Breaking News

ধনীর মেয়ে বস্তির ছেলে । পর্ব - ০৪



সুমাইয়াঃ জীবনেও না।

হুসাইনঃ তুমি যদি আমার সাথে বিয়ে না করলে। তোমার যত পিক আছে ফেবুতে ভাইরাল করবো।
সুমাইয়াঃ এই মানুষ কে আমি ভালোবেসে ছিলাম। আর তোমাকে বিশ্বাস করে। সব করে ছি। পিক দিয়েছি। আর তুমি আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতক করলে।
হুসাইনঃ আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না। প্লিজ এমন করো না।
সুমাইয়াঃ তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না। যদি আমাকে সত্যি কারে ভালোবাসে থাকো। আর ফোন দিবে না।
হুসাইনঃ তুমি সুখি হও সেই দোয়া করি।
সেই রাতে হুসাইন আমাদের আড্ডা খানায় এসে বলে।
হুসাইনঃ তোর বৃদ্ধি তে কাজ হলো না
তুষারঃ কি বলেছে।

হুসাইনঃ আমি যদি তাকে ভালোবেসে থাকি।তাহলে তাকে যেনো ফোন না দিয়।
তুষারঃ আচ্ছা। একটি আইডিয়া আছে
হুসাইনঃ থাক তোর আইডিয়া। আমি বাসায় যাচ্ছি
হুসাইন বাসায় যখন যাচ্ছিলো। আমার কেমন সন্দেহ হলো। তাই আমিও তার পিছু নিলাম।
তারপর কিছু দুর যাওয়ার পর হঠাৎ করে।
বিশ্বাস কথাটি ভালোবাসার থেকে বড় কারণ।
বিশ্বাস না থাকলে ভালোবাসা টিকে না।
সুমাইয়াঃ তুমি আমাকে আর ফোন দিবে না। যদি আমাকে সত্যি কারে ভালোবাসে থাকো। আর ফোন দিবে না।
হুসাইনঃ তুমি সুখি হও সেই দোয়া করি।
সেই রাতে হুসাইন আমাদের আড্ডা খানায় এসে বলে।
হুসাইনঃ তোর বৃদ্ধি তে কাজ হলো না।
তুষারঃ কি বলেছে।
হুসাইনঃ আমি যদি তাকে ভালোবেসে থাকি।তাহলে তাকে যেনো ফোন না দিয়।
তুষারঃ আচ্ছা। একটি আইডিয়া আছে
হুসাইনঃ থাক তোর আইডিয়া। আমি বাসায় যাচ্ছি
হুসাইন বাসায় যখন যাচ্ছিলো। আমার কেমন সন্দেহ হলো. তাই আমিও তার পিছু নিলাম।
তারপর কিছু দুর যাওয়ার পর হঠাৎ করে।

তারপর কিছু দুর যাওয়া পর হঠাৎ করে দেখি বিষের বোতল বের করে। হুসাইন মুখে দিতে যাচ্ছে।
সাথে সাথে আমি গিয়ে ঠাস ঠাস ঠাস দুটা থাপ্পড় দিলাম।
আর বলতে লাগলাম।
তুষারঃ দোস্ত তুই একটি মেয়ের জন্য বিষ খেতে যাচ্ছি।
হুসাইনঃ আমাকে মরতে দে। তুষার তুই সামনে থেকে সর।
তুষারঃ দোস্ত তুই যদি মরে যাস। সেই মেয়ে ঠিকি সুখে থাকবে। কিন্তু তোর মা বোন বাব। কে দেখবে?
হুসাইনঃ নিশ্চুপ
তুষারঃ আমার মাথায় হাত দিয়ে বল। আর কেনোদিন আত্মা হত্যা করবি না।
হুসাইনঃ আচ্ছা আর করবো না।
তুষারঃ এই ছিলো। হুসাইন আর সুমাইয়ার প্রেম কাহিনী। বুঝতে পরলো মায়া।
মায়াঃ হুম।এখন আমি কি করবো বল?
তুষারঃ আর কিছুদিন ওর পিছনে লেগে থাক নাহলে পরে দেখা যাবে?
মায়াঃ ওকে?

তুষারঃ তুই থাক হুসাইন। গাড়িতে বসে আছে। আমি যায়!
তারপর তুষার আবার ফিরে আসলো?
আমিঃ কিরে এতক্ষণ কি করলি?
তুষারঃ এইতো একটু বুঝাতে সময় লাগলো?
আমিঃ ওও! আজকে আর ক্লাস করবো না! বাসায় চলে যাবো? সালার মুডটাই নষ্ট করে দিলো?
তুষারঃ ওকে চল! (বলেই তুষার আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে আসলো)
এভাবে কয়েকদিন চলে গেলো? আর মায়া পাগলের মতো আমার পিছনে পড়ে ছিলো? কিন্তু আমি বারেবারে সেই একই কথা?
মায়াকে যাই বলি না কেনো? ওও সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে নেয়? আর পাগলের মতো পিছে পড়ে আছে?
এক সকাল,
আমি কলেজে এসে তুষারের সাথে দেখা করলাম? তারপর ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখা হয় মায়ার সাথে?
মায়াঃ হাই জানু, কেমন আছো?
আমিঃ দেখ মায়স আমি আগেও তোকে বলেছি যে আমাকে এভাবে রাগাবি না! আর যেটা সম্ভব না সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি সম্ভব না?

মায়াঃ কোনটা সম্ভব না?
আমিঃ তুই কখনো আমাদের মতো চলতে পারবি না! তাই তুই আমার পিছনে আসিস না প্লিজ?
মায়াঃ আমি তোমার জন্য সব করতে পারবো?
আমিঃ কি করতে পারবি তুই বল আমাকে? (কিছুটা রাগান্বিত হয়ে)
মায়াঃ তুমি যা বলবে সব করতে পারবো একবার বলে তো দেখো?
আমিঃ সব করবি তাই না! তাহলে চল? (বলেই আমি মায়া হাত ধরে টেনে ভার্সিটির বাহিরে নিয়ে আসলো?)
মায়াঃ জানু তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?
আমিঃ আগে যাই তারপরেই বুঝতে পারবি? আগে চল?
আমিঃ তুষার গাড়ি স্টার্ট দে?
তুষার গিয়ে গাড়ি স্টার্ট করলো? তারপর মায়াকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম?
তারপর মায়াকে নিয়ে ভিতরে গেলাম? গিয়ে আম্মুকে ডাকলাম?
আম্মুঃ কিরে এভাবে ডাকছিস কেনো?

আমিঃ কি করতেছো তুমি?
আম্মুঃ রান্না করতেছি?
আমিঃ তুমি গিয়ে রুমে রেষ্ট করো এখন মায়া রান্না করবে?
আম্মুঃ ঐ তোর মাথা ঠিক আছে ওও কেনো রান্না করতে যাবে? ওও কি রান্না করতে জানে নাকি?
আমিঃ ওও নাকি আমার জন্য সব করতে পারবে? তা কিছুদিন আমাদের সংসারের কাজ করুক তাহলেই ওর সব আবেগ জানালা দিয়ে পালাবে?
আম্মুঃ চুপ থাক তুই? মা তুমি যাও গিয়ে রেষ্ট করো? আর না খেয়ে যাবে না কিন্তু? আর ঐ তুষার তুই দাড়িয়ে কি দেখছিস মায়াকে নিয়ে যা রুমে?
আমিঃ আম্মু তুমি একটু চুপ থাকবে? আর সরো তুমি? (বলেই মায়া নিয়ে রান্নাঘরে গেলাম?)
আমিঃ নাও আজকে দুপুরের সব কাজ তুমি করবে? (মায়াকে উদ্দেশ্য করে) আর আম্মু তুমি ভুলেও হেল্প করতে আসবে না বলে দিলাম?
আম্মুঃ ঐ তুই কি করছিস এসব?
আমিঃ ভূত নামাইতাছি?
আম্মুঃ কিসের ভূত?

আমিঃ প্রেমের ভূত? তুমি এতসব বুঝবে না! তুমি রুমে যাও? (বলেই আম্মুকে রুমে ডুকিয়ে দরজাটা লক করে দিয়ে আসলাম)
আবার মায়ার এখানে চলে আসলাম?
আমিঃ কি হলো রান্না কর?
মায়া আমার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে?
আমিঃ কি হলো রান্না কর। সব না করতে পারবি? তাহলে কর আজ থেকে আমাদের সংসারের সব কাজ?
মায়া এবার রান্না শুরু করলো? তাই আমি তুষারকে নিয়ে টিভি দেখতে বসে গেলাম?
আর দুজনেই হাসতে লাগলাম! কিছুক্ষন পর মায়া আসলো?
মায়াঃ খাবার রেডি চলো খাবে?
আমি কিছুটা অবাক হলাম! তাও ওকে বুঝতে না দিয়ে বললাম?
আমিঃ খাবার রেডি করো আমরা আসতেছি?
মায়াঃ ওকে! জানু?

রাগি মুখ নিয়ে রুমে গেলাম! গিয়ে তুষার আর আমি ফ্রেশ হলাম! তারপর আম্মুকে ফ্রেশ হতে বললাম! আব্বুও চলে আসলো?
তারপর সবাই মিলে খেতে বসলাম! খাবার মুখে দিয়ে অবাক হয়ে গেলাম!
ভালোই রান্না করেছে! সবাই দেখলাম খাবারের প্রশংসা করতেছে? আর সেই প্রশংসা গুলো আমার গায়ে কাটা হয়ে বিধতে ছিলো? তাই খাবার রেখেই উঠে চলে গেলাম!
গিয়ে ফোন টিপতে লাগলাম! কিছুক্ষন পর হঠ্যাৎ রুমে কেউ আসার আওয়াজ পেলাম! তাকিয়ে দেখি মায়া হাতে খাবারের প্লেট?
মায়াঃ কি হলো না খেয়ে চলে আসলে কেনো?
আমিঃ খেতে মন চাইতেছে না তাই?
মায়াঃ ওলে আমার পিচ্চি বরটা বলে কি? বুঝচ্ছি আমার হাতে খাবে বলে এভাবে না খেয়ে চলে এসেছে?
আমিঃ ঐ ডং টা একটু কম করবি?
মায়াঃ আচ্ছা নাও এবার লক্ষি ছেলের মতো খেয়ে নাও? (মুখের সামনে লুকমা ধরে বললো)

আমিঃ না তুই খা তোর খাবার আমি খাবো না!
মায়াঃ প্লিজ খেয়ে নাও?
আমিঃ না বললাম না!
মায়াঃ প্লিজ জানু প্লিজ খাবারের উপর রাগ করে থাকতে নেই?
আমিঃ আমার খিদে নেই?
মায়াঃ প্লিজ খেয়ে নাও?
আমিঃ না বললাম তো?
তারপর মায়া যা করলো তাতে আমি পুরোই অবাক হয়ে গেলাম!
মায়া- ঠাসসসসসসসস! (মায়া আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো) খেতে বলছি খা? (বলেই মুখে ভাত পুড়ে দিলো?)
আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম! আর ভাত খেতে লাগলাম!
মায়াঃ সোজা করে বলতেছি কানে যায় না! এবার বাকা করেই ছাড়লি? ভালো করে বললে কথা শুনবি নাহলে লাথ্থি মেরে কথা শুনাবো মনে রাখিস?

এসব বলতেছিলো আর আমাকে ভাত খায়িয়ে দিতে লাগলো? আর আমি শান্ত ছেলের মতো খেতে লাগলাম!
হঠ্যাৎ দরজার দিকে নজর যেতেই দেখলাম তুষার দাড়িয়ে-দাড়িয়ে হাসতেছে?
আমিঃ সালা এসবের কারণে তুই দায়ি?
তুষারঃ আমি আবার কি করলাম?
আমিঃ তুই এখানে দাড়িয়ে কি করতেছিস?
তুষারঃ এই যে তোর বউ তোকে খায়িয়ে দিতেছে সেটাই দেখতেছিলাম?
আমিঃ ঐ আমি বিয়ে করলাম কবে?
তুষারঃ তা তো জানি না! তবে এতো আদর করে বউ আর মা বাদে কে খাওয়ায় বল?
আমিঃ তুই গেলি না এখন গ্লাস দিয়ে মারবো? (বলেই গ্লাসটা হাতে নিলাম! আর তুষার চলে গেলো)
আর এদিকে মায়া আমাকে খায়িয়ে দিয়ে সব কিছু ঠিকঠাক গুছিয়ে ফেললো?
প্লেট নিয়ে বাহিরে যাওয়ার আগে আমার গালে একটা কিস করে চলে গেলো?

আমি অবাক হয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম! কিছুক্ষন পর আবার মায়া রুমে আসলো?
মায়াঁ- কি হলো তুমি এখনো ঘুমাও নি?
আমি রাগে কোনো কথাই বললাম না?
মায়াঃ ওওলে বাবুটা রাগ করছে রে? রাগ করো না প্লিজ?
আমি তাও কিছুই বললাম না!
মায়াঃ আসো আমি ঘুম পাড়িয়ে দেই?
আমিঃ না আমি এখন ঘুমাবো না!
মায়াঃ তাহলে আমাকে এখন আদর করো একটু?
আমিঃ না আমি এখন ঘুমাবো?
মায়াঃ এখন না বললে ঘুমাবে না!
আমিঃ এখন ঘুম পেয়েছে তাই ঘুমাবো?
মায়াঃ ওলে আমার বর টা তো দেখি অনেক অভিমানী?
আমিঃ ঐ তোমার বর কে?
মায়াঃ আমার সামনে যে বসে আছে সে?
আমিঃ আমি কারো বর না! আমি এখনো বিয়ে করি নি? তাই এই নামে ডাকবি না?
মায়াঃ ওলে এত অভিমান আমার বরের? আর কত্ত কিউট লাগে অভিমান করলে তা আজকে না আসলে দেখতেই পেতাম না!

আমিঃ থূর? (বলেই শুয়ে পড়লাম!)
আর মায়া মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলাতে লাগলো?
তাই কিছুক্ষন এর মাঝেই হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে?
ঘুম ভাঙ্গলো সন্ধায়? আশেপাশে তাকিয়ে দেখি মায়া নেই? তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুম এ দেখলাম তাও নেই?
যাক শান্তি হলো মনটা? কিছুক্ষন পর আম্মু তার রুম থেকে বেড়োলো?
আমিঃ আম্মু বোমটা কই?
আম্মুঃ বোম কে?
আমিঃ মায়া কই?
আম্মুঃ মায়া তো?
চেয়েছিলাম ভালোবাসতে কিন্তু কখন যে বিরক্তিকরের কারণ হয়ে গিয়েছি বুঝতে পারি নাই প্রিয়।
চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com