
কি সব সত্যিটা জানতে পেরেছে?অসম্ভব রাই কি
করেই বা এসব জানবে?মাথায় কিছুই ঢুকছে না
আমার!সব কিছুই নিজের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছি।
জানি না এখন ঠিক কি থেকে কি হতে চলেছে।রাই
যখন এখানে এসেছে তাহলে নিশ্চয়ই তার পিছনে
কোনো বড় আকারের কারণ রয়েছে।মেডিক্যাল
রিপোর্ট হাতে নিয়ে ফ্লাটের ভেতরে প্রবেশ করতে করতে
রাই কিছুটা গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
.
—যে কোনো দিন সন্তানের পিতাই হতে পারবে না সে
কি করে রোহিকা ভাবী কে প্রেগনেন্ট করে?হাস্যকর!
কথাটা বলার পরপরি সবার মুখের উপর মেডিক্যাল
রিপোর্ট গুলো ছুড়ে মারে রাই।সবাই যেন অনেকটা
থমকে যায়।রোহিকা ভাবীও কেনো জানি কিছুটা ভয়ে
ভয়ে রয়েছেন।রোহিকা ভাবীর মামা মেডিক্যাল
রিপোর্ট গুলো ফ্লোর থেকে হাতে তুলে নিয়ে ভালো
করে দেখার পর তিনিও অবাকের শীর্ষ স্থানটা লাভ
করেছেন।কিছুটা বিচলিত হয়ে তিনি রোহিকা ভাবী
কে জিজ্ঞেস করলেন,
—সত্যিই তো যে কোনো দিন সন্তানের মুখ অবধি
দেখতে পারবে না সে কি করেই বা তোকে প্রেগনেন্ট
করে?মেডিক্যাল রিপোর্ট গুলোতে তো স্পষ্ট লিখাই
আছ, ও কোনো দিন পিতা হওয়ার সুখটা অনুভব
করতে পারবে না তাহলে এটা কি করেই বা সম্ভব?
রোহিকা ভাবীর কপালটা ঘামে একাকার।ভয়ে তার
গলাটা যেন শুকনো মরুভূমির মতো হয়ে গেছে।এক
হাত দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুল গুলো মুচরা-মুচরি করে
আমতা-আমতা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছেন না
তিনি।রোহিকা ভাবীর চুপ করে থাকা কে কেন্দ্র করে
রাই আবার বলল,
.
—সে এখন আমতা আমতা করা ছাড়া আর কি বা
বলবেন?তার কাছে বলার মতো এখন কোনো শব্দই
তার মুখে আর জন্ম নিতে চাচ্ছে না কারন শব্দ গুলোও
হয়তে বুঝতে পেরেছে উনার মুখটা ঘৃনিত।তিনি
একজন মিথ্যা-বাদী নিচু স্বভাবের নারী।তিনি আমার
থেকে আমার স্বামী কে কেঁড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা
চালিয়েছেন।প্রথমে আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার থেকে
শাহরিয়ার কে আলাদা করার চেষ্টা করেছেন।তারপর
এখন মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে শাহরিয়ার কে তার বিষাক্ত
গর্তে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।ওনার না আছে
চরিত্র না আছে আত্য-সম্মান।আমি বলি কি ওনার
জন্মেরি ঠিক নেই?যদি জন্মের ঠিক থাকতো তাহলে
হয়তো এমন জঘন্যতম একের পর এক পাপ কাজে
নিজেকে জড়িয়ে ফেলতেন না?পরের স্বামীর দিকে
নজর দিতেন না?রোহিকা ভাবী আপনি তো প্রেগনেন্ট
তাই না?এখানে থাকা সবার চোখে তো এটা স্পষ্ট
শাহরিয়ার কখনো সন্তানের পিতা হতে পারবে না।তাতে
বুঝাই যাচ্ছে,শাহরিয়ার আপনার সাথে এরুপ পাপ
কাজে জড়ায়নি তাহলো সে কে যে আপনাকে প্রেগনেন্ট
করলো।
.
উফ! চুপ করে থাকবেন না বলুন সে কে?যার
সাথে আপনি রাতের অন্ধকারে পাপে লিপ্ত ছিলেন?
সবাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন কারো মুখে কোনো
শব্দ নেই সবাই যেন বোবা হয়ে গেছেন।রাইয়ের
প্রত্যেকটা কথা যেন রোহিকা ভাবীর কাছে বিষের
চেয়েও অধীক লাগছে।যা ওনার মুখের দিকে
তাকালেই স্পষ্ট বুঝা যায়।রোহিকা ভাবী এখনো চুপ
করে রয়েছেন হয়তো বলার মতো এখন আর তার
কাছে কোনো কিছুই নেই।উচিত ভাবেই ফেঁসে গেছেন
তিনি।হঠাৎ রাই রোহিকা ভাবীর গালে ঠাস করে একটা
থাপ্পর দিয়ে বলল,
.
—-এই থাপ্পরটা আমাদের সংসারে ফাটল সৃষ্টি করার
জন্যে আপনার উপাহার স্বরুপ?
রাইয়ের দেওয়া থাপ্পরের পাঁচটা আঙ্গুলের স্পষ্ট ছাপ
রোহিকা ভাবীর ফর্সা গালে ফুটে উঠছে।রাইয়ের দিকে
চোখ বড় বড় করে তাকিয়েই রয়েছেন রোহিকা ভাবী
কিন্তু তার একটা আপসোস তিনি এখন আর কিছুই
করতে পারবেন না।কারন তার সমস্ত খেলার ইতি টেনে
দিলো রাই।অনেক্ষণ চুপ থাকার পর রোহিকা ভাবীর
মামা রাইয়ের মতো রোহিকা ভাবীর গালে কোষে এক
থাপ্পর বসিয়ে দিয়ে কিছুটা ভাঙ্গা গলায় বললেন,
—আজ খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছি সেদিন,
রোহিক কেনো তোকে ডিভোর্স দিয়ে চলে গিয়ে ছিলো
যে ছেলেটা তোর জন্য নিজের জান প্রান দিয়ে দিতেও
প্রস্তুত ছিলো।সে কি করেই বা নিজেই তোকে ডিভোর্স
দিয়ে চলে যায়?জানিস এই ব্যাপারটা আমার কাছে
খুবি ঝাপসা লেগেছিলো কিন্তু আজ সব পরিষ্কার
হয়ে গেলো। নিশ্চয়ই তোর স্বভাব আচার-আচরণ
চরিত্র ঠিক ছিলো না তাই এতো ভালোবাসার পরেও
শেষ-মেশ নিজেই ডিভোর্স দিয়ে তোর মতো এক
চরিত্রহীন নারীকে ত্যাগ করে চলে যায় রোহিক?
ছিহ আজ কেনো যেন তোকে নিজের ভাগ্নি বলে
শিকার করতেও কষ্ট হচ্ছে খুব আমার।
কথা গুলো বলার পরপরি রোহিকা ভাবীর মামা মাথা
হাল্কা নিচু করে ফ্লাট থেকে বেড়িয়ে গেলেন।বাকি
লোকজন চুপ করে তাকিয়ে রয়েছেন রোহিকা ভাবীর
দিকে অতঃপর রোহিকা ভাবী হাল্কা একটা হাসি দিয়ে
অন্য রুমে চলে যান।বুঝলাম না এতো অপমানের
পরেও মুখে হাসি কি করেই বা থাকে হয়তো ভুল করে
কান্নার বদলে হেসে ফেলেছেন তিনি?হঠাৎ বিকট এক
শব্দ যেন সবার নজর নিমিষেই কেঁড়ে নিলো।শব্দটা
রোহিকা ভাবীর রুম থেকেই এসেছে সবাই দ্রুত পায়ে
রোহিকা ভাবীর রুমে গিয়ে বেশ খানিকটা আতকে
উঠে।কারন চোখের সামনেই বিছানায় পড়ে আছেন
রোহিকা ভাবী।মাথা দিয়ে টপটপ করে পড়তে থাকা
অজস্র রক্ত সম্পূর্ন বিছানাটাকে ভিজিয়ে ফেলেছে।
রোহিকা ভাবীর হাতের একটু পাশেই একটা Gun পড়ে
আছে।সবার যেন আর বুঝতে কোনো প্রকার সমেস্যা
হলো না যে রোহিকা ভাবী নিজেই নিজের মাথায় সুট
করেছেন।শব্দ পেয়ে রোহিকা ভাবীর মামা সহ আরো
অনেকেই ছুটে এলেন।রোহিকা ভাবীর বড় বড় করে
তাকিয়েই থাকা চোখ গুলো যেন ভয়ে আমার শরীর
কে বারবার শিউরে তুলছে।
.
কি ভয়ানক রোহিকা ভাবীর চোখ গুলো।মনে হচ্ছে সেই চোখ দিয়ে এখনো রোহিকা
ভাবী আমাকে দেখছেন।পরিশেষে বেশিক্ষণ আর
থাকতে পারলাম না সেখানে কারন রোহিকা ভাবীর মৃত
শীতল দেহের দিকে তাকালেই আমার শরীরটা শিরশির
করে উঠে।রাত ঠিক ২ঃ৪৫ হবে আমি ও রাই তাদের
বাড়ির বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছি।পূর্ব দিক দিয়ে মন
দুলানো হাল্কা বাতাস যেন মনকে সতেজ করে তুলছে।
এক কাপ কফি এগিয়ে দিয়ে রাই বললো,
—আসার সময় তো অনেক বক বক করলা,কত প্রশ্নই
না করলে কিন্তু তখন কিছুই বলতে পারিনি তোমাকে?
এখন তোমার সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে
“যেদিন রোহিকা ভাবী স্বয়ং নিজেই ছবি গুলো পাঠায়
সেদিন আমার চোখ যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে
চাচ্ছিলো না।খুব কেঁদে ছিলাম আমি,ভেঙ্গে পড়েছিলাম
বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছিলো,অন্তরটা প্রতিনিয়তো
তোমার জন্য কেঁদে উঠেছিলো?অতঃপর বাবা যখন
এসব ছবি গুলো দেখে তখন রাগে ফোনটাই ভেঙ্গে
চুর্ণবিচুর্ণতে রুপান্তর করে ফেলে।পরবর্তীতে রোহিকা
ভাবী নিজেই স্বয়ং আমাকে মেসেজ পাঠিয়ে বললেন,
তুমি দুদিন পর আমাদের এখানে আসবে?আমি যেন
তোমার মিথ্যা কান্নার মায়ায় না পড়ি?তুমি আসবে শুনে
তোমাকে কিছুটা কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি বাবাকে দুই
দিনের মধ্যে আমার বিয়ের আয়োজন করতে বলি!
.
অতএব বাবা আমার কথা মতো মাত্র দুই দিনের মধ্যে
বিয়ের সব ব্যাবস্থা করে ফেললো।যেদিন তুমি আসবে
সেদিনি আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো।যখন তুমি
আসলে তখন খুব ইচ্ছে করেছিলো তোমাকে জড়িয়ে
ধরতে কিন্তু তখন কোনো এক অদৃশ্য বাধা যেন
আমাকে থামিয়ে দেয়।বার বার শুধু রোহিকা ভাবীর
সাথে তোমার আপত্তিকর ছবি গুলো আমার চোখের
সামনে ভাসছিলো?সেদিন সবার সামনে তোমাকে
অপমান করার পর ডিভোর্স পেপার বলে কয়েকটা
পেপার দিয়ে ছিলাম।কিন্তু সেদিন তো তুমি পেপার
গুলো নিজের সঙ্গে করে নিয়ে যাওনি।যদি নিতে তাহলে
বুঝতে সেটা ডিভোর্স পেপার ছিলোই না?তুমি নিজেই
একটু ব্রেন খাঁটিয়ে ভেবে দেখো এত তাড়াতাড়ি ডিভোর্স
পেপার পাওয়া কি সম্ভব?সেটা সাধারণ একটা পেপার
ছিলো।যেখানে লেখা ছিল।যত দিন দেহে আছে প্রান
অসীম ভালোবেসে যাবো আমি শুধুই তোমায়।আমি না
হয় দুঃখ নিয়েই চিরনিদ্রায় শাহিত হলাম কিন্তু তুমি
সুখে থেকো চাওয়া আমার একটাই।
কথাগুলো বলেই রাই একটু থামলো হাল্কা নিশ্বাস
নিয়ে কফির কাপে চুমুক দিয়ে আবার বলা আরম্ভ
করলো,
.
—সেদিন তুমি যখন চলে গিয়ে ছিলে তখন আমি সবার
আড়ালে গিয়ে বিষের সিসিটা হাতে নিয়েছিলাম কারন
তুমিহীন বেঁচে থাকাটা আমার কাছে খুবি যন্ত্রণার তাই
চলে যেতে চেয়ে ছিলাম সব কিছু ছেড়ে,যখন বিষের
সিসিটা খুলে বিষ পান করতে যাচ্ছিলাম,তখন আমার
সাথে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাকে সবার
আড়ালে এক কোণে কারো সাথে কথা বলতে দেখি,
তার কথা গুলো আমার কান দিয়ে স্পষ্ট শুনতে
পাচ্ছিলাম এবং কিছুক্ষণ তার কথা গুলো শুনে আমি
সঙ্গে সঙ্গে বিষের সিসিটা হাত থেকে ফেলে দিয়েছিলাম
কারন তার কথা বার্তা শুনে আমি জানতে পারলাম, ও
তোমার খুব কাছের একজন বন্ধু আর সবচেয়ে বড়
কথা তোমার বন্ধু রাকিব সেই সময় রোহিকা ভাবীর
সাথে ফোনে অট্ট হাসিতে মেতে উঠে তোমাকে কি ভাবে
ষরযন্ত্র করে ফাঁসালো সেসব কথাই বলছিল।ব্যাস
এতেই ওর ক্যাল্লা ফতে!পরিশেষে সবার সামনে উদুম
মার খাওয়ার পর গল গল করে মুখ থেকে সব সত্যি
কথা বলে দেয়।তোমার বন্ধু আমাকে পছন্দ করতো
অনেক আগে থেকেই?পালিয়ে বিয়ে করার পর যখন
প্রথম আমরা রোহিকা ভাবীর বিল্ডিং গিয়ে উঠি,তখন
সেই প্রথম দিন থেকেই রোহিকা ভাবীর সুদর্শন,আকর্শন
সব কিছুই কেঁড়ে নিয়ে ছিলে তুমি।প্রায় সময় খেয়াল
করতাম রোহিকা ভাবী কেমন এক দৃষ্টিতে তোমার
দিকে তাকিয়ে থাকতো কিন্তু তখন তেমন একটা গরুত্ব
দেয়নি আমি।তোমার ওই বন্ধু আমাকে দেখার জন্য
প্রায় বাসার সামনে আসতো!তোমার বন্ধু রাকিব এ ও
খুব সহজে বুঝে উঠতে সক্ষম হয়,যে রোহিকা ভাবী
তোমাকে পছন্দ করে।পরিশেষে তোমার বন্ধু আর
রোহিকা ভাবী গভীর এক ষড়যন্ত্রের ফন্দি আঁটে।ল,
আমাদের কে একে অপরের থেকে আলাদা করার
জন্য কারন রোহিকা ভাবীর তোমাকে চাই আর তোমার
বন্ধুর শুধু আমাকেই চাই?এতটুকু বলেই তোমার বন্ধু
সেখান থেকে পালিয়ে যায়।কিন্তু শেষ-মেশ তারা ব্যার্থই
হলো।খারাপ লোকেরা কখনো তাদের লক্ষ পূরন করতে
পারে না।তা রোহিকা ভাবী এবং রাকিব যেন জলযেন্ত
এক প্রমান।
.
আহ যাইহোক অবশেষে সব জামেলা মুক্ত হলাম।
হাজার শুকরিয়া সৃষ্টি কর্তার কাছে।আমাদের একে
অপরের থেকে চিরদিনের জন্য আলাদা হতে দেয়নি।
আস্তে আস্তে কয়েকটা দিন কেটে গেলো।আজ শেষ
বারের মতো রাইয়ের জোড়াজোড়িতে তার বাবার
একজন পরিচিত বড় ডাক্তারের কাছে আসলাম।
সব পরিক্ষা নিরিক্ষার পর শশুরের পরিচিত ডাক্তার
যা বললো তা শুনে আমি আর রাই একে অপরের
চোখের দিকে তাকাতে লাগলাম।কারণ ডাক্তার
বললেন,আমার এমন কোনো সমেস্যা বলতে কিছুই
নেই,আমাকে রোজ দুধের সাথে একটা পাওয়ারি
ঔষুধ খাওয়ানো হতো যেটা খেলে রাইয়ের সাথে
আমার মিলন হলেও রাই গর্ভপাত করতে পারতো না!
অর্থাৎ রাই কখনো প্রেগনেন্ট হতো না।ডাক্তারের কথা
শুনে আমরা দু’জনেই অবাক হয়ে আগের মেডিক্যাল
রিপোর্ট গুলো দেখাতেই তিনি হেসে বললেন,
এসব নকল, কেউ আপনাদেরকে মিথ্যা বলে প্রতারনা করেছে?
.
রাইয়ের বাবার পরিচিত ডাক্তারের চেম্বার থেকে
বেড়িয়ে আমি ও রাই আবার সেই চেনা পরিচিত শহরে
যে কয়টা ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম তাদের প্রত্যেকের
কাছে এসে আসল রিপোর্ট গুলো দেখাতেই তারা
প্রত্যেকেই ভয়ে একটা কথাই বললো আর সেটা হলো
রোহিকা ভাবীই তাদের নাকি এমনটা করার জন্য
আগে থেকেই মোটা অংকের টাকা দিয়ে রেখেছিল।
প্রতারনা করার জন্য তাদের প্রত্যেক কে পুলিশের
হাতে তুলে দিলাম।পরিশেষে যে প্রতিদিন দুধ দিয়ে
যেতো সেই দুধ ওয়ালার কাছে গিয়ে তাকে ভয়
দেখাতেই সব সত্যিটা নিমিষেই বলে দিলো,তার ও
কথা একটাই রোহিকা ভাবীই রোজ এসে আমার
দুধের সাথে এসব মিশিয়ে যেতো এর জন্যেও নাকি
দুধ ওয়ালা কিছু টাকা পেতো।দুধ ওয়ালাকে পুলিশের
হাতে তুলে দিলাম না কারন তার এমনিতেই অনেক
গরু মারা গেছে সেই সাথে অনেক টাকার লোকসান ও
হয়েছে এটাই হয়তো তার পাপের শাস্তি।আজ বা কাল
পাপের শাস্তি সবাই কে পেতেই হবে।শুধু শুধুই আমি
রোহিকা ভাবীর জন্য একটু হলেও মন খারাপ
করেছিলাম।ইশশ সেদিন রোহিকা ভাবী নিজের ফাঁদে
নিজেই ফেসেঁ গিয়ে ছিলেন।বেশ হয়েছে, খুব ভালো
হয়েছে খচ্চর বেডি মরছে।
.
অবশেষে বহুদিন কেটে গেলো আমার সংসারে এখন
যেন ভালোবাসার কোনো কমতি নেই কারণ সৃষ্টি
কর্তার অসীম দয়ায় আমার স্ত্রী রাইয়ের কোল আলো
করে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।এখন
আমাদের সংসারটা যেন সাজানো গুছানো পরিপূর্ণ।
.
<>সমাপ্ত<>

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com