স্মৃতির পালক / সুখের পৃথিবী

 


 স্মৃতির পালক

প্রিয় করিও আমায় সিঁথির সীমন্তক
আমি হইব তব নেত্র উদক ;
হিয়ার চমনে কেঁদে গেছে অলি
এখনো কাঁদে সেথা ইন্দুমৌলি ;
ফিরে এসো উমা দাও অঞ্জলি
তবু প্রণয়ের জয় হোক।
সৌম্যদর্শন , পূজিলাম সারাক্ষণ
তবু বার বার কেঁদে ওঠে মন ;
তুমি শুনাতে যদি মধু আলাপন
তবু স্মৃতিটুকু রয়ে যায় যাক।
আজো কাঁদে দুর্গেশ , এসো পার্বতী
দাও একটু আয়েশ , করি মিনতি ;
যায়না দুর্বাসনা , জেগে থাকি রাতি
আজো কি দোলে কপোলে সে অলক।
বুস্তাঁয় উড়ে যায় , কত মধুলেহী
কত সুন্দর , মনোহর চিত্তগ্রাহী ;
সজল আঁখিতে একা পড়ে রহি
উড়ে গেছে বিহগী আছে পালক।
ফিরে আসে যদি , তৃষিত ষটপদী
আমি হতাম তবে প্রীতির পয়োধি ;
আজো নিভৃতে কাঁদে আহত হৃদি
শুনিতে চাহে মধুর ডাক।


সুখের পৃথিবী
সারা জীবন যা চেয়েছি, তাই আজ শিকলে জরালো হায়।
মনের মাঝে অসিম ভয়, অসংলগ্ন কথা হয়তো তারই পরিচয়।
চেয়েছিলাম হারিয়ে যাবো,
নিজেকে খুজে বেড়াবো,
মনটাকে ভরিয়ে দে_বো,
সৃষ্টির এই বৈচিত্র্য_তায়।
চাঁদনী রাতে একলা পথে,
ঝর্ণা নদী পাহাড়ে_তে,
কিংবা বিশাল সাগরে_তে,
মন যে ছুটে যায়।
বাস্তবতার অতল গ্রাসে,
মনে অনেক দুঃখ আসে,
তবু যে সে দিব্যি হাসে,
হয়তো তা অভিনয়।
মনকে যে আজ বুঝিয়েছি,
এর_ই মাঝেই যে যেথায় আছি,
দুঃখ_সুখে কাছাকাছি,
এমনই বা পাবো কোথায়।
স্বর্গে গিয়ে অসিম সুখ নরকের কঠিন দুখ যাই পরকালে পাই।
দুঃখ_সুখের মলিন ছোয়া এই পৃথিবী ছারা আর যে কোথাও নাই।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url