পুলিশিনি যখন ক্রাশ । পর্ব - ০৪
ঠাসসসসসস,,,,,আমাকে হালার পুত বলা,,,আজ তো তুই শেষ?


:-আল্লাহ্ গোগো বাচাঁও আমাকে 
(আমি)


(পুলিশিনীকে দেখে নীলয় আর কাব্য দৌড়ে কলেজ থেকে বের হয়ে গেলো)
:-তোকে আজ কেও বাঁচাবে না? 


:-আমার সাথে এমন করছেন কেনো? আমি কি করছি? 




:-শা*লা বুঝতে পারছো না,,,,তোকে সেদিন বলছিলাম না এর ফল ভালো হবে না!! 



:-প্লিজ আমাকে ছেঁড়ে দিন,,,

:-তুই চল আজ থানায়,,,তোর কি অবস্থা করি দেখবি শুধু! 


(তারপর আমাকে কলার ধরে টানতে টানতে কলজে থেকে বের করতে থাকলো)
(কলেজের সবাই তাঁকিয়ে আছে)
:-প্লিজ মেডাম,,,আমাকে ছেঁড়ে দিন সকলে দেখতেছে!! 
(আমি)


:-দেখুক!! শা*লা তোকে সেদিন বলছিলাম বেশি বাড়াবাড়ি করিস না! 



:-নাহহ্হ্,,,সত্যি সেদিন বেশি করে ফেলেছি,,, শুরুভি প্রচুর রেগে আছে!





(শুরুভি পুলিশিনী কোন কথা না শুনে,,আমাকে সোজা থানায় নিয়ে আসলো)
থানায় আনার পর,,,
:-করিম সাহেব? থানা খুলুন!! 
(পুলিশিনী)


:-


...(আমি হাঁ করে তাঁকিয়ে আছি,,,তাহলে কি সত্যি সত্যি আজ আমার খবর আছে)




থানা খুলার পর,,আমাকে ভিতরে নিয়ে গেলো,,সাথে শুরুভি পুলিশিনীও আসলো!!
:-মেডাম দোয়া করুন!!! আমি অনেক বড় ভুল করেরে ফেলেছি,,,আমাকে ছেঁড়ে দিন!! 





:-ছাঁড়বো তো অবশ্যই,,,কিন্তু তোকে ক্রাস খাওয়ার জ্বাল বুঝাতে হবে না!

(করিম সাহেব লাঠিটা আনেন)
:-এমন করবেন না প্লিজ সামনে আমার Exam!! 




:-শা*লা আমার সাথে ফাজলামি করিস,,,আমাকে ব্লাকমেইল করার জ্বালা তোকে এখন বুঝাবো!! 


(একটি পুলিশ লাঠি দিয়ে গেলো)
পুলিশিনী লাঠিটা হাতে নিয়ে,,আমার পাঁয়ে খুব জোরে একটি বারি দিলো,,,,,
:-আহ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্হ্,,,,,মা গোগোগো 


(আমি সহ্য করতে না পেরে ফ্লোরে পরে গেলাম!!)




:-ঔই শা*লা এক বারিতে মাটিতে বসে গিছে,,,কেও ভিতরে এসে তোকে তুলে ধরে রাখো!! 





:-আমাকে মারবেন না প্লিজ,,,আমি আর কখনো আপনার সামনে আসবো না!! 

(পুলিশিনী যে এতো ভয়ংকার হবে কখনো ভাবিনি ,,তাও আবার এতুটুকু বিষয় নিয়ে)



:-চুপপ,,শা*লা!! তারপর কেও একজন এসে আমার তুই বাহু ধরে তুলে ধরলো!!
তুলে ধরার সাথে সাথে,,,, পুলিশিনী আবার আমাকে বারি দিলো অন্য পাঁয়ে খুব জোরে)
:-মা গোগোগো,,,দোয়া করুন 

(আমি আর সহ্য করতে পারলাম না)



:-শা*লা আমাকে ইফটিজিং করা,,ক্রাস খাবি না 


(এই গুলো বলতেছে আর আমার দুই পাঁয়ে বারি দিচ্ছে! পাঁয়ে ছাঁড়া কোথাও মারছে না)
:-আল্লাহ্হ্হ্,,,,আহ্হ্হ্হ্হ্,,,অনেক লাগছেেে আর মারবেন না প্লিজ 

(আমি)



:-ঠাসসমম,,,ঠাসসসস,,,ঠাসসসসস,,,

(পুলিশিনী কোন কথা না বলে,,,আমাকে তিনটা থাপ্পর মারলো,,আর তার সঙ্গে সঙ্গে আমার ডান পাঁয়ে তার গাঁয়ের সর্ব শক্তি দিয়ে একটি বারি দিলো)



বারিটা খাওয়ার পরর আর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পেলাম না,,,
:-মমমমমা গোগগোগোগো



(এক চিৎকার দিয়ে,)





(পাঁ আমার অবাশ হয়ে গিছে,,,,বল পাচ্ছি না পাঁয়ে,,, নিজের শরীরের ভর এখন ঔই পুলিশের হাঁতের উপর)
:-মামা গোোগোগো,,,আর পারছি না 



(অনেক কষ্ট হচ্ছে,,,মনে হচ্ছে শেষ বারিতে পাঁ টা ভেঙে গিছে)





:-মেডাম,,আর মাইরেন না!! পাঁ ভেঙে গিছে মনে হয়,,, (অন্য পুলিশটি যে আমাকে ধরে রাখছিলো)
:-......(পুলিশিনী আর না মেরে তাঁকিয়ে আছে)
:-দোয়ায়া করুননন,,,আল্লাহর দোহায় লাগে প্লিজ আর মারবেন,,আমি আর কখনো আপনার সামনে আসবো না 










:-মেডাম পাঁটা গিছে মনে হচ্ছে,,,(পুলিশটি)
(আমাকে ছেঁড়ে দিলো,,,আর আমি ফ্লোরে শুয়ে মরলাম,,আর পাঁ ধরে কাঁদতে লাগলাম)
:-






....(আমি শুধু শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগলাম)








:-মেডাম এটাকে কি করবো?
:-ওর বন্ধুদের কল দিয়ে,,,ওকে নিয়ে যেতে বলো? (পুলিশিনী এটি বলেই,,আর কিছু না বলে,,বের হয়ে গেলো)
(তারপর পুলিশটি আমার পকেট থেকে ফোনটি বের করে আমার বন্ধুদের কল দিলো)
কিছুক্ষণ পর,,,নীলয় আর কাব্য থানায় আসলো,,
থানায় এসেই,,,উরা আমাকে জেলের মধ্যে পরে থাকতে দেখে,,,
উরা দৌড়ে ভিতরে আসলো,,,,
:-বন্ধু একি অবস্থা করছে তোর? 
(নীলয়)


:-বন্ধু,,,প্লিজ আমাকে নিয়ে চল? আমি আর সহ্য করতে পারছি না 
(আমি)


:-হুমমম,,, তোর পাঁয়ে কি হইছে? 
(কাব্য)


:-শোন,,,তোমাদের বন্ধুর পাঁ ভেঙে গিছে,, ডান পাঁ!! ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাও? (বাইরে থেকে একটি পুলিশ)
:-কিহ্হ্হ্হ্,,,,

(নীলয় আর কাব্য)



:-প্লিজ আমাকে নিয়ে চল? 
(আমি)


(তারপন নীলয় আর কাব্য আমাকে উঠলো,,,,ওদের কাঁধের উপর ভর দিয়ে আমার বাম পাঁয়ে চলতে লাগলাম!
বের হয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম,,,পুলিশিনী দাঁড়িয়ে আছে,,,
পুলিশিনীকে দেখে নীলয়,,,
:-মেডাম,,,সামান্য বিষয়টি নিয়ে এমন করাটা কি ঠিক করেছেন? 
(নীলয় পুলিশিনীকে বললো)


(পুলিশিনী শোনার পর,,কেমন করে চোখে যেনো তাকালো)
:-সামান্য বিষয়টি নিয়ে এভাবে পশুর মতো মারতে পারলেন,,,আপনি মানুষ না অন্য কিছু! 

(কাব্য)



:-



... (পুলিশিনী নিজেকে অপরাধী বোধে চোখে তাঁকালো)





:-কিহ্হ্হ্,,,অপরাদ ছিলো ওর,,,ভালোবাসা কি অপরাধ!! আপনি না বাসলে বলে দিতেন,,,এভাবে মারতে পারলেন? 
(নীলয়)


:-ঔই তোরা চুপপপ করবি!! 

(আমি)



ওদের চুপ করিয়ে দিয়ে,,,
:-আমাকে মাফ করে দিয়েন,,,আমি আর কখনো আপনাকে বিরক্ত করবোন না,,,আপনার সামনে আর কখনো আসবোন না 


(আমি)




(এই বলে আমরা ওখান থেকে চলে আসলাম)
আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর,,,
এক্সরে করে বুঝা গেলো,,,সত্যি সত্যি আমার ডান পাঁ ভেঙে গিছে!!
ডাক্তার ব্যান্ডেজ করে দিলো,,,,
তারপর,,
আম্মুকে খবর দেওয়া হলো,,,
:-কিরে বাবাহ্হ্,,,,তোর এই অবস্থা হলো কিভাবে? 

(মা এসেই কান্না শুরু করে দিছে)



:-মাহ্হ্,,,বেশি কিছু হয়নি,,,হোন্ডা থেকে পরে গিয়ে পাঁ টা ভেঙে গিছে
(আমি)

:-তোকে আমি কতবার বলেছি হোন্ডা দেখে চলাবি!! 
কিন্ত তুই আমার কথাই শুনিস না!! (মা)


:-মাহ্হ্,,,,চিন্তা করো না,,,তারাতারি ঠিক হয়ে যাবো!! তুমি এখন বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসো? খিদা লাগছে!!
ডাক্তার বলছে,,কালকে আমাকে ছাঁড়বে!! (আমি)
:-ওকে,,,আমি যাচ্ছি!! 
(মা এই বলে চলে গেলো)


মা চলে যাওয়ার পর,,,
:-ঔই তুই মিথ্যা বললি কেনো? (নীলয়)
:-তো কি বলবো? মাকে বলবো আমাকে এভাবে পুলিশ মেরেছে,,,যাতে আরো টেনশন করুক!!
(আমি)

:-এখন কি করবি? (কাব্য)
:-কিছুই না,,,পুলিশিনীর থেকে দূরে দূরে থাকবো!! 
(আমি)


(আমাদের কথা বলার মাঝে,,,
:-আরে আপনি এখানে,,আপনার পাঁয়ে কি হয়েছে?
(সেদিন রেস্টুরেন্টের তিনটি মেয়ের মধ্যে একজনন,,,,শুরুভি পুলিশীনার বান্ধবী)

:-আরে আপনি ভালো আছেন?
(আমি)

:-হুমম,,,ভালো!! আমি ডাক্তারের কাছে আসছিলাম একটু কাজে,,,আপনাকে দেখে ভিতরে আসি!!
(মেয়েটি)

:-ওহো,,,পরিচিত হোন,,,আমার বন্ধু নীলয় আর কাব্য!!
আর বন্ধু ইনি হচ্ছেন,,,,শুরুভির বান্ধবী!! (আমি)
:-হায়,,,,কিন্তু আপনারা বলবেন প্লিজ,,,আপনার পাঁয়ে কি হইছে!! (মেয়েটি)
:-ভেঙে গিছে!! 
(আমি)


:-কিন্তু,,,কিভাবে!! (মেয়েটি)
(আমি বলার আগেই,,
:-কিভাবে আবার!! আপনার বন্ধবী ওকে মেরে পাঁ ভেঙে দিছে
(নীলয় বলে দিলো)

:-ঔই চুপপপ
(আমি)

:-তুই চুপপ কর,,,আমাকে বলতে দে?
(নীলয়)

:-কিহ্হ্হ্,,,শুরুভি করেছে!! কিন্তু কেনো? (মেয়েটি অবাক হয়ে)
:-কেনো আবার,,,আপনার বান্ধবীকে ভালোবাসে বলে,,,সেদিন রেস্টুরেন্টে আপনাদের সাথে একটু মজা করছে বলে?
(কাব্য)

:-কিহ্হ্হ্,,,,বলছেন? (মেয়েটি)
:-হুমমম,,,,,বিশ্বাস না হলে,,,আপনার বান্ধবীকে ফোন দিয়ে জিঙ্গাসা করুন!! (নীলয়)
:-ঔই তুরা চুপপ করবি!! (আমি)
:-ভাইয়া,,আপনি থাকুন পরে আসবো দেখা করতে,,,আমি আসতেছি!!
(মেয়েটি এই বলে বের হয়ে গেলো)

মেয়েটি বাইরে এসে,,শুরুভিকে ফোন দিলো,,,
:-হ্যালো,,বন্ধু বল? (শুরুভি ফোন ধরে)
:-তুই এটি করলি কিভাবে? (মেয়েটি)
:-কি করেছি!! (শুরুভি)
:-তুই শুধু ছেলেটিকে মারিস নি,,,ওর পাঁ ভেঙে দিছিস!! তুই তো অমানসিকতার পরিচয় দিয়েছিন!! (মেয়েটি)
:-বন্ধু,,,আমি কি করবো বল!! অনেক রেগে ছিলাম,,,
(নরম গলায়)
(নরম গলায়)
:-তুই চুপপ কর!! ছেলেটি তো কোন দোষ করেছিলো না,,,তোকে ভালোবানস ছিলো!!
আর ভালোবাসা তো দোষের না,,,,তোর ভালো লাগে না,, বলে দিলেই পারতি,,,,কিন্তু তুই তা না করে,,,,,ছেলেটাকে পশুর মতো মেরেছিস!!
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com