Breaking News

স্বামী | পর্ব -০৭

তিথি সোজা তার শাশুরির রুম এ চলে গেলো।
গিয়ে একবার রিদয় কে দেখে নিলো।
রহিম কি করছে তাও ভালো করে দেখে নিলো।
রহিম রিদয় এর সাথে বসে গল্প করছে।
ভাবা জায় এই লোকটা উনাকে পাগল বানিয়ে রাখছে!!!
তিথি এবার সোজা বাড়ির গ্যারেজ এর পিছনে চলে গেলো।
তার ঘরের দরজার খোলা ছিলো।
তিথির বেশ শুবিধাই হল।
রহিম এর ঘরে ঢুকে কিছু খুজতে থাকলো তিথি। বিছানার তলায় খাটের নিচে আলনা ড্রায়ার সব খুজলো।
কিছু না পেয়ে হতাশ হয়ে খাটে বসে পরে।
তাহলে কি ভুল ভাবলো তিথি?
তখন মনে হল খাটের তলায় একটা পুরাতন ব্যাগ এর মত দেখা যাচ্ছিলো!!
তিথি আবার উঠে খাটের তলা থেকে ব্যাগ টা বের করে। তারপর ব্যাগের চেন খুলতেই কিছু পুরাতন কাপর কিছু ঔষধ দেখতে পায়।
.
তিথি এবার ঔষধ গুলো নিয়ে নেয়। এগুলো যদি রিদয়কে খাওয়ানোর সেই ঔষধ হয়। তাহলে আজ আর খাওয়াতে পারবেনা।
কালকেই এগুলো নিয়ে ডাক্তার কে দেখাতে হবে।
তিথি তারাতারি করেই বাড়িতে ফিরে এসে রিদয় এর কাছে যায়। তিথি কে দেখে রিদয় তার মায়ের
কোল থেকে মাথা উঠিয়ে বলে। ও ভালো বৌ কোথায় ছিলে?
তিথি হালকা হাসি দিয়ে রিদয় এর পাশে বসে পরে।
তনুও এসেছে সবাই আজ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছে আর সাথে নানা রকমের নাস্তা রয়েছে। রাতে খেয়ে দেয়ে রুমে আসে তিথি। এসে রিদয় কে বসিয়ে ওয়াস রুমে ঢুকে গেলো তিথি। তার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে। কারন সারা দিন নানান টেনশন তাকে গ্রাস করেছে।
তার আজ এক বেলাও গলা দিয়ে খাবার নামেনি বা কোন হালকা খাবার ও না শুধু পানি খেয়েছে। একটু পর পর তার গলা যেনো শুধু শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছিলো।
.
তার শরিরটা খুব গরম লাগছিলো।তাই একবার গোসল করে নিলো। (যদি মাথাটা একটু ভালো লাগে সেই আশায়)
এদিকে রিদয় অনেক ক্ষন ধরে তিথির জন্য মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
সেই কখন গেলো এখন ও আসছে না। তাই রিদয় এবার ওয়াস রুম এর দিকে পা বারায়। ওয়াস রুম এর দরজাটা খুলাই রেখেছিলো তিথি কারন রিদয় কে যাতে লক্ষ রাখতে পারে। তাই দরজাটায় আর ছিটকেনি দেয়নি।
রিদয় এসে দরজার সামনে দারায়, দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাক দেবে। এমনি দরজায় টাচ করতেই খুলে গেলো একটু।
রিদয় সেই ফাকেই তার ভালো বৌকে দেখছে হাসি মুখে।
একটু পর সে হাসিটা বন্ধ করে দেয়। কেমন চোখে যেনো তিথি কে দেখছে তার চাওয়াটা স্বাভাবিক হলেও অস্বাভাবিক ভাবে নেশায় ডুবে আছে চোখ গুলো।
.
তিথির কোন খেয়াল নেই এদিকে সে আপন মনে কাপর পাল্টাচ্ছে।
রিদয় আর দেরি না করে দরজায় ধাক্কা দিয়ে পুরা টা খুলে দেয়।
এতে তিথি প্রায় ভয় পেয়ে উঠে। কারন সে মাএ পেটিকোট আর ব্লাওজ টা পরে শাড়িটা হাতে নিয়েছে কিন্তু পরতে পারলো কই!!!
রিদয় সেই নেশা চোখে চেয়ে তিথি কে দেখছে।
তিথি কিছু বলবে তাই রিদয় দিকে তাকিয়ে আর বলতে পারলো না। কারন তার চোখতো এখন বহু কথা বলছে।
রিদয় এবার ধির পায়ে তিথির কাছে আসে।
তিথি শুধু ধরধর করে কাপছে আর লজ্জাও পাচ্ছে। তিথির চোখ শুধু এদিক ওদিক ঘুরাচ্ছে। কারন রিদয় এর চোখের দিকে তাকানোর সাহস তার নেই।
রিদয় এবার তিথির হাত থেকে শাড়িটা টান দিয়ে ফেলে দেয়।
তিথি ভয়ে ও লজ্জায় দুই হাতে কাপর দিয়ে বুকে চেপে রেখেছে। তার কাপা গলায় বললো কি করছেন এসব? রুমে জান।
.
রিদয় এর কানে হয়তো কথা পৌছায়নি। সে তিথির কাপা গলা শুনে আরো মাতোয়ারা হয়ে গেছে।
তিথির ঠোট কাপছে ভেজা শরিরে যে মেয়েদের এক সুন্দর্য আছে তা ফুটে উঠেছে।
রিদয় শাওয়ার টা অন করে দেয়। (আবার তিথিকে ভেজাবে বলে)
তিথির গলায় আওয়াজ নেই সে বলতে গিয়ে ও বলতে পারছেনা। আওয়াজ আটকে আছে কোথাও!!!
রিদয় ও ভিজে গেছে। হাত দিয়ে তার চুল পিছনে নিয়ে তিথিকে টান দিয়ে নিজের বুকে ফেলে দেয় তিথি কে।
তিথি চোখ মুখ বন্ধ করে ফেলেছে। কি করছেন উনি এমন করে কেন আমায় কষ্ট দিচ্ছে!!
রিদয় এবার তিথির মুখটা সামনে এনে তিথির গলায় ও ঘারে ঠোট বুলাতে বুলাতে বললো। আমি সে দিন পুরো আদর দেখাতে পারিনি। আজ দেখাবো কি করে বৌকে আদর করে।
তিথির নেশা ধরে গেলো রিদয় এর কথায়।
রিদয় তিথির গালে ও কানে ঠোট বুলাচ্ছে। তার গরম নিশ্বাস তিথি কে ঘায়েল করছে।
এবার তিথি নিজেই রিদয়কে চেপে ধরে তার ঠোটে একটা গভীর চুমু দিয়ে দেয়।
রিদয় এক গাল হাসি দিয়ে তিথিকে আবার জরিয়ে ধরে নিজের ঠোটটা তিতিল এর ঠোটে ডুবিয়ে দেয়।
এই পাগলের পাগল করা এই অত্যাচার তিথি চায় আরো চায়।
রিদয় অনেকক্ষন তিথির ঠোট এর স্বাদ নিয়ে কানের লতিতে আল্ত কামর বসিয়ে দেয়।
তিথির চোখ এখন ও বন্ধ।
.
রিদয় তিথি কে কোলে তুলে রুম আনে আর খাটে শুইয়ে দেয়।
রিদয় দারিয়ে আরো একবার তিথিকে ভালো করে দেখলো। তিতিল এর ঠোট কাপায় রিদয় আরো উৎসাহীত হচ্ছে।
সে এবার তিথির উপর ঝাপিয়ে পরে। আর তিথিকে একে একে ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে দিচ্ছে।
দুজন এবার হারিয়ে গেলো অতল সুখের মাঝে তিথি তার পুরোটা ভালোবাসা বিলিয়ে দিচ্ছে
আর রিদয় তা লুটে নিচ্ছে।
আজ রাতে তাদের ঘুম হবে কি???
আজানের আওয়াজে রিদয় তিথিকে ছেড়ে তার উপর থেকে উঠে পাশে শুয়ে পরে।
তিথির অবস্তা করুন বেচারি রাত ভর ঘুমাতে পারেনি। রিদয় তার দুষ্টুমি একটু পর পরই শুরু হয়ে যেতো।
শরির টা তার বড্ড ব্যাথা হয়ে গেছে।
নামাজ তো পরতে হবে তাই চাদরটা জরিয়ে ওয়াস রুমে পা বারাতে যাবে। তখনি রিদয় আবার টান ধরে বলে। এতো প্যাকেট হয়ে কি লাভ!! অজথা সময় নষ্ট!!
তিথি এবার মনে হচ্ছে আল্লাহ মাটিটায় গর্ত করে দাও। তার ভিতর এ আমি লুকাই।
রিদয় আবার তিথি কে কাছে টেনে নিয়ে আবার আদর করতে শুরু করে দেয়।
তিতিল বাধা দিয়ে বলে। এই না না নামাজ পরবো তো।
.
রিদয় একটু অভিমান করে বলে সময় আছেতো একটু দারাও বলেই আবার সেই দৃষ্টুমিতে মেতে গেলো।
না অনেক হয়েছে, আর না, এবার নামাজটা পড়তে হবে, বলেই তিথি রিদয়কে সরিয়ে ওয়াস রুমে যায়, ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে, উঠে দাড়ায়, একবার রিদয়ের দিকে দেখলো , সে জায়নামাজটা গুছিয়ে রেখে আবার রিদয় এর কাছে যায়, , রিদয় উল্টো হয়ে শুয়ে আছে, তিথি তার মাথায় হাত রাখতেই রিদয় তিথির হাত ঝাপটে ধরে বলে,
কি ভালো বৌ এখনও ঘুমায় নি তোমার অপেক্ষায় আছি, এই বলে তিথিকে এক টানে নিজের বাহুডোরে ফেলে, ।
তিতিল এবার হালকা হেসে রিদয় এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।
সকাল হয়েছে অনেক বেলা হয়ে গেলো উফ ( তিথি মনে মনে)
রিদয় এর মাথাটা নিজের কাছ থেকে ছারিয়ে উঠে পরে।
রিদয় ঘুমাচ্ছে, ডেকেও লাভ নেই সারা রাত যা করেছে এতে ক্লান্ত হওয়ারই কথা।
তাই তিথি আর রিদয় কে ডাকে নি।
.
নিজে ফ্রেস হয়ে নিচে গেলো। শরিলটা ব্যাথা করছে।
তিথি নিচে এসে দেখে তার শাশুরি চা খাচ্ছে। আজ শুক্রবার তাই অফিস যায়নি।
নয়তো এতক্ষনে তো উনার অফিসে থাকার কথা।
তিথিকে দেখে রিদয় এর মা হাসি দিয়ে বললো। এসো মা এসো বলেই তিথির দিকে অনেক ক্ষন চোখ বুলালো। রিদয় কিছু একটা আন্দাজ করতে পেরে চোখ নামিয়ে আবার চায়ের স্বাদে মন দিলো সাথে মুখটায় অনেক খুশি নিয়েও বটে।
কাল রাতে রিদয় এর দেয়া কারম গুলো একটু দাগ কেটেছে তিথির গলায় ও ঘারে।
তিথি একটু লজ্জা বোধ করে অন্য দিক ফিরতেই দেখলো রহিম আসছে!!
মুখটা মলিন করে। আর কি যেনো চিন্তায় ডুবে গেলো রহিম।
তিথি বুজতে পারছে হয়তো। ঔষধ গুলো পায়নি তাই এমন করছে উনি। ভেবেই তিথি একটা বিজয়ী হাসি দিয়ে দিলো।
রিদয় এর মা বলে উঠলো কখন থেকে বসে আছি নাস্তা করবো বলে!!রিদয় উঠেনি?
না মা( তিথি মাথা নত করে)
.
তনু মোবাইল টিপতে টিপতে বের হল ঘর থেকে। তিথিকে দেখেই মোবাইল লুকিয়ে ফেলে আর শান্ত হয়ে কাছে আসে।
রিদয় এর মা তনুকে ডাক দিয়ে বলে। যা তো রিদয় কে ডেকে আন নাস্তা করবো।
তনু যেতে যাবে তখনি তিথি বলে উঠে এই না না। আমি ডাকছি বলেই রুমে ঢুকে যায় দ্রুত পায়ে। রিদয় এর মা হালকা হেসে পত্রিকা পড়তে বসে।
তনু ও আবার মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরে।
তিথি রুমে ঢুকে তাকাতেই হা হয়ে গেল।
এগুলো কি করছেন আপনি???
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com