আপু যখন বউ । পর্ব - ০১
আমিঃ আমাকে বিয়ে করেছেন কেনো?
জান্নাতঃ ঐ তুই কি বলতে চাইতেছত?
আমিঃ না মানে আপনাকে দেখলে আমার পেত্নীর কথা মনে পড়ে?
জান্নাতঃ দেখ এখন রাগাবী না! নাহলে মেরে তোর দাত লাল করে দিবো? (রাগে লাল হয়ে)
আমিঃ এহহহ! আমার জীবনটা তেজপাতা বানাতে যে আসছেন সেটা আমি খুব ভালো করে জানি? ভার্সিটির প্রতিশোধ নিতে আমাকে বিয়ে করেছেন তাই না!
জান্নাতঃ হুম তো! এখন বেশি কথা না বলে এদিকে আয় বাসর রাত করতে হবে?
আমিঃ মানে? (অবাক হয়ে বললাম)
জান্নাতঃ মানে বুঝাচ্ছি?
জান্নাত এক পা- এক পা করে আমার দিকে আসতে লাগলো! আমি মতলব ভালো না দেখে পিছাতে লাগলাম! কিন্তু কপালে বেশিক্ষণ সায় না দেওয়াই!
অল্পকিছু যাওয়ার পরেই পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলো! এদিকে জান্নাত আমার একদম কাছাকাছি চলে আসলো! আমি হয়তো জান্নাতের হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি! দুজনের মাঝে একফোঁটাও গেপ নেই!
ভাবতেছি জান্নাত কি করতে চাইতেছে? এমন সময় খেয়াল করলাম জান্নাত ওর ঠোট দুটো আমার দিকে এগিয়ে আনতেছে! ” বুঝে গেলাম জান্নাত কিস করবে তাই হাত দিয়ে আমার মুখটা চেপে ধরার জন্য হাতটা উপরের দিকে তুলতে গিয়ে বুঝতে পারলাম
জান্নাত আমার হাতটা ওর হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে! উপায় না পেয়ে আমি চোখ বন্ধ করে ফেললাম! অবশেষে জান্নাত আমাকে কিস করে বসলো!” কিস করলো কম কামড়ে ঠোটের ভিতরের অবস্থা বারোটা বাজিয়ে দিলো!
আমি চিৎকারও দিতে পারতেছি না! অবশেষে ছাড়লো আমাকে? ঠোটগুলো কেটে রক্ত পড়তেছে! তাই চুপ করে দাড়িয়ে রইলাম!
জান্নাতঃ বাবু আরেকটু আদর করি?
আমি মাথা নেড়ে শুধু না করলাম!
জান্নাতঃ ওকে তাহলে এখন তুমি ঘুমাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসি? (বলেই মারিয়া চলে গেলো ফ্রেশ হতে)
আমি গিয়ে আয়নায় ঠোটগুলো দেখতে লাগলাম!
আপনারা ভাবতেছেন আমি ভালো একটা ছেলে যে বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতেছি! আসলে না শুধু আম্মুর কথায় আজকের রাতটা ওকে মাফ করে দিলাম!
জান্নাতের সাথে আমার সাপ – নেউল এর সম্পর্ক? কারণটা জানতে হলে পিছনে যেতে হবে! চলুন পরিচয়টা দিয়ে নেই তারপর পিছন থেকে শুরু করবো!
আমার আসল পরিচরঃ নাম আনোয়ার হুসাইন, আমার বাসা.. মেহেরপুর জেলা, মুজিব নগর থানা, খুলনা বিভাগ, আমার পরিবারে চার জন সদস্য.. আমি-আপু-আব্বু-আম্মু-.. আমরা আল্লাহর রহমানে খুব হেপি ফ্যামিলি!
এবার গল্পের পরিচয়….
আমার নাম আনোয়ার হুসাইন! পরিবারে সদস্য তিনজন! আমি – বড় ভাইয়া- আম্মু! মানে বুঝতেই পারতেছেন আব্বু ছোট বেলায় মারা গেছেন(শুধু গল্পতে)! আব্বুর ছোট একটা বিজনেস ছিলো যেটা এখন ভাইয়া সামলায়! আর আমি এখনো পড়াশুনা করি!
আমরা সবাই গ্রামে থাকি! কিন্তু এখন সবাইকে ছেড়ে ঢাকায় যেতে হবে! আমি সারাদিন আম্মুর কাছে শুয়ে রইলাম!
কলেজ লাইফ শেষ করে আমি কাল থেকে ভার্সিটিতে যাবো! মনে আনন্দটাই অন্যরকম! কিন্তু ভয় একটাই রেগিং নিয়ে একটু চিন্তা আছে! তাও মনে অনেক আনন্দ!
রাতে চলে আসলাম সপ্নের শহর ঢাকায়! এখানে আমি আর আমারই একটা বন্ধু! দুজনে এসেছি গ্রাম থেকে! তাই দুজনে আলাদা একটা বাসা নিয়ে নিলাম!
পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে চলে গেলাম ভার্সিটিতে! গেইটের সামনে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলাম কি হবে ভিতরে গেলে! রেগিং এ কি করতে বলবে! এসব ভাবতে-ভাবতে ভিতরে গেলাম!
একটু যেতেই একটা বড় ভাই ডাক দিলো! ভদ্রছেলের মতো ওনার সামনে গেলাম!
বড় ভাইঃ নতুন এসেছিস!
আমিঃ জ্বী ভাইয়া!
বড় ভাইঃ আমার সাথে আয় তো?
আমিঃ কেনো ভাইয়া?
বড় ভাইঃ তোকে মেহেদী ভাইয়া ডেকেছে?
আমিঃ মেহেদী ভাই কে? আর আমাকে চিনে কিভাবে?
বড় ভাইঃ ঐ বেশি কথা বলছ কেনো আসতে বলছি আয়! (রেগে গিয়ে বললো)
কোনো কথা না বলে ওনার সাথে গেলাম কেনটিনে! গিয়ে দেখলাম কিছু বড় ভাইয়া বসে আছে! বুঝতে পারলাম আজকে কপালে খারাপ কিছু আছে!
বড় ভাইটা বললো একজনকেঃ কিরে মেহেদী কই?
একজন উত্তর দিলোঃ ওয়াশরুমে গেছে!
আমি দাড়িয়ে ছিলাম তখনই কেউ একজন আসলো! ওনাকে আমি চিনি এমন লাগতেছে! এমন সময় মেহেদী ভাইয়া বলে উঠে?
মেহেদী ভাইঃ তুমি হুসাইন না?
আমিঃ হুম ভাইয়া?
মেহেদী ভাইঃ আমাকে চিনতে পেরেছিস আমি মেহেদী তুই যখন ক্লাস সেভেনে পড়তি আমি তখন ক্লাস টেনে পড়তাম! তোকে আমার এখনো মনে আছে?
আমিঃ তুমি নীলাকে ভালোবাসতে তাই না?
মেহেদী ভাইঃ তোর নীলাকেও মনে আছে?
আমিঃ হুম! এতক্ষণেও চিনছি তোমাকে?
আরেকজন বড় ভাই বললোঃ কিরে তুই চিনিস ওকে! (মেহেদী ভাইকে বলে উঠলো)
মেহেদী ভাইঃ হুম!
আরেকজন বড় ভাল বললোঃ ওহহ! ওকে হুসাইন তুমি তাহলে যাও!
মেহেদী ভাইঃ ঐ কই যাবে ওও! আরে ওকে আমাদের এখন প্রয়োজন! মেয়েদের সাথে আমাদের এবার শত্রুতামী জমবে মামা! অনেক জ্বালীয়েছে আমাদের! এখন আমরা পেয়ে গেছি আমাদের ডিফেন্ডার!
আমিঃ ভাইয়া আপনি কি বলতেছেন? (কিছু না বুঝতে পেরে জিঙ্গাস করলাম)
মেহেদী ভাইঃ তুই এখানে এসে বস! আমি তোকে সব বুঝিয়ে বলতেছি? আর এত ভালো মানুষ হওয়ার ভাব ধরতে হবে না! আমি জানি তুই কেমন!
তারপর একটা শান্তির নিশ্বাস ফেলে আমি ওনাদের সাথে বসলাম!
তারপর ওনারা ভার্সিটির সব আগের কথা বলতে লাগলো! আর আমি শুনে এতটা বুঝলাম যে ভার্সিটিতে মেয়েদের রাজত্ব চলে! যার কারণে ছেলেদের একটুও দাম নেই! ছেলেদের আর মেয়েদের মাঝে তুমুল ঝগড়া তাই আমাকেও ওনাদের সাথে নিয়ে নিলো!
তারপর মেহেদী ভাই সবার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলো! আর বললো আজ থেকে নাকি আমরা সবাই বন্ধু! যাক অবশেষে শান্তি মিললো আমার!
ভার্সিটির প্রথম দিনের এতটা পাওয়ার পেয়ে যাবো সেটা ভাবতেও পারি নি! যাক ক্লাস শেষ করে ঐদিনের মতো বাসায় চলে আসলাম!
পরেরদিন ভার্সিটিতে যেতেই একটা আপু ডাক দিলো! তাকিয়ে টাসকি খেয়ে গেলাম! দেখতে পুরোই পরি! মেয়েটা নীল ড্রেস পড়ে এসেছে মানে আমার প্রিয় রং তাই মেয়েটাকে আরো সুন্দর লাগতেছে! আমি ভাবতে লাগলাম!
তাকে খোদা হয়তো নিজ হাতে বানিয়েছে! আমি তার দিকে টাসকি খেয়ে তাকিয়ে আছি! তখনই ওনি আবার ডাক দিলো!
আপুটাঃ কিরে পিচ্চি এভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস?
আমিঃ না কিছু না! কিছু বলবেন?
আপুঃ হুম এদিকে আয় তো পিচ্চি!
আমিঃ আপনি আমার থেকে মাত্র 3 year এর জুনিয়ার! তাহলে আপনি আমাকে পিচ্চি বলেন কিভাবে?
আপুঃ ওকে! তা কলেজে কি নতুন নাকি?
আমিঃ হুম কেনো?
আপুঃ তুই অনেক কিউট তাই তোকে একটু রেগিং দিবো?
কিছু না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম! তখনই মেহেদী ভাইয়া আসলো!
মেহেদী ভাইঃ জান্নাত তুই ওকে ধরেছিস কেনো?
বুঝতে পারলাম মেয়েটার নাম জান্নাত! তবে মনে পরি নামে সেইভ হয়ে গেলো!
জান্নাতঃ সেটা কি তোকে বলতে হবে?
মেহেদী ভাইঃ হুম! ওও আমার ছোট ভাই! তাই ওকে ধরলে আমি তোকে ছাড়বো না!
আমি ওদেরকে দিকে খেয়াল না করে পাশের একটা আপুকে পটাতে শুরু করলাম! দেখতে যেহেতু একটু কিউট তাই পাশের আপুটাও শরম পেতে লাগলো!
জান্নাত আপুর নজর আমার উপর পড়তেই একটা ধমক দিলো!
জান্নাতঃ ঐ তোর সাহস কি করে হয় আমার বান্ধবীকে পটানোর?
আমি চুপ হয়ে গেলাম! তারপর আপুর দিকে রাগি চোখে তাকালাম!
আমিঃ আপু অনেক তো ভার্সিটিতে রাজত্ব করেছো! এবার থেকে আর পারবে না! সো ভালো হয়ে যাও! বাই?
(বলেই সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলাম)
ঐদিন ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম! ” তারপরের দিন ভার্সিটিতে গিয়ে সবাইকে খুজতে লাগলাম!
হঠাৎ……..!
চলবে...
