Breaking News

আম্মুর বান্ধবীর সিনিয়র মেয়ে । পর্ব - ১০



তার মানে আপু এই জন্যেই সারাদিন থেকে দরজা বন্ধ করে বসে আছে

আপু আবার বললো
আপু- ক্যান এমন করলি ( বলেই আবার জড়িয়ে দরলো)
আমি কি বলবো কিছু বুঝতে পারচ্ছি না একটু সময় চুপ থেকে বললাম
আমি- আপনি ওভাবে কলেজের সবার সামনে আমাকে থাপ্পড় দিলেন আমার রাগ উঠে গেছিলো একটা বার যদি আমার কথা টা শুনতেন তাহলে এমন হতো না আমি নিজের ইচ্ছায় ওই মেয়েকে প্রপোজ করতে যাই নি
আপু- মানে ( আমাকে ছেড়ে দিয়ে)
আমি- কিছু না বাদ দেন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে এখন আর বলে কি হবে
আপু- না বল কেনো ওই মেয়েকে প্রপোজ করতে গেছিলি

আমি- আসলে বন্ধু দের সাথে Truth dare খেলচ্ছিলাম আমার ডেয়ার এটাই ছিলো যে একটা মেয়েকে যেয়ে প্রপোজ করতে হবে আমি রাজি ছিলাম না ওরাই জোর করে পাঠাইছে
আপু- ওহ সরি তোকে এভাবে একটা মেয়েকে প্রপোজ করতে দেখে অনেক রাগ উঠে গেছিলো তাই ওমন করছি সরি ক্ষমা করে দে আর কখনো এমন করবো না ( মন খারাপ করে)
আমি- থাক ক্ষমা চাইতে হবে না আমি কিছু মনে করি নি ( থাপ্পড়ের জবাব তো সাথে সাথেই দিছি তাহলে আর কিছু মনে করার কি আছে মনে মনে)
আপু- আমি যানি তুই আমাকে ক্ষমা করস নি ( মুখ মলিন করে)
আমি- আরে আপু আমি কিছু মনে করি নি আর সরি তো আমি বলবো কারণ আপনি আমার বড় আপনাকে থাপ্পড় দিয়েছি
আপু- না ঠিকিই আছে ভালো করছস থাপ্পড় দিছস কিছু না জেনে না বুঝে তোর সাথে ওমন করলাম
আমি আর কিছু বললাম না একটু চুপ থেকে আবার বললাম
আমি- আচ্ছা আপু একটা কথা জিজ্ঞেস করি
আপু- হুম কর

-- আমি অন্য মেয়েকে প্রপোজ করলে আপনার রাগ উঠে কেনো আর আমার আশেপাশে কোনো মেয়ে দেখলে এভাবে রাগ করেন কেনো
আপু- তুই একটা গাদা তুই বুঝবি কি করে
আমি আবার কি করলাম
আপু- কিছু না খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবি ক্যান এমন করি ( খুব তাড়াতাড়ি তোকে আমার মনের কথা বলে দেবো বেশি দেরি করলে পরে তোকে হারাতে হবে)
আমি- ও আচ্ছা ( কিছু ই বুঝতে পারি নি)
আপু- হুম
আমি- আপনি নাকি সারাদিন থেকে কিছু খান নি
আপু- হুম
আমি- তাহলে এখন যেয়ে খেয়ে নিন
আপু- না খাবো না
আমি- ক্যান খাবেন না
আপু- এমনি

আমি- আপনার খিদা লাগে নি
আপু- হুম অনেক খিদা লাগছে
আমি- তাহলে খাবেন না কেনো
আপু- নিজের হাতে খেতে পারবো না তুই যদি খাইয়ে দেস তাহলে খাবো নয়তো খাবো না
আমি খাইয়ে দেবো
-- হুম তুই খাইয়ে না দিলে খাবো না
আমি- আপু আন্টি যদি দেখে তাহলে কি ভাববে
আপু- দেখবে না তুই একটু বস আমি আসচ্ছি (বলেই বিছানা থেকে উঠে রুমের বাহিরে চলে গেলো)
এই দিখে আমি ভাবচ্ছি সারাদিন থেকে রুমের দরজা খুলল না বাহিরে গেলো না আমি আসতেই দরজাও খুলল বাহিরেও গেলো ব্যপার কি তাহলে কি আমার সন্দেহ ই কি সত্যি এসব ভাবতে ভাবতে পকেট থেকে ফোন বের করে অভ্র কে কল করলাম দেখি অভ্র কি বলে

আমি- হ্যালো
অভ্র : হ্যাঁ বল কি মনে করে কল দিলি এখন
আমি- একটা কথা বলবো তোকে
অভ্র : হ্যাঁ বল
আমি- আমি রুহি আপুদের বাসায় আসছি আসলে তোদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় যেয়ে জানতে পারছি আপু নাকি কলেজ থেকে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে বসে আছে ওনার আম্মু অনেক ডাকছে তাও দরজা খুলচ্ছে না তাই আম্মু আমাকে পাঠালো দেখে আসতে ক্যান এমন করচ্ছে আমি এসে ডাকার পর আপু দরজা খুলছে কান্না করতে করতে একদম চোখ ফুলিয়ে ফেলছে এমন ক্যান করচ্ছে কারণ জিজ্ঞেস করায় বলল আমি থাপ্পড় দিছি তাই জন্য এমন করছে (সব কিছু বললাম অভ্র কে)

সব শুনে অভ্র বলল
অভ্র : আমি এখন ১০০% শিওর আপু তোকে ভালবাসে আর তাড়াতাড়ি যানতে পারবি এটার মানে খুব তাড়াতাড়ি আপু তোকে প্রপোজ করবে মিলিয়ে নিস (তখনই আপু চলে আসলো রুমে)
আমি - আচ্ছা তোর সাথে পরে কথা বলচ্ছি এখন রাখি (বলেই কল কেটে দিলাম)
আপু- কার সাথে কথা বলচ্ছিলি আমাকে দেখেই তাড়াতাড়ি করে কল কেটে দিলি
আমি- অভ্রর সাথে কথা বলচ্ছিলাম
আপু- কই দেখি
নাম্বার দেখালাম তারপর আপু বলল আচ্ছা ঠিক আছে দেখ আমি খাবার নিয়ে আসছি এখন আমাকে খাইয়ে দে

তারপর আপু কে খাইয়ে দিতে লাগলাম
আপু- আচ্ছা তুই খাইছস
আমি- হুম বাসা থেকে খেয়েই আসছি
আপু- আচ্ছা তাও একটু খাবি প্লেট আমার কাছে দে আমি নিজের হাতে তোকে খাইয়ে দিবো
আমি- না আপু খেয়ে আসছি আর খাবো না
আপু- একটু খাবি বেশি না এদিখে দে প্লেট (বলে আমার হাত থেকে প্লেট টা নিলো)
আপু- নে হা কর ( খাবার মুখের সামনে দরে)
আর না করলেও কাজ হবে না তাই হা করলাম একটু খেয়ে বললাম আর খাবো না
আপু- আচ্ছা ঠিক আছে এখন আমাকে খাইয়ে দে
আবার আপু কে খাইয়ে দিতে লাগলাম আজও খাওয়া শেষের দিখে আপু আমার আঙুলে কামড় দিলো
আমি- উফ আপনি শুধু শুধু কামড় দেন ক্যান
আপু- কামড় দিতে ভালো লাগে
আমি- এই নিয়ে দুই দিন আমার আঙুলে কামড় দিছেন

আপু- কামড় তো আমি অন্য জায়গায় দিতে চাই কিন্তু দিতে পারি না তোর আঙুল কাছে পাই তাই আঙুলেই কামড় দেই
আমি- অন্য জায়গায় মানে আর কোথায় কামড় দিতে চান
আপু- দারা দেখাচ্ছি
আমি- এই না না আমার দেখা লাগবে না আমি যানি আপনি আবার আমার ঠোঁটে কামড় দিবেন (আপুর থেকে দূরে সরে গিয়ে)
আপু- এই তো ভালো কথা মনে করাইছস তুই আমারে আজ সারাদিন কাঁদাইছস না এখন তোর শাস্তি পেতে হবে

আমি- মা মা মানে (ভয়ে ভয়ে ভালো কথা মনে করিয়ে দিছি এখন কামড়ে কামড়ে আমার ঠোঁট গুলার অবস্থা খারাপ করে দিবে)
আপু- এদিখে আয়
আমি- না আপু আমার বাসায় যেতে হবে বলেই তাড়াতাড়ি করে রুম থেকে আের হতে গেলাম দরজার কাছে যেতেই
আপু- এত সহজে পালাতে দেবো না শাস্তি তো পেতেই হবে ( দরজার সামনে দাড়িয়ে)
আমি- আপু আমাকে যেতে দিন আমি বাসায় যাবো
আপু- না এত সহজে যেতে দিবো না (বলেই দরজা লক করে দিলো)
আমি- দরজা লক করলেন কেনো
আপু- তোর ঠোঁটে কামড় দিবো তাই (বলেই হঠাৎ করে কাছে চলে আসলো একদম কাছে আর কিছু বুঝে উঠার আগেই চার ঠোঁট এক করে দিলো উরা দুরা চুম্মা দিচ্ছে আমি বার বার ছাড়ানোর চেষ্টা করচ্ছি হঠাৎ করে আপু অনেক জোরে একটা কামড় দিলো দিয়ে ছেড়ে দিলো)

আপু- চুপচাপ দাড়িয়ে থাকবি বেশি নরাচরা করলে একদম ছিড়ে ফেলবো ঠোঁট গুলা কামড়ে কামড়ে (,বলেই আবার চার ঠোঁট এক করে দিলো আর পাগলের মতো কিস করতে লাগলো এখন কামড়ও দিচ্ছে না আর কামড়ের ভয়ে আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করচ্ছি না)
(আসলে সত্যি বলতে কি আমার খারাপ লাগচ্ছে না এরখম চুমু খাওয়ার ভাগ্য কয়জনের হয় একটু চুমু খেয়ে নেই তারপর ছাড়িয়ে নিবো হি হি)
একটু পর আপু নিজেই ছেড়ে দিলো এখন দুজনেই হাঁপাচ্ছি
আপু- এভাবে ভালো ছেলের মতো দাড়িয়ে থাকলে আর কামড় দিবো না
আমি চুপ করে আছি কি বলবো যে মধু খেলাম তা খেয়ে মুখ বন্ধ হয়ে গেছে
আপু- কি হলো চুপ করে আছিস ক্যান আরেক ডোজ দিবো নাকি ( সয়তানি হাসি দিয়ে)
আমি- না না এক ডোজেই আমি শেষ।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com