Breaking News

প্রেম মানে পাগলামি । পর্ব - ০১


ম*দ খাইয়ে মাতাল করে লাবন্যর সাথে কয়েকবার শারীরিক মেলামেশা শেষে লাবন্যর ন*গ্ন শরীরের দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি হাসলো আয়ান। মনে মনে ভাবছে এত অহঙ্কার এত বড়াই কোথায় গেল আজ।
লাবণ্য আবারও আয়ানকে টেনে কাছে এনে আয়ানের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিয়ে মাতাল হয়ে উঠলো আয়ানকে একান্তে পেতে।

নিজেকে সেচ্ছায় বারবার মেলে ধরে উজাড় করে দিচ্ছে আয়ানের কাছে।
আয়ানও সুযোগটা নিয়ে নিচ্ছে ইচ্ছে মতোই, কারণ লাবন্যর নে*শা কেটে গেলেই হয়তো অনেক বড়ো কিছু হবে। কোটিপতি বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে বলে কথা।
আজ আয়ান যেটা করেছে সেটার প্ল্যান সেদিন থেকে আয়ান শুরু করে যেদিন কফিশপে লাবন্যকে প্রস্তাব দেয়ায় সবার সামনে আয়ানকে ভীষণ অপমান করে সেদিন।
শহরের অভিজাত এলাকায় লাবন্যর বাবার বাড়ি এবং ভীষণ দাপট। একই এলাকায় একটা ফ্ল্যাট কিনে আয়ানরা থাকে এবং আয়ানের বাবা একটা ব্যবসা করে।

আয়ানদের চেয়ে লাবন্যদের লেভেল অনেক উচুতে। মেয়ে হলেও লাবন্যকে দেখলে এলাকার ছেলেগুলো চোখ নিচু করে থাকে। কারণ লাবন্য একবার ক্ষেপে গেলে তার খবর করে ছাড়ে।
আমেরিকা থেকে আয়ান লেখাপড়া শেষ করে দেশে আসে, দেশেই সেটেল্ড হবার স্বপ্ন তার। একদিন বিকেলে আয়ান বাসার নিচে রোডের সাইটে দাড়িয়ে ঝালমুড়ি খাচ্ছিল এমন সময় লাবন্যও তার বাইক নিয়ে যাচ্ছিলো। বাইক চালানোর খুব শখ লাবন্যর। তো রাস্তার ভাঙা যায়গায় পানি জমে ছিল এবং সেখানে লাবন্যর বাইকের চাকা পড়তেই নোংরা পানি ছিটকে এসে আয়ানের গায়ে পড়ে।
— হেই স্টুপিড— বলে আয়ান ঘুরে দাড়িয়ে বাইকে বসা লাবন্যকে দেখে ভীষণ অবাক হয়ে যায়।
মেয়ে নয় যেন আসমানের পরী, দেখতে, সৌন্দর্যে, পোশাকআশাকে সবকিছুতেই স্পষ্ট যে লাবন্যর ব্যাকগ্রাউন্ড কত স্ট্রং। এবং পার্সোনালিটি কতটা ধারালো।
হেই ইস্টুপিট শব্দটা লাবন্যর কানে যেতেই বাইক ব্রেক করে ছুটে এসে আয়ানের কলার ধরে বললো— ইস্টুপিট মানে! আর কে তুই যে তোর এতবড় কলিজা আমাকে স্টুপিড বলা।
ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফিসফিস করে আয়ানকে বললো— মামা কথা বাড়াইয়েন না সমস্যা হবে, লাবন্য আপাকে মনে হয় চিনেননা আপনি। ঐ যে ইংরেজিতে কি যেন বলেনা ঐটা বলে মাফ চান আপার কাছে।
রাগে লাল হয়ে আছে লাবন্যর গাল, গোলাপি ঠোঁঠদুটো যেন এখনই ফেটে যাবে পাঁকা ডালিমের মতোই। আয়ানের কিন্তু রাগ হচ্ছে না, লাবন্যর সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে লাবন্যর দিকে।
লাবন্য আরও রেগে গিয়ে বললো— কিরে কথা বের হচ্ছেনা এখন, স্যরি বল নইলে আজ দিনের ভেতরেই তোর হাত পা ভেঙে রাস্তায় বসাবো বলে দিলাম।
আয়ান আবার হেসে ফেললো।

আয়ানও দেখতে শুনতে নায়কের চেয়ে কোন অংশে কম নয়, আর আয়ানের মায়াবী হাসিতে যে কেউ কাবু হবেই তাতে আর ভুল নেই। কিন্তু লাবন্য কাবু হবার মেয়ে নয় একদমই।
আরও শক্ত করে লাবন্য আয়ানের কলার ধরে বললো— দেখ আমার মাথায় রক্ত ওঠার আগে স্যরি বল, নয়তো নিজের পায়ে হেটে আর মা বাবার কাছে ফিরতে পারবি না বলে দিচ্ছি।
এবার আয়ান মিষ্টি হেসে লাবন্যর গাল টেনে দিয়ে বললো— লাবন্য গোলাপ সবাই ভালোবাসলেও গোলাপের কাটা কিন্তু সবার অপছন্দ। তুমি গোলাপের মতোই সুন্দর কিন্তু তোমার ব্যবহার ঐ কাটার মতোই ভয়ঙ্কর।
লাবন্য ভীষণ অবাক হয়ে নিজের গালে হাত দিয়ে কটমট করে বললো— তোর এতবড় সাহস তুই আমাকে স্পর্শ করেছিস!

ধমক দিয়ে আয়ান বললো— এই থামো তো, স্পর্শ করেছি তো বেশ করেছি, নিজে অপরাধ করে স্যরি বলার নাম নেই উল্টো আমার পেছনে পড়ে আছো।
— তোকে দেখে নেবো— বলে রাগী চোখে আয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো লাবন্য।
আয়ান এগিয়ে এসে একেবারে লাবন্যর মুখোমুখি দাড়িয়ে চোখে চোখ রেখে বললো— নে দেখ, মন ভরে দেখ, দেখা শেষ হলে বলিস।
লাবন্য গিয়ে বাইকে উঠে স্টার্ট করতেই আয়ান গিয়ে বাইকের সামনে দাড়িয়ে লাবন্যকে বললো— ব্যাপারটা খারাপ লাগলেও তোরে আমার ভালো লাগছে ভীষণ, দেখা হবে আবারও।
লাবন্য চলে গেল।
লাবন্য যেমন জেদি তেমনই রাগী। আয়ানকে একটা চরম শিক্ষা দিতে হবে ভেবে প্ল্যান করলো সেদিন।
পরদিন এলাকার ছেলেপুলে নিয়ে এসে আয়ানের বাসায় হুমকি ধামকি দিয়ে যায় লাবন্য। আয়ান লাবন্যর পাগলামি দেখে হাসে।

আসলে লাবন্যকে মনে ধরেছে খুব আয়ানের, এমন মেয়েগুলো আবার খুব ভালো মনের হয়। যাকে ভালোবাসে তার জন্য জীবন দিতেও পিছপা হয়না।
দিন যায়, চলার পথে দুজনের চোখাচোখি হয়। একসময় আয়ান নিজে থেকেই স্যরি বলে রাগারাগির অবসান ঘটাতে চায়।
একদিন আয়ান প্রপোজ করে লাবন্যকে। লাবন্য বলে এভাবে নয়, ওমুক কফিশপে কালকে উপস্থিত লোকজনের সামনে যদি প্রপোজ করতে পারো তবেই ভেবে দেখবো।
আসলে আয়ানকে অপমান করার জন্য যে লাবন্য প্ল্যান করেছে সেটা আয়ান বুঝতে পারেনি।
পরদিন সেই কফিশপে আয়ান একটা গোলাপ নিয়ে হাজির। কফিশপে ভর্তি মানুষজন। একপাশে কয়েকটি টেবিলে সব লাবন্যর বন্ধু বান্ধবীরা। লাবন্য অপেক্ষায় ছিল।
আয়ান কফিশপে ঢুকেই এগিয়ে এসে লাবন্যর সামনে দাড়িয়ে গোলাপটা লাবণ্যর দিকে বাড়িয়ে ধরে জোরে বললো— আই লাভ ইউ লাবন্য।

এবার লাবন্য হাততালি দিয়ে হেসে উঠে বললো— তোদের মতো রাস্তার ছেলেদের ধান্ধাই হলো সস্তায় ফুল কিনে কোটিপতির মেয়েদের পটানোর। কি করে ভাবলি তোর মতো একটা রাস্তার ছেলেকে আমি ভালোবাসবো? আরে তোকে এত এত লোকের সামনে অপমান করবো বলেই তোর সাথে বন্ধুত্বতার একটু অভিনয় করে এ পর্যন্ত নিয়ে আসলাম। একটা কথা মনে রাখবি, কুকুরের জন্য পচা বাসি খাবারই পার্ফেক্ট, এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা বোকামি।
আয়ান ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে লাবন্যর দিকে।
লাবন্যর বন্ধু বান্ধবীরা সবাই হাসাহাসি করছে আয়ানকে নিয়ে। আর কফিশপের বাকি লোকজন চুপচাপ।
গোলাপটা আয়ানের হাত থেকে নিয়ে নিচে ফেলে পায়ের তলায় পিষে লাবণ্য বললো— গোলাপের মতোই তোর স্থান এই পায়ের তলায় বুঝলি।
আয়ান আচানক লাবন্যর হাত ধরে টান মেরে লাবন্যকে কাছে এনে...

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com