Breaking News

ভালোবাসি প্রিয় । পর্ব - ০৯



গত পর্বে ছিলো......মেহেদীর এমন আচরণে চোখের কোনে পানি নিয়ে বাসায় চলে আসে নাফিসা! তারপর....

বাসায় ফিরে ফোনটাও অফ করে দিয়েছে নাফিসা। রাতে মেহেদী কল করে দেখলো ফোন অফ। যাক, কষ্টটা তাহলে লেগেছে মনে!
আজ সেকেন্ড টার্ম কমপিটিশন। পলাশ স্যার মেহেদী ও রিয়াদকে সাথে নিয়ে নাফিসার জন্য অপেক্ষা করছে। স্যার কল করে ফোনটা বন্ধ পাচ্ছে! এতো দেড়ি কেন করছে! মেহেদী বললো,
- স্যার, নাফিসা মনে হয় আসবে না। আমাদের চলে যাওয়া উচিত।
- আসবে না কেন! হয়তো গাড়ির জন্য লেট হচ্ছে। আর একটু অপেক্ষা করি। আরেক মেয়ে ফোনটাও অফ রেখেছে!
মেহেদী মনে মনে বললো, "করতে থাকুন অপেক্ষা। আসলে তো!"
আরো পাচ মিনিট পর নাফিসা এসে হাজির। মেহেদী তাকে দেখে অবাক! ও তো শিওর ছিলো, কালকের ঘটনার পর নাফিসা আসবে না! তাহলে এলো কেন! নাফিসা মেহেদীর দিকে তাকাচ্ছেও না, কোন প্রতিক্রিয়া করছে না। না হাসছে আর না মন খারাপ করছে! সে একদম স্বাভাবিক আছে কিভাবে! এমন ভাব করছে যেন কিছুই হয়নি! নাফিসা স্যারকে উদ্দেশ্য করে বললো,
- সরি স্যার, রিক্সা পাচ্ছিলাম না। তাই একটু লেট হয়ে গেছে!
- ফোন বন্ধ কেন তোমার?
- স্যার ফোনে একটু সমস্যা হয়েছে।
- আচ্ছা চলো এবার।
- হুম।

স্যার তিনজনকে নিয়ে কমপিটিশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
মেহেদী বারবার তাকাচ্ছে নাফিসার দিকে। কিন্তু নাফিসা তাকাচ্ছে না।
নাফিসা একদম নরমাল বসে আছে। স্যার থাকায় মেহেদী কিছু বলতেও পারছে না!
অত:পর কমপিটিশনে এটেন্ড করলো তিনজনই।
রেজাল্টের পর, নাফিসা ফার্স্ট হয়েছে, মেহেদী সেকেন্ড আর থার্ড হয়েছে সেই ছেলেটা,
যে গত রাউন্ডে ফার্স্ট ছিলো।
এগারো জন থেকে পাচজন সিলেক্ট করা হয়েছে এরাই ফাইনাল রাউন্ডে এটেন্ড করবে।
রিয়াদ বাদ পড়ে গেছে।
তবুও স্যার খুশি, কারণ প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান তাদের ভার্সিটিই দখল করে রেখেছে।
ফাইনাল রাউন্ডে এ দুজনের মধ্যেই কেউ চ্যাম্পিয়ন হবে সেই প্রত্যাশা করছেন স্যার।
এদিকে মেহেদী রাগে ফাটছে, ইচ্ছে করছে নাফিসাকে শেষ করে দিতে! এতো কঠোর ভাবে ভয় দেখালো,
সে আজ এলো কেন! সে না এলে তো আজ মেহেদী ফার্স্ট হতো।
স্যার তাদেরকে নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
ভার্সিটিতে খবর টা ছড়িয়ে পড়ায় জয়ের উল্লাসে মেতে উঠছে অন্যান্য শিক্ষার্থী!

সেই আনন্দে তারা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে পরের দিন একটা ছোটখাটো ট্যুরের ও আয়োজন করে ফেললো। বেশি দূর যাবে না। একটা বাস ভাড়া করে গাজীপুর জাতীয় গার্ডেনের দিকে যাবে।
সকালে যাবে আর সারাদিন ঘুরাঘুরি করে বিকেলে চলে আসবে।
মেহেদী শুধু সুযোগ খুজছে নাফিসার সাথে কথা বলার, কিন্তু সেই সুযোগ নাফিসা তাকে দিচ্ছে না।
বারবার কোনো না কোনোভাবে এড়িয়ে চলছে।
কখন ভার্সিটি থেকে চলে গেছে মেহেদী খেয়ালও করতে পারেনি।
রাতে অনেক বার কল করেও পায়নি, ফোন বন্ধ! সকালে ট্যুরে এটেন্ড করলো নাফিসা।
সাথে নতুন দম্পতি দিনা আর আবিদও আছে। ট্যুর মিস করতে রাজি না তাই চলে এসেছে।
নাফিসা দিনাকে পেয়ে অনেক খুশি। বাসে সারাক্ষণ দিনার সাথেই বসে ছিলো।
আজ নাফিসার হাতে ফোন আছে। মেহেদী পাশের সিটে বসেই কল করে দেখলো, কল ঢুকেছে!
তাই আবার কেটে দিলো।
স্ক্রিন জ্বলে উঠায় নাফিসা ফোনে তাকিয়ে আবার মেহেদীর দিকে তাকিয়েছিলো এক পলকের জন্য।
আবার দিনার সাথে কথা বলতে লাগলো।

ছেলেগুলো অনেকটা হৈচৈ, মজা করতে করতে গাজীপুর পৌছে গেল।
খাবার খেয়ে তারা বাস থেকে নেমে শালবনের দিকে ঢুকলো।
অনেক গাছপালা আছে, সাথে আছে পাখিদের কিচিরমিচির গান।
দুপুরের দিকে নেমেছে তারা, জনশূন্য জায়গা এক একজন এক একদিকে হাটছে।
ঘুরেফিরে দেখছে আর ছবি তুলছে। নিচে শুকনো পাতার স্তুপ।
পা ফেললেই ঝুমঝুম আওয়াজ হয়। ভালোই লাগছে পরিবেশটা।
সবাই সামনে এগিয়ে গেছে। পেছনে ধীর পায়ে দিনা নাফিসার সাথেই হাটছিলো,
আবিদ ডাকলে ওদিকটায় চলে গেলো। নাফিসা একাই সেলফি তুলছিলো,
হঠাৎ কেউ তার মুখ চেপে ধরে পেছন থেকে টেনে ঝোপের ধারে অন্যপাশে নিয়ে এলো।
নাকমুখ একসাথে চেপে ধরায় নাফিসার দম প্রায় বন্ধ হয়ে আসছিলো।
এমন সময় হাত ছাড়লে নাফিসা জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো।
পেছনের লোকটার দিকে তাকিয়ে দেখলো মেহেদী!!!
নাফিসা কথাও বলতে পারছে না, মেহেদী পানির বোতলের মুখ খুলে সামনে এগিয়ে দিলো।
নাফিসা পানি খেয়ে স্বাভাবিক হলো। বোতল ঢিল মেরে ফেলে চেচিয়ে বলতে লাগলো,
- সাহস কি করে হয় তোমার, এভাবে আমাকে এখানে নিয়ে আসার!

- আস্তে কথা বলো।
- আস্তে কেন বলবো! চিৎকার করে বলবো আমি...
মেহেদী আবার মুখ চেপে ধরে বললো,
- আস্তে কথা বলো, না হলে জবান কে-*ড়ে নেবো। তোমাকে নিষেধ করা সত্বেও কাল কমপিটিশন এ এটেন্ড কেন করেছো?
- ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি। তুমি না করার কে?
- কি চাও? ছবি গুলো আপলোড করে দিবো? সময় এখনো আছে, স্যারকে বলে নাম কা-*টিয়ে নাও।
নাফিসা এবার জোরে হাসতে লাগলো। মেহেদী অবাক হলো, ভয় পাওয়ার জায়গায় হাসছে! নাফিসা হাসি থামিয়ে বলতে লাগলো,
- কি ভেবেছো তুমি! ছবি আপলোড করার ভয় দেখিয়ে, আমাকে হুমকি দিলেই নাম কা-*টিয়ে নিবো আমি! এবার আমি বলছি তুমি নাম কাটিয়ে নাও মি. মেহেদী!
অভিনয় কি তুমি একাই করতে পারো! আমি পারিনা! হিহিহি.....
ছবি আমার কাছেও আছে। দেখবে? দাড়াও দেখাচ্ছি......

নাফিসা তার ফোনে ছবি বের করে মেহেদীর সামনে তুলে ধরলো।
মেহেদী অবাক হয়ে আছে! এটা সেই ছবি, যেখানে মেহেদী নাফিসার দিকে ঝুকে মালার বাড়ন্ত সুতা কেটেছিলো, আরেকটা আবিদের রুমের খাটে নাফিসার উপর পড়ে আছে মেহেদী!
উভয় ছবিতেই মেহেদীকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখাচ্ছে!
মেহেদী বড় বড় চোখ করে নাফিসার দিকে তাকালো!
নাফিসা তাচ্ছিল্যের সাথে হেসে আবার বলতে লাগলো,
- কি ভাবছো? এই ছবি তুললো কে! তাহলে শোন আমি বলছি, তোমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু রিসাদ!
হ্যাঁ রিসাদ, যাকে দিয়ে তুমি ছবি তুলিয়েছো সে ই তুলেছে এই ছবি।
ওই কপিগুলো তোমাকে দিয়েছে আর এই কপিগুলো আমাকে দিয়েছে।

এখন কি ভাবছো? রিসাদ কেন এটা করলো!
তাহলে শুনো, রিসাদ আমার রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়ে গেছে।
আর তা আমি তোমার প্রপোজালের আগেই বুঝতে পেরেছি।
তোমার অনুপস্থিতিতে মাঝে মাঝে সুযোগ খুজতো আমার সাথে কথা বলার।
আর যেদিন থেকে তুমি এই প্লান করেছো,
তার পরেরদিন রিসাদ ক্যান্টিনে গিয়ে দিনাকে আবিদ ভাইয়ার কাছে পাঠিয়ে আমাকে সব বলে দিয়েছে।
তখনো আমি বুঝতে পেরেছি রিসাদ কেন এটা করলো! প্রেমে পা-*গল হলে মানুষ ফ্রেন্ডকেও ভুলে যায়! কি আজব না!

কতটা পছন্দ করে আমাকে, বুঝতে পারছো! যার জন্য তোমার বিপরীতে গিয়ে আমাকে সাপোর্ট করে!
সেদিন রাতে বসে বসে আমিও তোমার প্ল্যানের বিপরীতে প্ল্যান সাজাই।
তোমার সাথে সাথে আমিও অভিনয় শুরু করি। যখন যেভাবে চেয়েছো
সেভাবেই নেচেছি তোমার সাথে।
হলুদের প্রোগ্রামে তোমার বোতামে ইচ্ছে করেই মালার সুতা পেচিয়ে দেই।
রিসিপশনে তোমাকে হঠাৎ কাছে টেনে নেই! পরশু তোমার কথায় মন খারাপের অভিনয় করি।
আর রিসাদ তো আছেই আমার সাপোর্টার! যে কোনো বিপদ ঘটলে সে তো আমাকে রক্ষা করার জন্য
এগিয়ে আসবেই। কি আমার অভিনয় সুন্দর হয়নি? হিহিহি......

তুমি চলেছো ডালে ডালে আর আমি চলেছি পাতায় পাতায়।
তুমি কি ভেবেছো, তুমি প্রপোজ করবে আমিও এতো সহজে তোমার কাছে ধরা দেবো!
এতো তারাতাড়ি কি কেউ প্রেমে মা-*তাল হয়! তার উপর প্রথম থেকেই যে আমার শত্রু!
একটুও কি তোমার মাথায় নাড়া দেয়নি সেটা! অথচ এতো বুদ্ধিমান তুমি!
মেহেদী চুপচাপ দাড়িয়ে নাফিসার কথা শুনে যাচ্ছে! রিসাদ তার এতো কাছের বন্ধু হয়ে কি করে এটা করতে পারলো! তাছাড়া রিসাদ নিজেই তো ভালোবাসার অভিনয়ের আইডিয়া দিয়েছিলো! বিভিন্ন চিন্তায় মগ্ন হয়ে মেহেদী জিজ্ঞেস করলো,

- সেদিন আমি নিষেধ করার পর তোমার চোখে পানি ছিল কেন?
- আর বলো না, কতো কষ্ট করে তোমার দিকে পলকহীন তাকিয়ে থেকে একটু পানি আনতে পেরেছি। হিহিহিহি.... তোমাকে দেখানোর জন্য প্রাক্টিসটাও করিনি, বারবার ইচ্ছে করে থেমে স্যারকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি যে আজ আমার সমস্যা হচ্ছে! আর বাসায় গিয়ে একা একাই প্রাক্টিস করেছি যার ফলাফল কাল আমাকে ফার্স্ট করে দিয়েছে। প্রথম গান গাওয়া নিয়ে আমার কোন স্বপ্ন না থাকলেও, তোমার অভিনয়ে আমি ইম্প্রেস হয়ে গেছি। তাই আমি নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। যাই হোক, এখন আমি বলছি, তুমি নিজের নামটা সরিয়ে নাও।

- সরাবো না আমি। দেখতে চাই কি করতে পারো তুমি।
- চিন্তা করো না, আমি তোমার মতো পিক আপলোড করবো না। সোজা থানায় পৌছে দিবো।
মেহেদী বড় বড় চোখ করে আবার নাফিসার দিকে তাকালো! নাফিসা আবার বলতে লাগলো,
- তুমি ছবি আপলোড করলে কয়েকজনের চোখে আমি খারাপ হবো, আর কিছু না! আর আমি যদি ছবি দেখিয়ে তোমার নামে অপহরণের মামলা দেই, কেমন হবে! কমপিটিশন তো দূরে থাক,
ভার্সিটি থেকে ছাটাই, পরিবার থেকে ছাটাই, সাথে রিমাইন্ডের মা-*ইর! সহ্য করতে পারবে তো!
সারাজীবন জেলের ঘানি টানতে হবে!
এখন কি ইচ্ছে করছে তোমার? আমার ফোন নিয়ে ছবি ডিলিট করতে?
আমার ও রিসাদের কাছে কপি করা আছে।
নাকি তোমার এটা ইচ্ছে করছে, এই জংগলে আমাকে মে-*রে চলে যাওয়ার!
সেটা তুমি পূর্ণ করতে পারবে ঠিক, কিন্তু তবুও জেলের ঘানি টানতে হবে।
কারণ রিসাদ জানে তো তুমি ছাড়া কেউ আমার পেছনে লেগে নেই! সে প্রমাণ করে দিবে! হিহিহি.......

মেহেদী স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছে। সে কেন তার সাথে লাগতে গেলো! বুকটা ফেটে যাচ্ছে তার!
তার ছোট থেকে গড়া স্বপ্নটা ভেঙে দিতে হবে! আর না হলে থানায় যেতে হবে!
তাহলে তার মায়ের কি হবে! তার পরিবার, তার পৃথিবী সব যে তার মাকে নিয়ে! না,
প্রয়োজন নেই এই কমপিটিশন! চোখে পানি এসে পড়েছে তার।
মেহেদী নাফিসার সামনে হাটু গেড়ে বসে পড়লো!
- নাফিসা প্লিজ এটা করো না। এতো বড় ক্ষতি করো না আমার! আমি কমপিটিশন থেকে নাম কা-*টিয়ে নিবো। ফাইনাল রাউন্ডে এটেন্ড করবো না। প্লিজ তুমি এটা করো না। তুমি যা চাও তাই হবে। প্লিজ....
- আরে আরে কি করছো! এসব তোমাকে মানায় নাকি! উঠো...
- প্লিজ করো না এমনটা...
- ওকে, করবো না। তবে চালাকি করতে যেও না। আর শুনো, রিসাদের সাথেও উল্টাপাল্টা কিছু করতে যেও না। তাহলে কিন্তু ঝামেলা বেড়ে যাবে।
- ওকে।

মেহেদী উঠে দাড়ালো। এদিকে বিকেল পেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের ফিরতে হবে,
কিন্তু নাফিসা আর মেহেদীকে দেখা যাচ্ছে না। সবাই বাসের কাছে এসে চিন্তিত।
তারা বনের ভেতরে আবার খুঁজে এসেছে, পায়নি। রিসাদ আরোও বেশি চিন্তিত!
মেহেদী নাফিসার সাথে কিছু করে বসেনি তো! আগের সব প্ল্যান তো তার জানা ছিলো,
কিন্তু আজকের কোনো প্ল্যান জানা ছিলো না!
নানান চিন্তা নিয়ে আবার জংগলের দিকে আগাতেই দেখলো নাফিসা আর মেহেদী আসছে!
দুজনের মুখেই বিষন্নতা! কি হয়েছে তাদের! রিসাদ সামনে এগিয়ে গেলো।
মেহেদীর সাথে কথা বলতে গেলে মেহেদী পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
নাফিসাকে নানান প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে সে মলিন সুরে উত্তরে শুধু এটা জানালো,
- মেহেদী তোমার কথা জেনেছে।
- জেনেছে ভালো কথা, কিন্তু তুমি মন খারাপ করে আছো কেন? কি হয়েছে তোমার?

- কিছু না। চলো...
- নাফিসা কিছু হয়েছে, বলো আমাকে...
- বললাম না, কিছু হয়নি!
নাফিসা এক প্রকার জেদ নিয়ে কথাটা বলে বাসে উঠে পড়লো। অনেকে অনেক প্রশ্ন করছে। নাফিসা চুপচাপ বসে আছে। মেহেদীও বলেছে যে কিছু হয়নি, পথ ভুলে গিয়েছিল তাই লেট হয়েছে! আর কোন কথা বলেনি কেউ। সবাই কম বেশি ফুর্তি করছে, শুধু নাফিসা, মেহেদী ছাড়া। রিসাদ ও একটু পর পর তাকিয়ে শুধু ভাবছে কি হয়েছে তাদের মাঝে! সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফিরে এলো।

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com