Breaking News

আপু যখন বউ । পর্ব - ০৩



ছেলেটাঃ ভাই ওরা ভিতরে আছে তুমি যাও?

আমিঃ ওকে? (বলেই ভিতরে গেলাম)
ভিতরে গিয়ে আমি হালকা চমকে উঠলাম……..!
দিন বদলায় রাত ১২ টায় দিকে আর মানুষ বদলায় সুযোগ বুঝে!
ভাবতে লাগলাম! সমস্যা হলে তো মেহেদী ভাই ফোন দিবে এই ছেলেটা ফোন দিলো কেনো! তাই মেহেদী ভাইকে ফোন দিলাম!
আমিঃ ভাই ভার্সিটিতে কোনো সমস্যা হইছে?
মেহেদী ভাইঃ না কেনো?
আমিঃ আরে একটা ছেলে (সব খুলে বললাম)!
মেহেদী ভাইছ- হুসাইন এটা জান্নাতের চাল তুই ভুলেও ওর কথা শুনিস না! তাহলে অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে বলে দিলাম!
আমিঃ ভার্সিটিতে তে যাবো! সেটা হাজারো সমস্যা হোক! এখন তুমি একটা কাজ করো!
মেহেদী ভাইঃ কি কাজ?
আমিঃ (**).এটা করতে পারবে?
মেহেদী ভাইঃ পারবো?
আমিঃ তাহলে আমি ভার্সিটিতে যাওয়ার আগে এটা রেডি করে ফেলো! আমি ডুকার আগে কল দিবো ওকে ভালো থেকো! (বলেই ফোনটা কেটে দিলাম)
তারপর চলতে লাগলাম ভার্সিটিতে! ভিতরে যাওয়ার আগে মেহেদী ভাইকে কল দিয়ে জানতে পারলাম সবকিছু ওকে!

তাই কোনোকিছু চিন্তা না করেই ভিতরে গেলাম! গিয়ে দেখি ছেলেটা দাড়িয়ে আছে!
তাই ওর কাছে গেলাম!
ছেলেটাঃ ভাই ওরা ভিতরে আছে তুমি যাও?
আমিঃ ওকে? (বলেই ভিতরে গেলাম)
ভিতরে গিয়ে আমি হালকা চমকে উঠলাম……..!
ভিতরে গিয়ে আমি হালকা চমকে উঠলাম! কারণ ভিতরে জান্নাত ছাড়া আর কেউ নেই!
বুঝলাম পরিবেশ গরম হবে!
তাই রুমের উপরের এক কোণায় থাকা ছোট্ট জানালায় তাকিয়ে দেখে নিলাম যে মেহেদী ভাই ক্যামেরাটা নিয়ে পৌছেছে কি না!

মেহেদী ভাইয়া ক্যামেরা নিয়ে বসে আছে চুপ করে তাই চিন্তা ছাড়া বুকটা টান দিয়ে দাড়ালাম!
আমিঃ কি হলো এখানে ডাকলেন কেনো?
জান্নাতঃ তোকে আজকে সবাই মেরে ভার্সিটি থেকে বেড় করবে?
আমিঃ কেনো আমি কি করেছি?
জান্নাতঃ তুই কিছুই করিস নি! করবো আমি আর দোষ দিবো তোর তারপর বাকিটা স্টুডেন্টরা দেখে নিবে?
আমিঃ শুনেন আমারে গর্তে ফেলতে গিয়ে আবার নিজে গর্তে পড়ে যাইয়েন না আবার!
জান্নাতঃ ওকে তুই দেখ কে পড়ে গর্তে?
তারপর জান্নাত আপু নিজের জামার কিছু অংশ ছিড়ে ফেললো!
তারপর নিজ থেকেই চিৎকার করে কাদতে লাগলো!

কিছুক্ষণ পর কাদো কাদো চেহারা নিয়ে দরজা খুলে বাহিরে এসে পড়লো! আমি এই চান্সে মেহেদী ভাইয়ের কাছ থেকে ভিডিও করা মেবাইলটা নিয়ে নিলাম!
তারপর বাহিরে এসে দেখি হাজারো ছাত্র-ছাত্রী আমার দিকে রাগি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে!
তাই চুপচাপ কিছু না বলে প্রিন্সিপাল এর রুমের দিকে চলে গেলাম! বুঝতে পেরেছি মেহেদী বাহিরে এসে বলেছে যে আমি তাকে ধর্ষন করার চেষ্টা করেছি বা নানান কিছু!
একঘন্টার মধ্যে সভাপতি সহ সব স্যারেরা এসে গেলো! সভাপতি সাহেব আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে!

প্রিন্সিপাল এর রুমের বাহিরে কিছু ছেলে মেয়ে মিলে আমার শাস্তির দাবিতে মিছিল করতেছে!
ভিতরে আমি আর মেহেদী ভাই দাড়িয়ে সেগুলো শুনতেছিলাম! তখনই প্রিন্সিপাল স্যার বলে উঠলো!
প্রিন্সপালঃ তুমি কি সেই হুসাইন যে কিনা ফাষ্ট ইয়ারের হয়ে লাষ্ট ইয়ারের ছেলেদের সাথে ঘুড়াফেরা করো।
আমিঃ জ্বী স্যার?

প্রিন্সপালঃ তা তুমি তো খুব ভালো বলেই জানতাম! ২০ দিনে ভার্সিটির সবার কাছে ফেভারিট একজন নেতা হয়ে উঠেছো! তা হঠ্যাৎ করে এমন কাজ করতে গেলো কেনো? তাও আবার আমাদের সভাপতির মেয়ের সাথে?
আমিঃ স্যার মিটিং কি আরো করবেন! নাকি এটা এখানেই শেষ করে দিবো?
জান্নাতের বাবার – মানে!
আমিঃ মানেটা বলতেছি! স্যার আপনার রুমের প্রজেক্টরটা একটু চালু করতে পারি?
প্রিন্সপালঃ কেনো?
আমিঃ আমি কিছু সবাইকে দেখা চাই?
স্যার সবার দিকে তাকিয়ে হ্যা বললো!

তারপর মেহেদী ভাই সব রেডি করলো! তারপর আমি গিয়ে ভিডিওটা প্লে করে দিলাম! সবাই হা করে দেখতে লাগলো!
জান্নাত ভিডিওটা দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো! একবার ভিডিওটার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার আমার দিকে তাকাচ্ছে!
ভিডিওটা শেষ হওয়ার পর আমি মোবাইলটা নিয়ে নিলাম!
আমিঃ স্যার আমি জানি না জান্নাত আপুর কি বিচার হবে! তবে এরকম অপবাদ যেনো অন্য কাউকে না দেয়! ভালো থাকবেন! “(বলেই মেহেদী ভাই সহ আমি বেড়িয়ে আসলাম)
বাহিরের সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে! সবাইকে ভার্সিটির সকল স্টুডেন্টদের একটা গ্রুপ আছে! সেটাতে ভিডিওটা শেয়ার করে দিয়ে সবাইকে চেক করতে বললাম!
কিছুক্ষণের মাঝেই সবাই চুপ হয়ে গেলো!

আমিঃখারাপ আমাদের টিম না! খারাপ হলো জান্নাতের টিম! সো ভালো কিছু করতে চাইলে আমাদের টিমে চলে আসেন! ভালো থাকবেন সবাই! (বলে কেনটিনে চলে আসলাম)
ঐদিন আর ক্লাস করা হয় নি! তাই দুপুরে বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে দিলাম এক ঘুম! বিকেলে মোবাইল এর চিল্লানীতে ঘুম ভাঙ্গলো!
তাকিয়ে দেখি মেহেদী ভাইয়ের ফোন তাই উঠে রিসিভ করলাম!
আমিঃ হুম ভাই বলো?
মেহেদী ভাইঃ একটা গুড নিউজ আছে?
আমিঃ কি গুড নিউজ?
মেহেদী ভাইঃ আরে ভার্সিটির সব ছেলে মেয়ে আমাদের টিমে জয়েন করতে চাইতেছে!
সবাইকে দলে নিয়ে নিবো?

আমিঃ দল তোমাদের তোমরা ভালো জানো!
মেহেদী ভাইঃ তুই এটা কি বললি হুসাইন?
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে সবাইকে নিয়ে নাও! আর জান্নাতের কি খবর?
মেহেদী ভাইঃ ওর বাবা ওকে বাসায় নিয়ে যেতে দেখলাম! মনে হয় তোর উপর প্রতিশোধ নিবে?
আমিঃ কিভাবে বুঝলে?
মেহেদী ভাইঃ ওর চোখ দিয়ে মনে হচ্ছিল আগুন ঝড়তেছে! তুই একটু সাবধানে থাকিস!
আমিঃ ওকে তুমি চিন্তা করো না! ভালো থেকো আমি এখন ঘুমাবো!

মেহেদী ভাইঃ ওকে বাই! (বলেই ফোনটা রেখে দিলাম)
পরেরদিন কলেজে গিয়ে দেখি জান্নাত আর ওর দুইটা বান্ধবী বসে আছে! তাই ওদের কাছে গেলাম!
আমিঃ আপু মন খারাপ?
জান্নাত আমার গলাটা শুনেই চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালো! আমি হালকা ভয় পেলাম মনে মনে! তাও বাহিরে সেটা বুঝতে দিলাম না!
জান্নাতঃ তোকে বলতে হবে আমার মন খারাপ না কি?
আমিঃ না এভাবে বসে আছো তাই জিঙ্গাস করলাম!
জান্নাতঃ অনেক মজা নিচ্ছিস তাই না! আমিও তোকে দেখে নিবো?
আমিঃ আরে আপুওওও একবার বেইজ্জতি হয়ে আক্কেল ঠিকানায় আসে নি নাকি আবার বেইজ্জত হতে চাও?
জান্নাতঃ দুই দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি!

আমিঃ আমার সাথে লাগতে এসো না! তাহলে নিজের পায়ে কোড়াল মারবে বলে দিলাম।
জান্নাতঃ সেটা সময়ই বলে দিবে!
আমিঃ ওকে! তা ক্ষমতা তো ছেলেদের হাতে চলে আসতেছে কিছু করবে না!
জান্নাতঃ আমি দেখবো তোরা কিভাবে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিস?
আমিঃ তুমি দেখতে থাকো আর আমি খেলতে থাকি! ভালো থেকো, বাই? (বলেই চলে আসলাম)
আপুর হয়তো রাগে চুল ছিড়তে মন চাইতেছে! আর আমার মন চাইতেছে হাসতে!
নির্বাচনের আগের দিন সবাইকে নিয়ে মিটিং শেষ করে বাসায় চলে গেলাম! নির্বাচন এর দিন সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই হলো! কিন্তু ভোটের রেজাল্ট শুনে মাথা উল্টা চক্কর খেয়ে গেলো!
নির্বাচনে নাকি জান্নাত পাশ করেছে! এটা কিভাবে হয়! না এটা মানা যায় না! তাই সবাই মিলে আন্দোলন ডাকলাম!

প্রিন্সিপাল স্যার এসে সবাইকে বুঝাতে চাইলো যে এটা সভাপতির ডিসিশান! তাই জান্নাত নির্বাচনে পাশ করানো হয়েছে!
আমি মেহেদী ভাইয়াকে হালকা একটু উস্কে দিলাম! উনি তো রেগে ফারায় হয়ে বললেন!
মেহেদী ভাইঃ স্যার কথা একটাই যে যতদিন পর্যন্ত নির্বাচনের আসল রেজাল্ট না দেওয়া হবে ততদিন ভার্সিটি বন্ধ! সবাই যার-যার বাসায় যাও!
সবাই চলে যাওয়ার পর স্যার আমাদেরকে ওনার রুমে ডাকেন! ওখানে গিয়ে দেখি জান্নাত সহ আরো কিছু মেয়ে বসে আছে!
ওদের দেখেই সারাশরীর জ্বলে উঠলো আমার! মনে হচ্ছিল ওদের মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দেই কিন্তু মেয়ে তাই মারা যাবে না!
প্রিন্সপালঃ দেখো এবারের মতো ব্যপারটা এখানেই থামিয়ে দাও! পরের বার থেকে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে!
মেহেদী ভাইঃ স্যার আমাদের হাজার বললেও লাভ হবে না! বাহিরে যেটা বলে এসেছি ভিতরেও এটা থাকবে! সো সভাপতির সাথে কথা বলেন আপনি! আর রেজাল্ট এর আগে ভার্সিটি খুলবে না!
প্রিন্সপালঃ দেখো তোমরা বুঝার চেষ্টা করো!

আমিঃ যা বলে গেলাম তাই করেন স্যার! এছাড়া যদি অন্য কোনো চাল চালতে চান তাহলে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে দিয়ে গেলাম! (বলেই আমি আর মেহেদী ভাই চলে আসলাম)
তিন-চার দিন পর পরিবেশটা বদলালো! ক্ষমতা আমাদের হাতে দিয়ে দেওয়ার সিন্ধান্তে পৌছেছে! সবাই খুশিতে নাচতেছে!
জান্নাতের দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে আর লজ্জায় পুরোই লাল হয়ে আছে! আমাকে হাতের কাছে পেলেই হয়তো চিবিয়ে খাবে! ভাবলাম একটু মজা নেওয়া যাক! তাই জান্নাতের কাছে গেলাম””
আমিঃ বাবাকে বলে ক্ষমতা হাতে নিয়ে নেওয়াটাকে জিত বলে না! জিত বলে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনাটাকে!
আমার কথা শুনে জান্নাত আপু হেসে দিলো! আর কেমন জানি একটা লুক নিয়ে আমার দিকে তাকালো!
জান্নাতঃ এবার তোর গলার কাটা হবো আমি?

আমিঃ ছিঃ এরপরেও তোমার লজ্জা হলো না!
জান্নাতঃ তুই আমার মান-সম্মান সব শেষ করে দিয়েছিস! যেটা এই চার বছরের কেউ আমাকে করতে পারে নি! তুই আমাকে হারিয়ে দিয়েছিস!
শার্টের কর্লারটাকে একটু উচু করে ভাব নিলাম!
জান্নাতঃ তবে চিন্তা করিস না! এবার তোর নরম জায়গায় মারবো আমি প্রয়োজনে তোর গলার কাটা হবো! তারপরেও গলার কাটা হবো আমি! না পারবি ফেলতে…না পারি খেতে! মনে রাখিস! (বলেই জ্বলতে-জ্বলতে চলে গেলো)
আমি কথাটা মজা ভেবে উড়িয়ে দিয়ে চলে গেলাম! তারপর ক্ষমতা পাওয়ার আনন্দে হালাক নাচ-গান করে সন্ধ্যায় বাসায় আসলাম!
হাত-মুখ ধোয়ে বইটা নিয়ে বসছিলাম তখনই বাড়ি থেকে ফোন আসলো! তাই রিসিভ করলাম!
আমিঃ হুম আম্মু বলো!

আম্মুঃ একটা খুশির সংবাদ আছে?
আমিঃ কালকে কি ঈদ নাকি?
আম্মুঃ চুপঃ তোর ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হইছে!
আমিঃ তাই নাকি! মেয়েটা কে?
আম্মুঃ কে আর তোর ভাই যাকে পছন্দ করতো তাকেই বউ বানিয়ে আনবো!
আমিঃ ওকে! তুমি ফোন রাখো আমি কালকেই বাসায় আসবো!
আম্মুঃ ওকে! (বলেই আম্মু ফোনটা রেখে দিলো)
সকালে কলেজে ছুটির দরখাস্ত জমা দিয়ে বিকেলের বাসে মেহেরপুর ফিরে আসলাম!
১০ দিন বাসায় কাটিয়ে গেলাম! ভাইয়ার বিয়ের সব ঝামেলা শেষ করে ফেললাম! তারপর আবার গেলাম ভার্সিটিতে!
আমাকে দেখে মেহেদী ভাই সহ সবাই খুশি! কিন্তু এই দশদিন জান্নাত আপুকে সব থেকে বেশি মিস করেছি! ক্রাশ বলে কথা! অনেকবার ঝগড়া করার জন্যও নক দিয়েছি কিন্তু আপু রিপ্লে দেয় নি!
ভার্সিটিতে সবার সাথে দেখা করে গেলাম জান্নাত আপুর কাছে! দূর থেকে দেখলাম হাসতেছে! আমাকে দেখার পরেই সব হাসি উদাও! তারপর আপুর কাছে গেলাম!
জান্নাতঃ কিরে শয়তান এতদিন কোথায় ছিলি?
আমিঃ বাড়িতে গিয়েছিলাম!

জান্নাতঃ কেনো ?
আমিঃ বড় ভাইয়ার বিয়ে করেছে তাই?
জান্নাতঃ ওহহ! তা তোরা কয় ভাই কয় বোন!
আমিঃ মাত্র দুই ভাই!
জান্নাতঃ ওহ! তা বাসায় আর কে কে থাকে?
আমিঃ আম্মু – ভাবি – ভাইয়া! আর আগে আমি থাকতাম এখন ঢাকায় চলে আসছি?
জান্নাতঃ তার মানে তোর আব্বু নেই তাই তো?
আমিঃ হুম!
জান্নাতঃ তোদের গ্রামের নামটা যেনো কি?
আমিঃ মেহেরপুর জেলা আর *** গ্রামে!
জান্নাতঃ ওকে! তুই যা আমাকে এখন অনেক কাজ করতে হবে?
আমিঃ ওকে! (বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম)
এভাবে কেটে গেলো তিনমাস! আপু এখনো আমাকে দেখলে জ্বলে! কিন্তু আমার সেদিকে দেখার সময় নেই! এদিকে ভার্সিটিতে গ্রীষ্মকালের ছুটি পড়ে গেছে প্রায় সপ্তাহখানেক হবে!
বাড়িতে যাবো কিন্তু কিছু কাজ আছে তাই সেগুলো শেষ করে আজকে দুপুরের বাসে বাড়ি ফিরবো!
যেই ভাবা সেই কাজ! বাসায় ফিরতে -ফিরতে রাত হয়ে গেলো!
সবার সাথে কথা বলে রুমে গিয়ে আতকে উঠলাম………!

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com