Breaking News

আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ০২



দরজা খুলে বাহিরে থাকিয়ে তো আমি অবাক

মনে মনে বললাম এই মেয়ে পিছু করতে করতে একেবারে বাসা অবদি চলে আসছে
ওদিখে মেয়েটা
মেয়েটা- এ এখানে কি করে কোথাও আবার এরখম টা যদি হয় তাহলে তো চান্দু তোমার ১২ টা বাজাবো(মনে মনে)

তখনই আম্মু এলো
আম্মু- রিয়াদ কে এলো রে ( বলেই দরজার দিখে থাকিয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে দরলো একটা মহিলা কে মানে ওই মেয়ের সাথে একটা মহিলাও ছিলো)
আম্মু- রিনা কেমন আছিস তুই কত দিন পর দেখলাম তোকে ( বলেই মরা কান্না শুরু)
আর এই দিখে আমি আর ওই মেয়ে শুধু হা করে থাকিয়ে ওনাদের কাহিনী দেখচ্ছি
তো কান্না পর্ব শেষ হলে আম্মু বললো এটা তোর মেয়ে ( ওই মেয়েটাকে দেখিয়ে)
আন্টি - হুম
আম্মু - কেমন আছো মা সেই কবে ছোটো থাকতে দেখে ছিলাম কত বড় হয়ে গেছো
মেয়েটা- আলহামদুলিল্লাহ আন্টি আপনি কেমন আছেন
আম্মু- আমিও ভালো আছি মা
আম্মু - তোমার নাম রুহি তাই না
মেয়েটা- হ্যাঁ আন্টি আপনি কি করে জানলেন
আম্মু- বললাম না ছোটো থাকতে দেখেছি তোমাকে
( এখানে আপনাদের এই বিষয় টা একটু ক্লিয়ার করি আন্টি রা আগে এই ঢাকা শহরেই থাকতো তারপর হঠাৎ করেই ওনারা কোথাও চলে যায় তারপর এই এক দেড় মাস আগেই ওনারা আবার তাদের আগের বাসায় ফিরে আসে তখন আব্বুর সাথে আন্টির রাস্তায় দেখা হয়েছিলো একদিন তখন আব্বু দাওয়াত করছিলো বাসায় আসার জন্য )

মেয়েটা- ও হ্যাঁ
তখন আন্টি আম্মু কে উদ্দেশ্য করে বলে
আন্টি - এটা নিশ্চুই তোর ছেলে( আমাকে দেখিয়ে) আম্মুও হ্যাঁ
রুহি- যা ভেবে ছিলাম তাই( মনে মনে)
আন্টি - কেমন আছো বাবা
আমি- আলহামদুলিল্লাহ আন্টি ভালো আপনি কেমন আছেন
আন্টি- আমিও ভালো তা বাবা পড়া লেখা করচ্ছো
আমি - জ্বী আন্টি এবার ওনার্স ১ম বর্ষে
রুহি - তারমানে শেষ মেষ একটা জুনিয়র ছেলের ( মনে মনে)
আন্টি- ও আচ্ছা আমার মেয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে
আমি- এই মেয়ে আমার সিনিয়র ( মনে মনে)
আন্টি- শুনলাম তোর একটা মেয়েও আছে তা মেয়ে কই( আম্মু কে উদ্দেশ্য করে)
আম্মু - স্কুলে গেছে চলে আসবে একটু পর
আম্মু - রিয়াদ তুই একটু রুহি মা কে নিয়ে যা আমাদের বাসা টা একটু ঘুড়িয়ে দেখা ততক্ষণ আমরা দুই বান্ধবী একটু গল্প করি
আমি- আচ্ছা
আমি- আমার সাথে চলুন আপু
তারপর রুহি আমার সাথে আসলো
রুহি- তোর এত ভাব কেনো রে
আমি অবাক হয়ে শুধু থাকিয়ে আছি রুহি সেটা বুঝতে পেরে আমাকে বলল
রুহি- এত অবাক হওয়ার কিছু নেই তুই আমার জুনিয়র তাই তোকে তুই করে বলচ্ছি ( এখন তুমি বুঝবা চান্দু এই রুহি কি জিনিস মনে মনে)

তারপর হাটতে হাটতে দু তলায় চলে এলাম তখন রুহি বলল
রুহি- তোর রুম কোনটা
আমি- আমার রুম দিয়ে কি করবেন ( অবাক হয়ে)
রুহি- দেখবো
আমি- সব রেখে আমার রুম কেনো
রুহি - কুত্তা এত কথা বলস ক্যান যা বলছি তা কর(রেগে)
তখন আমি আর কিছু না বলে আঙুল দিয়ে আমার রুম টা দেখিয়ে দিলাম
কেমন মেয়েরে বাবা প্রথম পরিচয়েই এমন ব্যবহার করচ্ছে
তো মেয়েটা যে আমার রুমে ঢুকলো আমিও পিছন পিছন গেলাম
রুহি- এটা কি রুম নাকি অন্য কিছু কি অবস্থা করে রেখেছিস রুমের( আসলে রুম টা একটু ওগুছালো)
আমি চুপ করে আছি ( আসলে আমার ওগুছালো থাকতে ভালো লাগে)
আমাকে চুপ থাকতে দেখে রুহি বলল

রুহুি- বাহিরে যা
আমি- কেনো
রুহি- তোরে বাহিরে যেতে বলছি ( রেগে)
চুপ চাপ কিছু না বলে বাহিয়ে আসতে লাগলাম তখন রুহি বলল
রুহি- বাহিরে যেয়ে দাড়িয়ে থাক আমি ডাক দিলে ভিতরে আসবি
আমি বাহিরে আসচ্ছি আর ভাবচ্ছি এই মেয়ে যে ব্যবহার করচ্ছে মনে হচ্ছে আমাদের অনেক বছরের পরিচয়
প্রায় ১০ মিনিট পর মেয়েটা আমার রুম থেকে বের হলো আমাকে বলল
রুহি- ভিতরে আয়
আমিও ভিতরে গেলাম ভিতরে যেয়ে তো আমি অবাক এটা কি আমার রুম নাকি ভুলে করে অন্য কারো রুমে ডুকে পরছি এত সুন্দর করে সাজানো বই বিছানায় নেই বালিশ টেবিলের উপর নেই কাপড় নিচে পড়ে নেই জুতা রুমের মাজখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই সব তার ঠিক ঠাক জায়গা মতো আছে
হঠাৎ রুহি বলল

রুহি - এখন থেকে সব সময় এভাবেই রুম টা সুন্দর করে রাখবি
আমি- আপু আপনি কষ্ট করে এসব গুছাতে গেলেন কেনো আমি পরে গুছিয়ে নিতাম( মিছা কথা)
আপু- তুই বুঝবি না
তখনই আম্মু ডাক দিলো আপু কে নিয়ে নিচে যেতে বলল তো গেলাম
আম্মু- এখানে বস (পাশে বসতে বলল)
বসলাম

আম্মু- রুহি তোদের কলেজে ভর্তি হবে
আমি- তো আমি কি করবো( আস্তে করে বললাম)
আম্মু- তুই প্রতিদিন রুহি কে ওদের বাসা থেকে নিয়ে কলেজে যাবি দুজন এক সাথে প্রতিদিন কলেজে যাবি
আমি - ক্যান ওনি একা যেতে পারবে না
আম্মু - ও একটা মেয়ে মানুষ ও একা একা যাবে কি করে রাস্তা ঘাঠে কত বখাটে ছেলেরা ঘুড়াফেরা করে তোর কি কোনো সমস্যা আছে রুহি কে সাথে করে নিয়ে যেতে( চোখ রাঙিয়ে)
আমি- না না আমার কেন সমস্যা হতে যাবে(দেত ভাবছিলাম এই মেয়ের থেকে দূরে দূরে থাকবো কিন্তু আম্মু বাঁশ দিয়ে দিলো)
আম্মু - আর প্রতিদিন বিকালে রুহির কাছে পড়তে যাবি পড়া শুনা তো সব গোল্লায় গেছে বাসায় তো ভুলেও পড়তে বসস না রুহি মা আমার ছেলে টাকে পড়াবে(রুহি কে উদ্দেশ্য করে)
আমি- আম্মু আসলে কি করতে চাচ্ছে আমি চাচ্ছি এই মেয়ের থেকে দূরে থাকতে আর আম্মু দেত ভালো লাগে না (মনে মনে)

ওদিখে রুহি
রুহি- অবশ্য ই আন্টি পড়াবো (এ তো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি মনে মনে)
যত ঠুক বুঝতে পারচ্ছি আমার জীবন তেনা তেনা হতে চলছে এই মেয়ে আজই যা করলো আর যে রাগ কথায় কথায় রাগ করে আমার কপালে মাইর লেখা আছে
তারপর আমি উঠে রুমে চলে গেলাম যেয়ে বিছানায় বসে বসে ভাবচ্ছি এই মেয়ের যে রাগ পড়তে গেলে তো দেখচ্ছি মাইরও খাবো এসব ভাবচ্ছিলাম তখন দরজায় টুকি
আমি- দরজা খুলা আছে
তখন দেখলাম সিমরান আমার রুমে ডুকলো
সিমরান - ভাইয়া (বলেই থেমে গেলো তারপর আবার বলল) ভাইয়া এটা কি তোমার রুম এত সুন্দর করে কে সাজালো
আমি- রুহি আপু
সিমরান- মানে
আমি- আম্মুর বান্ধবীর মেয়ে
সিমরান- সেটা তো বুঝতে পারছি নিচে ওনাদের সাথে কথাও বলছি কিন্তু রুহি আপু তোমার রুম গুছাবে কেনো

আমি- সেটা তো আমিও যানি না রুম ওগুছালো দেখলো আমাকে বাহিরে যেতে বলল ১০ মিনিট পর রুমে আসতে বলল এসে দেখি এই অবস্থা
সিমরান- ডাল মে কুচ কালা হে
আমি- এখানে কালার কি হলো
সিমরান- আজ ই প্রথম আমাদের বাসায় আসলো আজ প্রথম তোমার সাথে পরিচয় হলো আবার রুম গুছিয়ে দিলো কিছু একটা তো নিশ্চুই আছে
আমি- আপু ওই মেয়েটা যার কথা তোর কাছে বলছিলাম
সিমরান- কার কথা
আমি- ওই যার জন্য তোর চকলেট আনতে ভুলে গেছিলাম
সিমরান- তাহলে এখন আমি শিওর কিছু একটা আছে ডাল মে কুচ কালা হে
আমি- দেত যা তো আমি আছি আমার জ্বালায় আর তুই কালা কালা করচ্ছিস তখন থেকে( একটু রেগে)
সিমরান- কিসের জ্বালা
আমি- তারপর সব কিছু ওরে বললাম ওই মেয়ের রাগ দেখানো কলেজ নিয়ে যাওয়া পড়তে যাওয়া সব শুনে সিমরান বলল

সিমরান- তোর কপালে দুঃখ আছে ভাইয়া
তখনই রুমে ডুকতে ডুকতে রুহি বলল
রুহুি- কার কপালে দুঃখ আছে সিমরান
সিমরান- ও কিছু না আপু
রুহি- আমি কি এসে তোমাদের ভাই বোনের গল্পের মধ্যে বিরক্ত করলাম
সিমরান- আরে না না আপু
তারপর আপু এভাবে আমাদের সাথে কিছুক্ষন গল্প করে চলে গেলো
বিকালে আন্টি রা চলে গেলো ওনাদের বাসায়
তারপর ওনারা যাওয়া পর বাহিরে চলে গেলাম আড্ডা দিতে রাতে আসলাম বাসায় এসে খেয়ে ঘুৃমিয়ে পড়লাম
সকালে
সিমরান- ভাইয়া উঠ আর কত ঘুমাবি কলেজে যাবি না
সিমরানের ডাকা ডাকি তে ঘুম ভেঙে গেলো তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে চলে গেলাম তখন আম্মু বলল

আম্মু - আজ রুহি কলেজ যাবে ওর আব্বুর সাথে কলেজ শেষে ওকে বাসায় দিয়ে আসিস আর একটু খেয়াল রাখিস মেয়েটার
আমি- আচ্ছা ( বলে খেয়ে চলে গেলাম কলেজে)
যাওয়ার পরই শুভ্র র সাথে দেখা শুভ্র আমার বেস্ট ফ্রেন্ড
শুভ্র - কেমন আছিস মামা
আমি- এই তো ভালো তুই
শুভ্র - আমি ও ভালো
আমি - চল ক্লাসে যাই ( তারপর ক্লাসে চলে গেলাম)
দুটো ক্লাস করে আমি আর শুভ্র বাহিরে চলে আসলাম তারপর কলেজের পিছনে পুকুর পারে যেয়ে বসলাম উদ্দেশ্য সিগারেট খাওয়া
সিগারেট দড়িয়ে দুটে টান দিলাম তখনই পিছন থেকে কেউ নাম দরে ডাক দিল.....৷

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com