আইসিটি স্যার যখন বর । পর্ব - ০৪



ক্লাসে ডুকে যেই বসতে যাব ওমনি রাক্ষসটার ধমক দেওয়া শুরু

স্যারঃ বসতেছ কেন?😡😡😡
ফারহাঃ আপনি তো বললেন,,,,
স্যারঃ তোমাকে আমি বসতে বলছি?😡😡
ফারহাঃ না মানে স্যার আসলে,,,
স্যারঃ দাঁড়িয়ে থাকো।
ফারহাঃ 😭😭😭😭😭
উফ দাঁড়াতে দাঁড়াতে পায়ে ব্যথা হয়ে গেছে। এই সব কিছু বজ্জাত স্যারটার জন্য হলো,,,এইকে তো ছাড়বোই না। আর এই জিহা হারামিটাকে দেখেন আরামে বসে আছে।ইচ্ছা করতেছে সব গুলাই হারামিরে চিবিয়ে খেয়ে পেলি।।

উফ বাচলাম অবশেষ জল্লাদ টার ক্লাস শেষ হলো,, ,, একটু বসি। তারপর সব ক্লাস শেষ করে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হচ্ছিলাম এমন সময় স্যারের বাইকটা চোখে পড়ল আর স্যার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার রাস্তাও খুজে পেলাম। আগে এই জিহাটাকে ভাগাতে হবে।।।

ফারহাঃ জিহা তুই যা আমার একটা কাজ আছে,,,,কাজটা সেরেই আসতেছি।
জিহাঃ তুই আবার কোথায় যাবি?
ফারহাঃ এত কথা বলিস কেন তোকে যেতে বলছি যা না আমার কাজটা সেরে চলে আসতেছি।
জিহাঃ দূর বাবা,,,তোর কখন কি কাজ চলে আসে বুঝাই মুসকিল।
জিহা বকতে বকতে চলে গেলো আর আমি এই সুযোগে চারপাশটা একবার দেখে নিলাম,,,কেউ নেই দেখে মুখ থেকে সুইংগ্যাম নিয়ে স্যারে বাইকে লাগানো শুরু করলাম। বজ্জাত ডেবিল স্যার আমাকে শাস্তি দেওয়া তাই না? আজকে বুজবা মজা,... চান্দু তুমি এখনো মোরে চিনো নাই। কোনো দিক না তাকিয়ে বাইকে বসার পুরো জায়গাতে সুইংগ্যাম লাগাচ্ছি। পিছন থেকে কে যেন ফারহা বলে ডাক দিলো। কন্ঠটা কেমন চেনা চেনা লাগতেছে,, ক্লাসের কেউ হবে হয়তো তাই

না তাকিয়ে,,, আরে ভাই ডিস্টার্ব করতেছিস কেন? দেখছিস না কাজ করতেছি? এবার একটু জোরে ডাক দিলো।
বিরক্তি নিয়ে তাকাতেই আমি ৪৪০ ভোল্টের শক খেলাম। স্বয়ং জল্লাদ স্যারটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,আমার তো কান্না করে দেওয়ার অবস্থা।
স্যারঃ তুমি আমার বাইকের সামনে কি করছিলে?
ফারহাঃ না মা মানে আ,, সলে স্যার,,
স্যারঃ তোতলাচ্ছো কেন? বলো কি করছিলে?
ফারহাঃ স্যার এইটা আপনার বাইক? আমি তো জানতাম না। আসলে বাইকটা খুব সুন্দর তো আমি এমন বাইক কখনো দেখি নাই তাই একটু ভালো করে দেখছিলাম এই আর কি?
স্যারঃ আচ্ছা তাই না? তাহলে তোমার হাতে আর আমার বাইকে এই গুলা কি?
ফারহাঃ কই না তো আমার হাতে কিছু নাই,,,,আর আপনার বাইকে মনে হয় পাখি ইয়ে করে দিছে আমি কিছু করি নাই স্যার বিশ্বাস করেন।

স্যারঃ পাখি,,😱😱😱😱
ফারহাঃ হুম স্যার পাখি। স্যার আমার বাসায় যেতে দেরী হয়ে যাচ্ছে। আমি তাহলে আসি,,,,
এসব বলে যে চলে আসতে যাব ওমনি স্যারের ডাক,,,,
স্যারঃ আরে ফারহা তুমি এত কষ্ট করে আমার বাইকের এই অবস্থা করলা,,,কিন্তু শাস্তি না নিয়েইই চলে যাবা? তা কি কখনো হয় বলো?
ফারহাঃ কই স্যার আমি কিছু করি নাই তো
স্যারঃ আচ্ছা কিছু করো নাই তো বাইকে সুইংগ্যাম আসলো কি ভাবে? নাকি এখন বলবা যে আমার বাইকেই সুইংগ্যাম খেয়ে নিজের এই অবস্থা করেছে।
ফারহাঃ স্যার আপনি কিন্তু খুব বুদ্ধিমান।কত সহজে বুজে গেলেন।
স্যারঃ রাখো তোমার ফালতু কথা। এখনি বাইকটা পরিষ্কার করে দিবা আর বাইক থেকে যত সুইংগ্যাম উঠেবে সব নিজের চুলের মধ্যে লাগাবা

ফারহাঃ এ্যাঁ😲😲😲😲
স্যারঃ জিইই হ্যা,,,
ফারহাঃ 😭😭😭😭😭😭😭
স্যারঃ তোমার এই নেকা কান্না করে কাজ হবে না। তাড়াতাড়ি করো আমার কাজ আছে।
ফারহাঃ স্যার,,,,,,😭😭😭😭😭
স্যারঃ তুমি লাগাবা নাকি আমি লাগিয়ে দিবো? আমি লাগালে কিন্তু চুলের এমন অবস্থা হবে যে ডাব্বু মাথা হতে বাধ্য হবে তুমি। তুমি কি চাচ্ছো আমাকে দিয়ে করাতে? ওকে আই হেভ নো প্রবলেম,,, তাহলে শুরু করা যাক?

ফারহাঃ স্যার স্যার এমনটা করবেন না স্যার। আমার এখনো বিয়ে হয় নাই স্যার। আমার আম্মির কত দিনের শখ তার একটা মেয়ের জামাই হবে,, তাকে জামাই আদর করে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবে,, আমার আব্বুর শখ মেয়ের জামাইর সাথে বসে বসে গল্পগুজব করবে,,,আমার বোনের কত স্বপ্ন তার একটা দুলাভাই হবে,, দুলাভাইয়ের সাথে গুরতে যাবে মজা করবে আড্ডা দিবে,,,, স্যার আপনি ওদের স্বপ্ন গুলো এইভাবে নষ্ট করে দিয়েন না স্যার।

স্যারঃ😱😱😱😱,,,,, (এই মেয়ে বলে কি এসব?) আচ্ছা ঠিক আছে তোমার করা লাগবে না,,,
ফারহাঃ😃😃😃
স্যারঃ আমি করে দিচ্ছি।
ফারহাঃ 😱😱নাহহহহহহহহহহহহ। 😭😭😭 আপনার করা লাগবে না আমি নিজেই করে নিচ্ছি।
স্যারঃ আরে না না তুমি কেন কষ্ট করবা,,,,আমিই না হয় করে দি,,,,,
ফারহাঃ(হুহ কত দরদ,,,,যেন উতলায় পরতেছে) না না স্যার কিসের কষ্ট,,,,, আমি করে নিচ্ছি কোনো কষ্ট হবে না।

স্যারঃ ওকে ফাইন,, তুমি যখন এত করে বলছো তো তুমিই করো,,
নিজেই নিজের চুলের বারোটা বাজাচ্ছি,, এই দিনটাও আমায় দেখতে হলো।নিজের পায়ে আমি নিজে কুড়াল মারলে যা হয় আর কি,,,,,শয়তান,, ইতর,, রাক্ষস,, হুতুম পেঁচা,,রাবিশ, পচা ডিম হনুমান,,সাদা বাদর,,কালো বিড়াল তোর জন্য আমার সাদের চুল নিজের হাতে শেষ করতেছি 😭😭😭😭😭 তোকে তো আমি কিছুতেই ছাড়বো না)
স্যারঃ মনে মনে বকবক না করে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করো।
স্যারঃ হুম যাও।আর শুনো আর একবার কিছু করার আগে ভেবে চিন্তে করবা ঠিক আছে?
ফারহাঃ😲😲😲😲
বাসায় এসে দীর্ঘ এক ঘণ্টা শ্যাম্পু করার পরও চুল থেকে সুইংগ্যাম আলাদা করতে আমি ব্যর্থ,,,,,
তাই বাধ্য হয়ে চুল কাটতে হলো( স্যারের বাচ্চা তোকে তো আমি এমন অবস্থা করবো
যে আমায় দেখে আম্মা আম্মা করবি,,,,দূর ছাই আম্মা কেন বলতে যাবে,,,এই স্যারের কারণে আমি পুরাই পাগল হয়ে যাচ্ছি) , আম্মি তো সেই চিল্লাচিল্লি করেতেছে,,,,,,,আম্মিকে বলছি যে ফ্রেন্ডরা মজা করে লাগাই দিছে,,আসলে কথা বললে তো বাসা থেকেই বের করে দিবে,,,,,

চলবে....
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url