Breaking News

পরিবারের অবহেলা | পর্ব - ০২

রাতে বাজার থেকে আনা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।সকাল বেলা নিজেই রান্না করলাম।(আসলে আমি যখন ইন্টারে মেসে ছিলাম তখন রান্না করা শিখেছিলাম আর কি।) খাবার খেয়ে বসে বসে ভাবতে লাগলাম, কাছে যা টাকা ছিল সবই শেষ হতে চলল।এখন কি করব।

অনেকক চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে চাকরি করব। যেই ভাবা সেই কাজ।
তাই সেদিন বিকেলে কাছে থাকা ১৫০০ টাকার ১০০০ টাকা দিয়ে ১টা শার্ট,ও ১টা প্যান্টট কিনলাম।
পরের দিন সকালে উঠে রান্না বান্না করে খেয়ে দেয়ে চাকরি খুজতে বের হলাম।

কিন্তু যেখানেই যাই শুধু একটা জিনিসই চায় যে আমার কাছে নেই, সেটা হল আমার কাগজ পাতি।
তাই চাকরির জন্য না ঘুরে বাসায় চলে এসে একটু ঘুমালাম।
বিকেলে চলে আসলাম সেই দোকানদার এর কাছে কাছে।
তারপর তার সাথে কথা বলে সে আমাকে একটা সিএনজি গ্যারেজ থেকে একটা সিএনজি নিয়ে দিল।
তার পর আমাকে সেই গ্যারেজের একজন লোক সিএনজি চালানো শিখাই দিল।

আরো পড়ুনঃ
তারপর চলে আসলাম বাসায় এসে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পরলাম।
কিন্তু কেমন যানি লাগছে। ঘুমও ধরছে না। হঠাৎ করে বাবা,মায়ের কথা মনে পরে গেল।
খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে তারা কেমন আছে।
রিয়া কেমন আছে (রিয়া আমার ছোট বোন)।
রিমি কেমন আছে তাও জানিনা।(আমার বউয়ের নাম)।
এসব ভাবছি আর নিজের বালিশ ভিজিয়ে ফেলছি এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি মনে নাই।

সকালে উঠে,
আজ রান্না করলাম না।কারন বাসায় রানা করার মতো কিছু নাই।তাই আজকে আর রান্না করলাম না।
কাছে মাএ ২০ টা ছিল।তা দিয়ে বাহিরে চায়ের দোকানে বসে ১ টা চা,১ রুটি খেয়ে চলে গেলাম গেরেজে।
তারপর সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে স্টান্ডে বসে আছি আর ভাবছি,
অনার্স পাশ করলাম কিন্তু তার কাগজ না থাকার কারনে আজ সিএনজি চালাতে হচ্ছে।কি কপাল আমার। তারপর বসে থাকতে থাকতে একটা যাএী আসল।তাকে তার গন্তব্যস্থানে দিয়ে আসলাম ভাড়া দিল-২৩০ টাকা। তারপর আবার সেখানে একটু অপেক্ষা করে
আবার একটা যাএী নিয়ে (,,,,,) যায়গায় নিয়ে আসলাম ১৫০ টাকা দিল।

প্রথম দিন রোজগার করলাম ৯৮০ টাকা।
সিএনজি টা গ্যারেজে রেখে ৫০০ টা সিএনজি ভাড়া দিলাম। তারপর বাজার করে সোজা বাসায় চলে আসলাম। তারপর রান্না করে রেখে চলে গেলাম গোসল করতে।
গোসল করে এসে খেয়ে বাহিরে বের হলাম।
কারন এখানে এসেছি এক সপ্তাহ হলো বাসার আশে পাশে একটুও ঘোরা হয়নি।
তাই একটু ঘুরতে বের হলাম তাছাড়া হাতে এখন কোনো কাজও নাই।
তারপর কিছুক্ষন ঘুরে বাসায় চলে আসলাম।

রাতে হালকা একটু খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম কিন্ত ঘুমাতে পারলাম না।
মনে পরে গেল রিমির কথা।
রিমি সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল আমাদের ভাসিটিতে।
তখন আমি পরি অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ি আর রিমি পরে অনার্স ১ম বষে। মনে পরে গেল ১ম দিনের কথা,,

আমি,রাকিব আর রিয়াদ বসে বসে আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় কেউ বলে উঠল,,,,,,
১ম বর্ষের ক্লাস রুম টা কোন দিকে।
আমিঃ ওই(,,,,,,,) খানে গিয়ে জিগ্গেসা করেন
তারপর মেয়েটা চলে গেল
আর আমি ভাবতে লাগলাম,,,,কেমন মেয়েরে বাবা একটা ধন্যবাদ ও দিল না।
তারপর আর কিছুখন আড্ডা দিয়ে ক্লাস রুমে চলে গেলাম।
ক্লাস করে যখন যখন বাহিরে আসতে যাব ঠিক তখনি মেয়েটা আসল,,,,
মেয়েটাঃ আপনি এত খারাপ কেন
আমিঃ কেন।

মেয়েটাঃ আমাকে ক্লাস রুম দেখানোর কথা বলে কোথাই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন
আমিঃ কোথায় পাঠাইছিলাম
মেয়েটাঃ ওখানে (হাত দিয়ে দেখিয়ে)
আমিঃতো কি হইয়ে
রিমিঃযানেন ওখানে কতগুলো বখাটে ছেলে (ঠিক আপনার মতো,) আমাকে কি বলেছে।
আমিঃ কি বলছে।
মেয়েটাঃ আমি বলতে পারব না।
আমিঃ তাহলে সরেন তো আমার কাজ আছে বাই। পাগল ছাগল কোথাকার
মেয়েটাঃ কি আমি পাগল ছাগল দারা তোর আজকে আমি,,,,।
আমার আর পায় কে

আমি কোনো কথা না বলে দৌর দিয়ে চলে আসলাম।আসলে তখন আমি মেয়েটাকে ঠিক জায়গায়ই পাঠছিলাম কিন্তু সে নিজেই না বুঝে তাদের কাছে চলে গেছে।
আমি যেখানে পাঠাইছিলাম সেখানে অনার্স ১ম বষের কিছু মেয়ে বসে ছিল। আর তাদের থেকে কিছু দুরে সেই বখাটে ছেলেগুলো ছিল। আমি জানি তারা তাকে খারাপ অফার করছিল।
আর আমি যাদের কাছে পাঠাইছিলাম সেখানে আমার বোন রিয়াও ছিল। আর রিয়াও ১ম বষে পড়ে।
তারপর আমি সেই বাখাটে দের কাছে গেলাম। আমাকে দেখে সবাই দারালো। কারন হলো আমি এখান কার ছাএ লীগের সভাপতি। তারপর তাদের কে বলে দিলাম যে আর কোনো মেয়ের সাথে যেন এমন না করে।
পরে আমি আর রিয়া দুই ভাইবোন বাসায় চলে আসলাম।

চলবে....

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com