Breaking News

লেডি কুইন । পর্ব -১২

মেহেরাব অবাক হয়ে আরোহীর দিকে চেয়ে পড়লো। আরোহী বলে উঠলো
-প্রতিশোধ নিবে বললেই পারতি। এভাবে সুযোগ নিয়ে ধাক্কা মারার কি দরকার ছিলো।
মেহেরাব আরোহীর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো।
-যা তোকে ছেড়ে দিলাম তবে দ্বিতীয় বার ভূল করতে আসলে তুই আর বাঁচবি না৷
আরোহী চলে যায়। মেহেরাব অবাক হয়ে চেয়ে আছে৷ আরোহীর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে৷ আর ভাবছে কি বলে গেলো এসব। কেন ? ধাক্কা মারলাম শোনার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করলো না৷ মেহেরাব স্থীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পিছন থেকে গাড়ি হরেন দিয়ে যাচ্ছে মেহেরাবের সরার কোনো নাম নেই। শুভ্র আশফা গাড়ি থেকে নামলো। শুভ্র মেহেরাবের কাধে হাত রাখতেই কেপে উঠে। শুভ্র বলে উঠলো
-কি হয়েছে তোর? সেই ককন থেকে হরেন বাজিয়ে যাচ্ছে সরার নাম নেই। ।
-কিছু না।
আশফা বলে উঠলো
-কি হয়েছে? বলবি তো। এমন মনমরা কেন হয়ে আছিস। টাকার কোনো ঝামেলা হয়েছে।
-না কিছু না।
মেহেরাব সোজা হেটে চলে যাচ্ছে। আশফা শুভ্রকে বললো
-কি হলো ওর হঠাৎ করে?
-আমি না বুঝতে পারছি না। ও তো আমাদের সাথে শেয়ার করবে সমস্যার কথা তাহলে।
-মেজাজটাই খারাপ করে দিলো।
মেহেরাব ক্লাসে পা দিবে তখনি অফিস বয় এসে
-তোমার নাম মেহেরাব……?
-জ্বী
-তোমাকে প্রিন্সিপাল স্যার ডাকছে। চলো।
মেহেরাব অফিস বয়ের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো। হঠাৎ করে প্রিন্সিপাল স্যার কেন ডাকলো? আমি কি কোনো ভুল করে ফেলছি।
অফিস বয় আমার বলে উঠলো
– দাঁড়িয়ে কি ভাবছো চলো তো ব্যস্ত৷ আমার হাতে অনেক কাজ।
অফিস বয়ের সাথে মেহেরাব চলে গেলো।
নেহা ভার্সিটিতে ঢুকে হৃদয়ের সামনে যেয়ে দাঁড়ালো। নেহা বলে উঠলো
-শোনো আজ তুমি আমার বাসায় যাবে।
হৃদয় ঢোক গিলে
-মা মা মা নে
-এত তোতলানো লাগবে না। তুমি আজ যাচ্ছো।
-দেখো আমার না কাজ আছে একটা।
-তুই আসলে একটা ভিতু৷ তোকে দিয়ে হবে না। আমি জানতাম তুই এটা বলবি। ওকে তোর যেতে হবে না আমি মেহেরাবকে নিয়ে যাবো বাসায়।
হৃদয় অবাক হয়ে
-মানে কি? তুমি মেহেরাবকে নেবে কি জন্য।
-মাম্মিকে দেখাতে
-কেন? আচ্ছা মেহেরাবের সাথে আমিও যাবো।
-জানতাম তো একা কখনো তুই যেতে রাজি হবি না।
হৃদয় ঢং করে
-তুমি আমাকে বকছো।
-তোর মাথা ফাটাবো একদম ঢং করবি না। ক্লাস শেষ এ পলান দিয়ো না৷ তাহলে একাই মেহেরাবকে নিয়ে যাবো।
-না না দিবো না। শোনো না
-কি?
-বলছিলাম কি বিরিয়ানি খাওয়াবা তো।
-তা কি বলতে স্পেশাল বিরিয়ানি খাওয়াবো তোমাকে।
-আচছা।
দুজনে ক্লাসের দিকে চলে গেলো।
মেহেরাব প্রিন্সিপালের কক্ষের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে
-আসবো স্যার।
স্যার গোমড়া মুখে
-হ্যা এসো।
মেহেরাব ভেতরে ঢুকে স্যারের গোমড়া মুখটা দেখে একটু ভয় পেয়ে গেলো। স্যারকে সালাম দিয়ে মেহেরাব স্টাচুর মতো দাড়িয়ে রইলো। স্যার মেহেরাবের সালামের উত্তর দিয়ে
-তোমার তো সাহস কম না। তুমি যে সুস্থ শরীরে দাঁড়িয়ে আছো এটা তোমার ভালো ভাগ্য।
মেহেরাব স্যারের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো৷ স্যার ধমক সুরে
-তুমি আরোহীকে ডাক্কা মেরে ফেলে দিছো। ওকে হাসপাতালে পাঠিয়েছো। তুমি চেনো ওকে।
মেহেরাব মাথা নিচু করে
-আসলে স্যার আমি ইচ্ছা করে
স্যার মেহেরাবকে থামিয়ে দিয়ে
-চুপ করো৷ ও চাইলে তোমাকে যে কোনো টাইম ভ্যানিস করে দিতে পারে। আমার তো ইচ্ছা হচ্ছে তোমাকে টিসি দিয়ে বের করে দিতে। কিন্তু তুমি ছাত্র হিসেবে ভালো তাই এ যাত্রায় বেঁচে গেলে।
-সরি স্যার।
-শোনো তুমি স্টুডেন্ট হিসেবে অনেক ভালো পড়াশোনায় মন দাও৷ ওদের থেকে দূরে থাকো। কোনো ঝামেলায় জরাইয়ো না। এতে তোমার জন্য ভালো।
মেহেরাব মাথা নেড়ে নিলো।
-যাও ক্লাসে। কেউ কিছু বললে কোনো কথা বলবে না। আমাকে এসে বলবে।
মেহপরাব প্রিন্সিপালের রুম থেকে ক্লাসে চলে আসলো। আরোহীকে দেখে মাথাটা নিচু করে পিছনের বেঞ্চে যেয়ে বসে। আরোহী লক্ষ্য করলো মেহেরাবের মুখটা শুকনো দেখাচ্ছে। ওকে কেউ কিছু বলেনি তো।
মেহেরাব বেঞ্চে বসে ভাবছে আমার কথাটা শোনার প্রয়োজন মনে করলো না। আমি তো ইচ্ছা করে ডাক্কা মারিনি ওকে। কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে।
ক্লাস শেষ এ নেহা মেহেরাবকে জোড় করে গাড়িতে তোলে সাথে হৃদয় ও ছিলো। আরোহীর চোখে পড়তে আরোহী ওদের পিছু নিলো।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com