Breaking News

পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ০৪

এটা কি হল।ভাবছিলাম অনার্স পাশ করার পর বিসিএস করে আমি জেলা প্রশাসক হইতে চাইছিলাম।কিন্তু রিমি এটা কি করল।আমার সারা জিবনের সাধনা মাটি করে দিল।কেন এমন টা করল।আর বাবা তার কথা কি আর বলব সে তো জানত যে আমি আনার্স পাশে পর জেলা প্রশাসক এর জব টা করব। তার পরও তিনি এমনটা করল। কেন আমার স্বপ্ন টা এভাবে নষ্ট করে দিল।

ভাবছিলাম আনার্স পাশের সাটিফিকেট টা নিয়ে বিসিএস এ ভর্তি হয়ে এখন ঢাকাতে কোনো জব করে পড়ালেখা চলিয়ে তারপর নিজ শহরে জেলা প্রশাসকের কবটা করব। কিন্তু তা আর হল না। আমার সব আশা, আকাঙ্খা মাটি করে দিল।


তারপর আজকে আর সিএনজি নিয়ে গেলাম না।
দোকান থেকে ১ পেকেট সিগারেট কিনে বাসায় এসে ধোয়া উড়াতে শুরু করলাম।
আমি এর আগে কখনো সিগারেট খাইনি আজকে মনের দুঃখটা এত বেশি বেড়ে গেল
যে আর থাকতে পারলাম না।তাই ধোয়া উড়ানো শুরু করলাম।
আর ভাবতে লাগলাম ভাসিটি লাইফের কথা।

আরো পড়ুনঃ
আজকে ২বার দেখা হল রিমির সাথে,,।
সাথে রিয়াও আছে। একই বর্ষের হওয়াতে ২ দিনের বান্ধবী হইছে।
রিমি সোজা আমার কাছে আসল।রিমি আমাকে বলতে লাগল যে,,,,,,,
রিমিঃ আমি অনেক দুঃখিত।
আমিঃ কেন।
রিমিঃসেদিন ওই রকম করার জন্য।
আমিঃ তো এতে সরি বলার কি আছে।
রিমিঃ এমনি বললাম আরকি।
এমন সময় রিমি রিয়াকে বলল,,,,,

রিমিঃ রিয়া সেদিন আমাকে এই ছেলেটা তোদের কাছে পাঠাই ছিল।
কিন্তু আমি রং জায়গাই গেছিলাম।
রিয়াঃ ওওও তাই নাকি রে। তা নীল সাহেব আপনি ক্লাস না কর এখানে কি করছেন।
আমিঃ জ্বি আপু আমি বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
রিমিঃ এই তুই এনাকে চিনিস।
রিয়াঃ হুমমম।
রিমিঃ কেমনে চিনিস।
রিয়াঃ সেই ২০ বছর ধরে চিনি।এই হারাজাদা টা আমার বড় ভাই।
রিমিঃ কি সত্যি বলছিস না কি মিথ্যা বলছিস।
রিয়াঃ আরে মোটা রিমি এটা সত্যি আমার ভাই।
রিমিঃ দেখা রিয়া আমি কিন্তু মোটা নই।
রিয়াঃ জানি জানি।আর ভাইয়া চল বাসাই যাই।
আমিঃ আমার যে ক্লাস আছে।
রিয়াঃ ক্লাস না ছাই বাসায় চল নাইলে বাসায় কমু যে তুই ক্লাস না করে আড্ডা দেস ভাসিটিতে আইসা।
আমিঃ বেশি প্যাচাল না পেরে বাসায় চল। আর এই বিকেলে তোদের সাথে দেখা করমু নে।( বন্ধুদের বলল)
রিমিঃমানে কি আমি এখন একা একা বাসায় যামু।
রিয়াঃ তোরে একা যাইতে কে বলছে আমাদের সাথে চল।
আমিঃডাইরিয়া ওর বাসা কই।
রিয়াঃআমাদের বাসা থেকে একটু আগে।
আমিঃ বাহ দুই দিনেই এত পরিচয়।
রিয়াঃ হুম রে, এখন তারাতারি চল।

তারপর বাসার দিকে চলে আসলাম।রিয়াকে বাসায় নামাই দিয়ে রিমিকে তাদের বাসার দিকে নিয়ে গেলাম। যাওয়ার সময় রিমি বলল,,,,,,,,,
রিমিঃ আচ্ছা যে ছেলে গুলো আমাকে টিজ করছিল তারা আমাকে আজকে সরি বলল কেন।
আমিঃ এমনতেই বলছে।
রিমিঃ ওওওও।
আমিঃ তোমার বাসা আর কত দুর।
রিমিঃ সামনে মোড়ের পর ২ নাম্বার গলি।
আমিঃ ওওওও।

তারপর রিমিকে বাসায় নামাই দিয়ে আসতেছি এমন সময় রাকিব এর ফোন,,,,
আমিঃ হুমমম রাকিব বল।
রাকিবঃ দোস্ত মুনিয়ার সাথে আবার ঝগড়া লাগছে।
আমিঃ কি নিয়ে আর কখন।
রাকিবঃ সকালে ঝগড়া লাগছে
আর আমি যে সিগারেট খাই এটা ওই কেমনে যানি জানতে পারছে তাই নিয়া ঝগড়া লাগাইছে।
আমিঃ তো আমি এখন কি করব।
রাকিবঃ আরে তুই কি করবি মানে।
আমিঃ হুম বল আমি কি করব।
রাকিবঃ তুই একটু ওরে বুঝাই বল যে আমি আর সিগারেট খামু না।
আমিঃ এটা তো তুইও বলতে পারস।
রাকিবঃ আজে ভাসিটি তে আসে নাই আর ফোনও বন্ধ।
আমিঃ আচ্ছা বলব নি।

তারপর ফোনটা কেটে দিলাম। আসলে মুনিয়া হচ্ছে রাকিবের গফ।
আর মুনিয়া আমার সব কথাই রাখে। আমাদের বাসা থেকে কিছুটা দুরে মুনিয়া দের বাসা।
রাকিব আর মুনিয়ার রিলেশন প্রায় ৩ বছরের।মুনিয়া পরে অনার্স ২য় বর্ষে আর রাকিব ৪ তে।
তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মুনিয়াদের বাসায় চলে গেলাম মুনিয়া।
মুনিয়া আমাকে দেখেই বলল,,,,,,,
মুনিয়াঃ নীল ভাইয়া যে।
আমিঃহুমম।
মুনিয়াঃ ভিতরে আসেন।
আমিঃ না আজকে আর যাব না।তুমি নিচে আস।
মুনিয়াঃ ওকে আসতেছি।
আমিঃহুমমম। কেমন আছ।
মুনিয়াঃ ভাল নাই। আপনি।

আমিঃ আর ভালো থাকা তোমরা যা শুরু করছ।
মুনিয়াঃ আমি আবার কি করলাম।
আমিঃ রাকিবের সাথে কি হইছে আমি সব যানি আর রাকিব বলছে যে সে আর সিগারেট খাবে না।
তুমি এখন তার সাথে কথা বলবা।
মুনিয়াঃ ভাইয়া আপনি বললেন বলে ওর সাথে এত তারাতারি কথা বললাম।
না হলে এবার ওরে অনেক শাস্তি দিতাম।
আমিঃ যা হবার হইছে ভুলে যাও।
মুনিয়াঃ ওকে বাট এটাই লাস্ট বার কিন্তু।
আমিঃ ওকে।আজ আসি আপু।
মুনিয়াঃ ভিতরে আসেন চা খেয়ে যান।
আমিঃ আরে আজ না পরে একদিন আসব নি।
তারপর আড্ডা দিতে চলে গেলাম

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com