Breaking News

ভালোবাসি প্রিয় । পর্ব - ১০



পরের দিন নাফিসা ভার্সিটি যায়নি। মেহেদী গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ক্লাস করেনি। নাফিসাকে দেখছে না আজ, এদিকে পলাশ স্যার বলে দিলো আজ প্রাক্টিস হবে না। সে তো আর প্রাক্টিস করবে না, কিন্তু স্যার কে এটা বলতে সাহস পাচ্ছে না মেহেদী। রিসাদের সাথে কোন কথা বলে না, রিসাদও আসে না তার কাছে।

আবিদের সাথে কিছুক্ষণ ঘুরেছে, আবিদ তার অফিসে চলে গেলে অন্যদের সাথে কিছুক্ষণ বসে ছিলো। কিন্তু এখানেও মন বসছে না। তাই বাসায় ফিরে এলো। দুপুরে কোচিং-এ গেল। সন্ধ্যার পর বাসায় পড়ছিলো, মা রান্নাবান্না শেষ করে ঘর গুছিয়ে রাখছিলো।

এমন সময় মেহেদীর নাম ধরে বাইরে ডাক পড়লো। মেহেদী বেরিয়ে গেলো সাথে তার মা ও দরজা পর্যন্ত গিয়ে দাড়ালো। বাইরে চারজন পুলিশ!!! মেহেদী ও তার মা দুজনেই অবাক হয়ে আছে! পুলিশের মধ্যে একজন বললো,

- আমাদের সাথে থানায় চলো।
- থানায়! থানায় কেন, স্যার?
- থানায় কেন বুঝতে পারছো না? গায়ে যখন পড়বে এমনিতেই বুঝে যাবে।
মেহেদীর মা ভয়ে আৎকে উঠলো! ভয়ার্ত কন্ঠে বললো,
- স্যার, আমার ছেলে থানায় যাইবো কে? কি করছে ও?
- আপনার ছেলের নামে অপহরণের মামলা আছে।
নাফিসা নামের মেয়েকে অপহরণ করার চেষ্টা করেছে কয়েকবার।

মেহেদী বড় বড় চোখ করে তাকালো!
নাফিসা পাঠিয়েছে! সে তো বলেছে নাম কা-*টিয়ে নিবে! তাহলে, মিথ্যে মামলা দিলো কেন! মেহেদীর মা তো কান্না করতে শুরু করেছে!
- স্যার কি কইতাছেন! আমার ছেলে এমন না।
- আপনি বাসায় থেকে কিভাবে জানবেন আপনার ছেলে কেমন! এই যে দেখুন, এটা কি আপনার ছেলে না?
মেহেদীর মা ছবি দেখে মেহেদীর দিকে তাকালো। মেহেদীও তার মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। মায়ের চোখের পানি সহ্য হচ্ছে না তার। কি করে বলবে তার নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে! মা মেহেদীর কাছে গিয়ে দাড়ালো,
- এইসব কি সত্যি? কছ না কে? এইসব সত্যি?
- মা, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে আমার নামে। আমি এসব করিনি।
পুলিশ বললো,

- রিসাদ নামের আপনার ছেলের বন্ধুও সাক্ষী দিয়েছে মেয়েটির পক্ষে। প্রমাণ ছাড়া আমরা কাজে আগাই না।
মা সেটা খুব ভালো জানে রিসাদ মেহেদীর কাছের বন্ধু। তার উপর এই ছবি! বিশ্বাস না করে থাকতে পারলেন না! মা মেহেদীর গালে একটা থা-*প্পড় দিয়ে কান্না করতে করতে বললো,

- আজকে তোর বাপের পরিচয় দিয়ে দিলি। তোর কথা ভেবে জীবনটা শেষ করে দিছি! অতিত ভুইলা তোর মুখে তাকাইছি আর বলছি আমি হয়তো একজন সুখী মা! আমার ছেলে আছে আমার কাছে, আর কিছু লাগবো না! আমিতো এইটা ভুলেই গেছি, তোর শরীরে কার র-*ক্ত বইছে! প্রমাণ করে দিলি বাপকা ব্যাটা! যতই ভালো করার চেষ্টা করি, র-*ক্তের সম্পর্ক তো মুছা যায় না!নিয়ে যান স্যার। এমন শাস্তি দেন, জীবনে যাতে কোন মেয়ের দিকে না তাকায়!

- মা, বিশ্বাস করো। আমি এসব করিনি। তোমার ছেলে এমন কিছু কখনোই করেনি।
মা হু হু করে কান্না করতে লাগলো। মেহেদীকে পুলিশ সাথে নিয়ে চলে গেলো। যাওয়ার সময় বারবার চিৎকার করে বলছিলো,
" মা তোমার ছেলে এসব কিছু করেনি। বাবার মতো হইনি আমি!"
থানায় নিয়ে আসা হলে মেহেদীর ফোন নিয়ে নিলো পুলিশ।
- স্যার, একটা কল করবো। দু মিনিটের জন্য দিন স্যার।
- এসবের নিয়ম নেই।

- স্যার আমার মা এমনিতেই অসুস্থ। একজনকে বলবো যেন খেয়াল রাখে, প্লিজ স্যার!
অনেক রিকোয়েস্ট এর পর ফোন দিলো। পুলিশ মেহেদীর কাছেই দাড়িয়ে ছিলো।
মেহেদী আবিদের কাছে কল করে বললো,
সে থানায় আছে আর আবিদ যেন তার মায়ের কাছে যায় এখন।
তার মায়ের একটু খেয়াল রাখে। আর কিছু বললো না।
আবিদ মেহেদীর মায়ের কাছে গেছে।
উনার কাছে সব শুনে নিয়েছে। আগে থেকেই উনার হার্টের সমস্যা।
এই ঘটনার পর, নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি।
আবিদ থাকাকালেই কাদতে কাদতে মাটিতে শুয়ে পড়লো! আবিদ ভয় পেয়ে গেছে!
কয়েকজন ডেকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে এলো।
সেবা করার জন্য দিনাকেও নিয়ে এসেছে হসপিটালে।
ডাক্তার জানিয়েছেন ওনার অবস্থা বেশি ভালো না।
তাও উনাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন সুস্থ করার জন্য।
মেহেদী কারাগারে বন্দি হয়ে সব ফেলে শুধু ওর মায়ের কথা ভাবছে! মা কি এখনো কান্না করছে!
আবিদ কি তার মায়ের কাছে গেছে! মায়ের কি একটু খেয়াল রাখছে!
এমন নানান চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!

রাতে বই সামনে রেখে বসে আছে নাফিসা। এমন সময় রিসাদ কল করলো তার ফোনে।
- হ্যালো।
- আই হ্যাভ এ গুড নিউজ ফর ইউ। কি হতে পারে বলো তো?
- মেহেদীকে নিয়েই কিছু হবে হয়তো। এতো না পেচিয়ে বলে ফেলো....
- এই মাত্র খবর পেলাম, মেহেদীকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
- মামলা যখন দিয়েছি, থানায় তো যাবেই!
- কিন্তু এটা কি একটু বেশি হয়ে গেছে না, নাফিসা! তুমি অন্যভাবেও থ্রেড করতে পারতে।
- কেন? এখন কি বন্ধুর জন্য জ্বলছে খুব? তাহলে যাও, জামিন করিয়ে নিয়ে আসো।
- আমার সাথে এখন রাগ দেখাচ্ছো কেন! আমার শুধু মনে হয়েছে ডোজটা একটু বেশি হয়ে গেছে! আচ্ছা, বাদ দাও। তুমি কি করছো এখন?
- তোমার সাথে কথা বলছি।

- এছাড়া?
- বই সামনে রেখে বসে আছি।
- ওহ! পড়ার ডিস্টার্ব করলাম! সরি। আর দু'মিনিট ডিস্টার্ব করবো।
- কি বলবা তারাতাড়ি বলো।
- তোমার ফ্রেন্ডের তো বিয়ে হয়ে গেছে, তোমার বিয়ে কবে হবে?
- জানি না।
- বাবাকে পাঠাবো, বাসায়?
- বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
- সমস্যা কোথায়? আজ হোক কাল হোক আসবেই তো। আর ভেবো না আমি তোমাকে বন্দী করে রাখবো। তুমি তোমার ইচ্ছে মতোই চলবে। শুধু আমার পাশেপাশে থাকবে।
- পরেরটা পরে দেখা যাবে।

- পরের কাজটা আগেই করতে চাচ্ছি। আমি জানাবো আজ বাসায়।
- কদিন পর না এক্সাম। পড়াশোনা করো।
- ভয় হয় তোমাকে নিয়ে। মেহেদী ছাড়া পেলে তোমার ক্ষ-*তি করে ফেলবে।
- ছাড়া পেলে তো। আর আমার চিন্তা বাদ দাও। এক্সামের চিন্তা করো। রাখি এখন। বাই...
- ওকে, বাই। লাভ ইউ...
নাফিসা কল কে*+টে শুয়ে পড়লো। আজ পড়তে ভালো লাগছে না। অহনা এসে ডেকে গেলো খাওয়ার জন্য। খেতেও ইচ্ছে করছে না। তাই ডাকতে নিষেধ করে দিলো। সকালে ঘুম ভাঙলো দিনার ফোনে। রিসিভ করে ঘুমঘুম কন্ঠে বললো,
- হ্যাঁ, বল।

- কি করে করতে পারলি এটা?
- কি করেছি?
- মেহেদী ভাইয়ার সাথে এমনটা কেন করলি?
- না জেনে আমাকে ভুল বুঝিস না। ও আমাকে ধোকা দিয়ে কমপিটিশন থেকে সরাতে চেয়েছে। রিসাদ আমাকে সেটা আগে বলে দেয়ায় তার চালে আমি তাকেই ফেলেছি।
- সাধারণ একটা কমপিটিশন এর জন্য এমনটা করলি! জেলে পাঠালি কেন! অন্য কোনভাবে শিক্ষা দিতে পারতি!
- তুই কি মেহেদীর শোকে কান্না শুরু করলি নাকি! আর সে আরও অনেক বড় একটা ভুল করেছে। সেই ভুলের শাস্তিই এখন পাচ্ছে সে।

- ছি এতোটা, পাষাণ তুই সেটা আমার জানা ছিলো না। তোর দেয়া শাস্তি শুধু মেহেদী ভাইয়া পায়নি। তার মা ও পেয়েছে। ছেলের অপবাদ সইতে না পেরে আজ ভোরে দুনিয়া ত্যাগ করেছেন তিনি। দোষ নিশ্চয়ই এই মায়ের ছিলো না!
নাফিসা শোয়া থেকে উঠে বসে পড়লো।
- মা দুনিয়া ত্যাগ করেছে মানে!
- মেহেদী ভাইয়ার মা মা-*রা গেছে আজ। তার পরিবারে শুধুমাত্র তার মা আর সে ই ছিলো। আজ তোর এই প্রতিশোধের জন্য একা হয়ে গেলো ভাইয়া। পুলিশ ভাইয়াকে নিয়ে যাওয়ার পর কাল রাতেই হার্ট অ্যাটাক করেছে। আবিদ হসপিটালে নিয়ে এসেছে। আমিও এসেছি সাথে। শুধু শুধু তোকে এসব শুনাচ্ছি কেন! একটা হেল্প করতে পারবি? মাকে একবার দেখার সুযোগ করে দিতে পারবি সেই হতবাগা ছেলেটিকে? এইটুকু দয়া অন্তত কর একটা মানুষের উপর....

আবিদ গেছে থানায়, পুলিশের কাছে সুপারিশটা অন্তত করে দে!
- ক..কোন হসপিটাল?
শুধু হসপিটালের নামটা বলে দিনা কল কেটে দিলো। নাফিসা স্তব্ধ হয়ে বসে আছে! এটা কি শুনলো সে! মেহেদীর মা ছাড়া কেউ নেই পৃথিবীতে! তার প্রতিশোধের জন্য একজন মা দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো! ঝটপট ফোনটা হাতে নিয়ে বাবার বাল্যকালের বন্ধু পুলিশ আংকেলকে কল করে ব্যাপারটা বললো নাফিসা। পুলিশ জানালো মেহেদীকে নিয়ে হসপিটাল যাবেন। নাফিসা বিছানা ছেড়ে জামাটা পাল্টে হাতমুখ ধুয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলো হসপিটালের উদ্দেশ্যে! হসপিটালে দিনাকে পাশে বসে থাকতে দেখলো। মেহেদী এখনো আসেনি।

পুলিশ মেহেদীকে মায়ের কথা না জানিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। থানার গেইট থেকে বের হওয়ার সময় আবিদের সাথে দেখা হলো।
- আবিদ! তুই এখানে? আমার মা ঠিক আছে?
- হ..হ্যাঁ। স্যার আপনার সাথে একটু কথা আছে।
পুলিশ অফিসার আবিদের সাথে একপাশে এসে কথা বললো। আর জানালো, তারা এখন মেহেদীর মায়ের কাছে হসপিটালেই যাচ্ছে। আবিদসহ পুলিশ হসপিটালে এলো। কেবিনে ঢুকেই মেহেদী থেমে গেছে! বেডে কেউ শুয়ে আছে, দেহ সম্পূর্ণ সাদা কাপড়ে ঢাকা! মেহেদী পুলিশকে জিজ্ঞেস করলো,
- এখানে আনলেন কেন?

পুলিশ কোন জবাব দিলো না। আবিদ মেহেদীর হাত ধরে সামনে নিয়ে এলে নার্স মুখ থেকে সাদা কাপড়টা সরিয়ে দেয়। মেহেদী তার মায়ের চেহারাটা দেখে আৎকে উঠে! মুখটা ধরে বলতে লাগলো,
- মা, তুমি এখানে কেন? এভাবে আছো কেন! এই মা, উঠো।
- মেহেদী শোন, আন্টি আর বেচে নেই!
মেহেদী আবিদকে খুব জোরে ধা-*ক্কা দিলো।
- এই তুই কি বলছিস এসব! আমার মা এই যে। এই যে আমার মা। আর একবার এসব বললে -খু-*ন ক-*রে ফেলবো আমি।

- আন্টি স্ট্রোক করেছেন কাল রাতে। আজ ভোরে মা-*রা গেছেন।
- আবিদ! চুপ থাকবি! আমি কিন্তু সত্যিই খু-*ন ক-*রে ফেলবো তোকে!
এই মা উঠো না একটু! দেখো আবিদ কত খা-*রাপ কথা বলছে তোমাকে নিয়ে! আমার সাথে রাগ করে আছো না তুমি! মা আমি সত্যি বলছি, তোমার ছেলে কাউকে অপহরণ করেনি। ওরা সবাই মিথ্যে বলেছে। বিশ্বাস করো একবার। মা গো উঠো.....

মেহেদী অনেক্ক্ষণ যাবত তার মাকে ডাকলো।
মা যে আর কোন সাড়া দিলো না! পরক্ষণে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
রুমের এক কোনে দাড়িয়ে কেউ একজন ওড়না দিয়ে মুখ চেপে কান্না করছে!
মেহেদী এসেছে ঠিকই, কিন্তু এই মেয়েটিকে খেয়াল করেনি এই পর্যন্ত! দিনা ও আবিদও কাদছে!
অনেক্ক্ষণ মায়ের কাছে বসে কান্না করে মেহেদী স্তব্ধ হয়ে গেছে! কোন কথা,
কোন শব্দ করছে না আর! মাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করলো আবিদ।
রুম থেকে বের করতেই উঠে দাড়ালো মেহেদী।
হসপিটালের লোকেরা মা কে নিয়ে গেলো এম্বুলেন্স এ নেয়ার জন্য।
পুলিশ দরজার কাছে দাড়িয়ে আছে।
মেহেদী এক কদম সামনে এগিয়ে গেলেই দিনার পাশে দাড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে চোখ পড়লো!
কান্না ভেজা চোখ দুটি ছলছল করে তাকিয়ে আছে মেহেদীর দিকে ,
আর মুখ চেপে ধরে আছে! মেহেদী দরজার দিকে না গিয়ে ধীরপায়ে নাফিসার দিকে এগিয়ে গেলো।
নাফিসার হাত থেকে মুখে চাপা ওড়না সরে গেলো।
মেহেদী একটা হাতে আলতো করে নাফিসার গাল স্পর্শ করে খুব শান্ত গলায় বলতে লাগলো,

- অভিনয় করতে করতে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম তোকে।
শুধু নিজের স্বপ্ন পূরণের স্বার্থে কমপিটিশন এ এটেন্ড না করার জন্য থ্রেড দিয়েছিলাম।
ছবিগুলো দেখিয়ে একটু ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম!
উদ্দেশ্যটা সফল হলে তোর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতাম।
তোকে পুনরায় আপন করে নিতাম। তুই সরে না গেলেও ওসব আপলোড করতাম না!
কোন মেয়ের সম্মান নিয়ে খেলা করার কোন ইচ্ছে ছিলো না আমার।
এখন যে কথাগুলো বললাম না, তার একটাও মিথ্যে না।
আমার মা আজ চলে গেছে, এটা যদি সত্য হয় তাহলে এই কথাগুলোও আমার সত্য।
সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছিলাম,
সত্যিই উদ্দেশ্য সফল হলে তোর কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আপন করে নিতাম! কিন্তু তুই কি করলি!
আমার পৃথিবীটা কেড়ে নিলি! বলেছিলাম তো, আমি নিজেই নাম সরিয়ে নিবো।
তবুও কেন আমার সব শেষ করে দিলি! বিশ্বাস কর, মা ছাড়া আমার দুনিয়ায় কেউ ছিলো না।
আজ মা ও নেই! আমি আছি কেন, বলতে পারিস?
একটা কাজ কর,

আমার মামলাটা এমনভাবে উপস্থাপন কর যাতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আমার ফাসির রায় হয়ে যায়।
তাহলে আরও শান্তি পাবি তুই।
নাফিসার দুচোখ বেয়ে পানি পড়েই যাচ্ছে, কথাগুলো বলতে বলতে মেহেদীর দুচোখ বেয়েও পানি পড়ছে। হঠাৎ মেহেদীর হাতটা গাল থেকে নাফিসার গলায় নেমে গেলো! খুব জোরে চেপে ধরে বললো,
- রিসাদের সাথে থাকবি না তুই? রিসাদ কেন! দুনিয়ায় কোনো ছেলের সাথে থেকে শান্তি পাবি না তুই!
কোথাও শান্তি পাবি না নাফিসা! কোনো মায়ের কলিজায় আঘাত করেছিস তুই , কোথাও শান্তি পাবি না....
নাফিসা দু'হাতে মেহেদীর হাত ছাড়াতে লাগলো। পুলিশ দৌড়ে এসে মেহেদীকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলো। যাওয়ার সময় মেহেদী চিৎকার করে শুধু একটা কথাই বলছিলো, "কোথাও শান্তি পাবি না তুই, নাফিসা!"
নাফিসা কাদতে কাদতে ফ্লোরে বসে পড়লো। তার সাথেই কেন এমন হয়! নিজের মা কেও দেখেনি, আজ তার জন্যই অন্য কারো মা হারিয়ে গেছে! এটা কিভাবে করতে পারলো সে!

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com