আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০৫
রুহি- উমম কি সাস্তি দেওয়া যায়(ভাবতে লাগলো)
তারপর হঠাৎ করে আপু এমন একটা কাজ করলো যার জন্য আমি মুটেও প্রস্তুত ছিলাম না
হঠাৎ করে আপু আমার দিখে ঝুকে তার গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট দুটো দিয়ে
আমার ঠোঁট চেপে দরলো কয়েক সেকেন্ডর মধ্যেই এসব হয়ে গেলো কিছু বুঝে উঠার আগেই
এই দিখে আমি আপুর এমন কাজ দেখে বরফের মতো জমে গেছি আবার ভালোও লাগচ্ছে
জীবনে প্রথম বার কোনো মেয়ের ঠোঁটের ছোঁয়া পেলাম আপু
পাগলের মতো আমার ঠোঁট দুটার উপর অত্যাচার করচ্ছে হঠাৎ করে আমার হুস আসলো
আপু কে আমার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু আমি ব্যর্থ
আপু আরো শক্ত করে আমার মাথার চুল চেপে দরলো তারপর হঠাৎ করে
আপু ঠোঁটে এত জোরে কামড় দিলো যে সহ্য করতে না পেরে শরীরের সব ঠুকু শক্তি দিয়ে
আপু কে আমার থেকে ছাড়িয়ে ঠাসস করে বিছানা থেকে ফেলে দিলাম তারপর ঠোঁটে আঙুল দিলাম দেখি (রক্ত) ঠোঁট কেটে গেছে
আমি- এই আপনি পাগল নাকি কি করচ্ছেন এসব(রেগে)
রুহি চুপ করে আছে কিছু বলচ্ছে না
আমি- ছিঃ আপনি এত খারাপ যানা ছিলো না আপনাকে আমি বড় আপুর মতো সম্যান করছিলাম আর আপনি এমন কাজ করলেন
রুহি এখনো কিছু বলচ্ছে না
আমি- আপনি যদি আমার থেকে বয়সে বড় না হতেন তাহলে এখন থাপ্পড় দিয়ে আপনার সব গুলা দাঁত ভেঙে দিতাম (রেগে)
এখনো কিছু বলচ্ছে না
আমি আর কিছু না বলে উঠে চলে আসতে যাবো তখন আপুর দিখে তাকালাম কান্না করচ্ছে আরো রাগ উঠে গেলো
আমি- এই কাদঁচ্ছেন কেনো একদম চুপ কাদঁবেন না (ধমক দিয়ে)
কথা গুলা বলার সময় হঠাৎ ফ্লোরের দিখে চোঁখ পরলো দেখি রক্ত পরে আছে তারপর আপুর হাতের দিখে তাকালাম দেখি আপুর হাত থেকে অনেক রক্ত পরচ্ছে মনে হয় আমার ওভাবে দাক্কা দেওয়ায় পরে গিয়ে কোনো ভাবে কেটে গেছে
আমি- এই আপনার হাত থেকে রক্ত পরচ্ছে আপনার হাত কেটে গেছে
কোনো রিয়াকশনই নেই আপুর
হাত টা অনেক বেশি কেটে গেছে অনেক রক্ত পরচ্ছে এসব দেখে রাগ ভুলে গিয়ে আগে আপু কে উঠাতে লাগলাম আপু কে দরে দার করালাম আপু আহ বলে একটা চিৎকার করলো ঠিক মতো দাড়াতে পারচ্ছে না তার মানে পায়েও অনেক ব্যাথা পাইছে নিজের কাছেই এখন খারাপ লাগচ্ছে অনেক খারাপ লাগচ্ছে রাগের মাথায় এটা কি কি করলাম এখন যদি আন্টি এসে জিজ্ঞেস করে আপুর এ অবস্থা হলো কি করে তখন আমি কি জবাব দেবো
তারপর আপু কে দড়ে কোনো রখমে বিছানায় শুইয়ে দিলাম তারপর সাথে সাথে কল দিয়ে পরিচিত এক ডাক্তার আঙ্কেল কে আসতে বললাম
আমি আপুর দিখে তাকাতেও পারচ্ছি না কথা বলা তো দূরের কথা কোন মুখে কিছু বলবো এসব তো আমার কারনেই হয়েছে
কিছু ক্ষনের ভিতর ডাক্তার আঙ্কেল চলে আসলো আপুর কাটা যায়গায় ওয়াশ করে বেন্ডেজ করে দিলো আর কিছু ঔষধ লিখে দিলো ডাক্তার আঙ্কেল চলে যাওয়ার পর আন্টি আপু কে জিজ্ঞেস করল
আন্টি- এসব কি করে হলো
আপু যদি এখন আমার কথা বলে দেয় তাহলে আন্টি কি ভাববে আমি চুপ করে এক সাইডে দাড়িয়ে আছি তখন আপু যা বলল তা শুনে আমি অবাক
আপু বলল "হঠাৎ করে হুচট খেয়ে পরে গেছিলাম তাই"
আন্টি- একটু দেখে শুনে হাটতে পারিস না এখন যদি বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটে যেত তুই আমাদের এক মাত্র মেয়ে তোর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমরা কি নিয়ে বাচঁবো(কান্না করে)
আপু- আহ আম্মু কান্না করো না তো আমার কিছু হয় নি তো
তারপর আন্টি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল " বাবা তুমি একটু ওর কাছে থাকো আমি আসচ্ছি" বলেই আন্টি চলে গেলো
আমি মাথা নিচু করে চুপ করে দাড়িয়ে আছি
আপু- কি রে এত দূরে দাড়িয়ে আছিস ক্যান এদিখে আয়
আপু কাছে গেলাম
আমি- আপু সরি আমাকে ক্ষমা করে দিন আমি আপনাকে আঘাত দিতে চাই নি
আপু- দেত পাগল তুই ক্ষমা চাচ্ছিস কেনো তুই কোনো ভুল করস নি ক্ষমা তো আমি চাইবো কারণ ভুল টা আমি করছি
আসলে আপু আমাকে কিস করায় আমার রাগ উঠে নি ওটা তো ভালোই লাগচ্ছিলো কিন্তু ওই যে কামড় দিলো ওটার জন্য রাগ উঠে গেছিলো আর আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারি না
আমি- আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে না
আপু- সরি আসলে তুই ওমন অভিনয় করছস আমার সাথে তাই এভাবে তোকে কামড় দিছি
রাক্ষসী প্রথমে কিস করছে পরে কামড় দিছে শাঁকচুন্নি এখনো ব্যাথা করচ্ছে ঠোঁটে
আপু- কিরে কিছু বলচ্ছিস না কেনো
আপু আবার বললো তোর ঠোঁট টা তো দেখচ্ছি ফোলে গেছে
হ আরেকটা কামড় দাও ঠিক হয়ে যাবে আস্তে আস্তে
আপু- বিড়বিড় করে কি বলচ্ছিস
আমি- কই কিছু না তো
আপু- আমি যদি আবার কখনো রাগ করে তোকে এভাবে সাস্তি দেই তাহলে কি তখনও আমাকে এভাবে মারবি (কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে)
আমি- সরি বললাম তো আমি তো ইচ্ছে করে করি নি আর এমন সাস্তি ক্যান দিবে অন্য কোনো সাস্তি নাই
( যাক ঠিক আছে আমি তো ভাব ছিলাম তুই বলবি এখন থেকে আর আমার সাথে মিশবি না)
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে অন্য সাস্তি দিবো
আমি- হুম
আপু- খিদা লাগছে
আমি- আমি নিচে যেয়ে আন্টি কে বলচ্ছি খাবার নিয়ে আসতে
আপু- না আম্মুর আসা লাগবে না তুই খাবার নিয়ে আয়
আমি- কিন্তু কি করে খাবেন আপনার তো হাত কাটা
আপু- তুই যা খাবার নিয়ে আয় আমি কি করে খাবো সেটা তোর ভাবতে হবে না
আমি নিচে যেয়ে খাবার নিয়ে আসলাম এসে আপু কে বললাম এই নিন আপনার খাবার খেয়ে নিন
আপু- তুই কি গাধা
আমি আবার কি করলাম
আপু- দেখচ্ছিস না আমার হাত কাটা কি করে খাবো( রেগে)
আমি এই না বললেন আপনি কি করে খাবেন সেটা নিয়ে আমার ভাবতে হবে না তাহলে এখন এই কথা বলেন ক্যান
আপু- তুই এত কথা বলস ক্যান
আমি- আন্টি কে ডেকে দিবো ওনি আপনাকে খাইয়ে দিবে
আপু- কুত্তা বেশি কথা বলস ক্যান তোরে আমি বলছি আম্মু কে ডেকে দিতে (রেগে)
আস্তে আস্তে আবার শাঁকচুন্নি রুপ টা দারণ করচ্ছে (মনে মনে,)
আমি- না বলেন নি
আপু একটু সময় চুপ থেকে আমাকে বলল " এদিখে আয় "
আমি আপুর পাশে যেয়ে বসলাম
আপু- তুই আমাকে খাইয়ে দে
আমি- আমি খাইয়ে দেবো
আপু- হ্যাঁ তুই খাইয়ে দিবি
আমি- কিন্তু আপু
-- কোনো কিন্তু না
--আমি পারবো না
-- ক্যান পারবি না
-- আমি কখনো কাউকে খাইয়ে দেই নি আমি পারবো না
-- বুঝেছি এভাবে তুই রাজি হবি না ( মনে মনে)
আপু- তুই আমাকে ব্যাথা দিছস তোর জন্য আমার হাত কাটছে এখন এটা তোর সাস্তি তুই আমাকে খাইয়ে দিবি
বুঝতে পারছি না খাইয়ে দিলে এই মেয়ে ছাড়বে নস
আমি- আচ্ছা ঠিক আছে খাইয়ে দেবো
আপু- এই তো গুড বয়( মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে)
আমি - আচ্ছা আমি হাত ধুয়ে আসি।
চলবে....
