আপনি সুখী হন

শুনছেন একটু হাসবেন? হাসলে আপনাকে খুব সুন্দর দেখায়”

~সেদিন পাড়ার মুড়ে আপনাকে হাসতে দেখলাম।বেশ কিছুক্ষণ আড়ালে দাড়িয়ে, আপনার খিল খিল করে হেসে যাওয়া মুখ খানা দেখছিলাম।বড্ড বেশি ভালো লাগলো। আমার ও হাসি পেয়ে যায় আপনার হাসি দেখে। আমিও হেসেছিলাম সেদিন………অনেক দিন পর।

জানেন,বাজারের ঐ মাঝ গলিটাতে ফুলের দোকানের পাশে হঠাৎ আপনার প্রিয়তমা কে দেখি,দেখেই দূর থেকে ফলো করছিলাম।মেয়েটা দেখতে খুব মায়াবী। দু চোখ জুড়িয়ে যায়। নীল শাড়িতে তাকে বেশ লাগলো,খোপা করা ছিল- অবশ্য যদি একটা ফুল গুজা থাকতো আর চমৎকার লাগতো। ফোনে কথা বলছিল,বড্ড রাগ রাগ ভাব__বোধ হয় আপনার সাথেই কথা বলছে।হাতে শবজির ব্যাগ নিয়ে দাড়িয়ে দূর থেকে সেই দৃশ্যটা দেখে যাচ্ছি।

~ একটু পড়ে আপনি আসলেন, এলোমেলো চুল আর সেই পুড়ানো চশমাটা পড়ে আছেন।শার্ট এর বোতাম টাও ঠিকঠাক লাগানো নেই।দেখে অবাক হলাম আপনি আমার পছন্দের রং এর শার্ট টাই পড়ে আছেন। সে রেগে তাকিয়ে আছে আর আপনি বাচ্চাদের মত কান ধরে কি যেন একটা বলেছিলেন।সরি, বোধ হয় বলেছিলেন। তারপর সে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে আপনার চুল ঠিক করছিলো, এমন সময় আপনি ও হাসলেন। জানেন,২ জনকে খুব মানিয়েছে।

~ মা ফোন করে বলছে, কিরে আর কতক্ষণ? বাসায় আসবি না? বললাম এইতো আর অল্প সময়ের মধ্যেই এসে যাবো। আপনাদের দিকে তাকিয়ে কখন যে আধ ঘণ্টা হয়ে গেল টেরি পাই নি।

~অমনি দেখলাম তার খোপায় ২ টি ফুল গুঁজে দিলেন। এবার পরিপূর্ণ হলো মেয়েটা। ভারি মিষ্টি দেখাচ্ছে। তারপর একে অপরের হাত ধরে যখন রিকশায় বসলেন,আমি দূর থেকে প্রার্থনা করলাম ঈশ্বর এদের জুটি টাকে তুমি সর্ব সুখী করে দিও।

~ জানেন আমি আজ ও আপনাকেই ভালোবাসি।
আপনি যখন আমার ছিলেন সব সময় চাইতাম আপনি সুখী হন,খুশি থাকেন। এখন আপনি ছেড়ে চলে যাওয়াতে কিন্তু স্বার্থপর হয়ে যাই নি।আমি এখনো চাই ঈশ্বর আপকে সুখী রাখোক।

~আমি এখন শুধু,ফোনের গ্যালারীতে আপনার ছবি দেখলেই আনমনে বলে ফেলি…..
শুনছেন একটু হাসবেন?
হাসলে আপনাকে খুব সুন্দর দেখায়।